ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এমন পহেলা বৈশাখ আগে কখনোই দেখেনি…

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

মেহেরাব্বিন সানভী:
পহেলা বৈশাখ। বাঙালির জীবনে নতুন বছরের প্রথম দিন, নতুন বারতা। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় বাংলা ১৪২৭ সালের। তবে এবারের এই বৈশাখ বাঙালির জীবনের যেকোনো বৈশাখের চেয়ে আলাদা। চুয়াডাঙ্গার মানুষের কাছে এক ভিন্ন বৈশাখ। করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক এই দুর্যোগের সময় জীবন আজ অবরুদ্ধ। ঘরে বসেই মানুষ মোকাবিলা করছে এই সংকটময় পরিস্থিতির। পহেলা বৈশাখের বাংলা ঢোলের বাজনা বাজছে বাঙালির মনে মনে। তবে খোলা ময়দানে নেই কোনো অনুষ্ঠান। যার যার বাসায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জারে শুভেচ্ছাবিনিময় করছে মানুষ। পহেলা বৈশাখের উৎসব হচ্ছে বাংলার ঘরে ঘরে, নিজের মতো করে।
১৪২৬-এর আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার হিসেব চুকিয়ে শুরু হবে নতুন এক পথচলা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সার্বজনীন উৎসবে ঘরে ঘরে মেতে ওঠা বাঙালি গাইছে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গার গ্রাম-শহর সব জায়গায় দোলা দিচ্ছে পহেলা বৈশাখ, তবে সেটা একটু অন্যভাবে। এবার চুয়াডাঙ্গায় বসেনি কোনো বৈশাখী মেলা। রঙ-বেরঙের বাঙালিয়ানা পোশাকে চুয়াডাঙ্গার রাস্তায় নেই কোনো মানুষ। পান্তা-ইলিশ খাওয়া, মুড়ি-মুড়কি, মণ্ডা-মিঠাই সবই হচ্ছে যার যার ঘরে।
পহেলা বৈশাখ ডিজিটালি বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে ডাকে সাড়া দিয়ে সীমিত আকারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবারের পহেলা বৈশাখের রংটাই পাল্টে দিয়েছে। ভাইরাসটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণরূপে ব্যহত করেছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলাই এই ভাইরাস প্রতিরোধের সর্বোত্তম পন্থা। তাই সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছুটি বলবৎ থাকবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ছুটি বলা হলেও কার্যত লকডাউন অবস্থার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা তথা সারা দেশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সীমিত করা হয়েছে মানুষের চলাচল। একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে অন্যান্য সময় পহেলা বৈশাখের আগে যে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে, তা এবার অনুপস্থিত। দোকানপাট বন্ধ বলে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য হালখাতার আয়োজন নেই, নেই বৈশাখী কেনাকাটা। নেই পান্তা-ইলিশ আয়োজনের তোড়জোড়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এমন পহেলা বৈশাখ আগে কখনোই দেখেনি…

আপলোড টাইম : ০১:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

মেহেরাব্বিন সানভী:
পহেলা বৈশাখ। বাঙালির জীবনে নতুন বছরের প্রথম দিন, নতুন বারতা। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় বাংলা ১৪২৭ সালের। তবে এবারের এই বৈশাখ বাঙালির জীবনের যেকোনো বৈশাখের চেয়ে আলাদা। চুয়াডাঙ্গার মানুষের কাছে এক ভিন্ন বৈশাখ। করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক এই দুর্যোগের সময় জীবন আজ অবরুদ্ধ। ঘরে বসেই মানুষ মোকাবিলা করছে এই সংকটময় পরিস্থিতির। পহেলা বৈশাখের বাংলা ঢোলের বাজনা বাজছে বাঙালির মনে মনে। তবে খোলা ময়দানে নেই কোনো অনুষ্ঠান। যার যার বাসায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেঞ্জারে শুভেচ্ছাবিনিময় করছে মানুষ। পহেলা বৈশাখের উৎসব হচ্ছে বাংলার ঘরে ঘরে, নিজের মতো করে।
১৪২৬-এর আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার হিসেব চুকিয়ে শুরু হবে নতুন এক পথচলা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সার্বজনীন উৎসবে ঘরে ঘরে মেতে ওঠা বাঙালি গাইছে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গার গ্রাম-শহর সব জায়গায় দোলা দিচ্ছে পহেলা বৈশাখ, তবে সেটা একটু অন্যভাবে। এবার চুয়াডাঙ্গায় বসেনি কোনো বৈশাখী মেলা। রঙ-বেরঙের বাঙালিয়ানা পোশাকে চুয়াডাঙ্গার রাস্তায় নেই কোনো মানুষ। পান্তা-ইলিশ খাওয়া, মুড়ি-মুড়কি, মণ্ডা-মিঠাই সবই হচ্ছে যার যার ঘরে।
পহেলা বৈশাখ ডিজিটালি বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে ডাকে সাড়া দিয়ে সীমিত আকারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবারের পহেলা বৈশাখের রংটাই পাল্টে দিয়েছে। ভাইরাসটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণরূপে ব্যহত করেছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলাই এই ভাইরাস প্রতিরোধের সর্বোত্তম পন্থা। তাই সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছুটি বলবৎ থাকবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ছুটি বলা হলেও কার্যত লকডাউন অবস্থার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা তথা সারা দেশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সীমিত করা হয়েছে মানুষের চলাচল। একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে অন্যান্য সময় পহেলা বৈশাখের আগে যে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে, তা এবার অনুপস্থিত। দোকানপাট বন্ধ বলে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য হালখাতার আয়োজন নেই, নেই বৈশাখী কেনাকাটা। নেই পান্তা-ইলিশ আয়োজনের তোড়জোড়।