এমপি ছেলুনের শ্রদ্ধাঞ্জলি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- আপলোড টাইম : ১০:১৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
সাবেক টিএনও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হাসানের মরদেহে
বিশেষ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা শহরের জোয়ার্দ্দারপাড়া নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জনপ্রশাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসানের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের রেলবাজার ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার প্রদান এবং জুমার নামাজের পর জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে জাহিদ হাসানের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহসহ মুক্তিযোদ্ধারা।
অনার গার্ডদের সালাম প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে বিহগলের করুণ সুরে বেদনাবিধুর পরিবেশে শেষ বিদায় জানাতে ছুটে আসেন জাহিদ হাসানের সহযোদ্ধারা। শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর মরদেহের কাছাকাছি। রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান।
এ সময় স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হাসান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সহযোদ্ধাদের অন্যতম সহযোগী। কেউ আহত হলে বা অসুস্থ হলে তাঁকে চিকিৎসা দিতে বহু ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যেতেন জাহিদ হাসান। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের (চুয়াডাঙ্গা) অধীনস্থ যতগুলো ক্যাম্প ছিল, সবজায়গায় তাঁর বিচরণ ছিল। দেশের প্রতি তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাহিদ হাসান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ১৯৭৩ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের মাধ্যমে তিনি জনপ্রশাসনে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তা (টিএনও) হিসেবে দীর্ঘ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।