ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এতিমদের সঙ্গে সদাচার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন: মানুষের কাছে এতিমেরা অবহেলিত হলেও আল্লাহর কাছে বড়ই মূল্যবান। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদার কথা বলেছেন। তাদের প্রতি সহানুভূতির আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের লালনপালনের দায়িত্ব নিতে বলেছেন। তাদের প্রতি কোনো ধরনের অন্যায়অবিচার হলে সমাজের সদস্যদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা তোমাকে এতিম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, তাদের পুনর্বাসন করা উত্তম। আর যদি তাদের সঙ্গে তোমরা একত্রে থাক, তবে তারা তো তোমাদেরই ভাই।’ (সুরা বাকারা: ২২০) অর্থাৎ আপনি যদি তাদের উন্নয়নে কল্যাণমূলক কিছু করতে চান, তাহলে তাদের সার্বিক দেখভালের সুব্যবস্থা করুন। এতিমদের প্রতিপালন, তাদের পুনর্বাসন এবং সেবাযত্ন হতে হবে নিঃস্বার্থ। তাদের পুঁজি করে নিজের পকেট ভারী করা কখনোই একজন মুমিনের জন্য শোভা পায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা খাবারের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও (আল্লাহর ভালোবাসায়) অভাবী, এতিম বন্দীকে খাবার দেয়। (এবং তারা বলে) আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তোমাদের খাবার দিই। বিনিময়ে তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না।’ (সুরা দাহর: ) মক্কার কুরাইশরা এতিমদের ওপর জুলুমনির্যাতন করত। বাবা মারা গেলে চাচা এসে ভাতিজার সকল সম্পদ আত্মসাৎ করে নিত। আল্লাহ তাআলা তাদের এই কাজ নিষিদ্ধ করেন। যারা এতিমের প্রতি অবিচার করে, আল্লাহ তাআলা তাদের তিরস্কার করে বলেন, ‘অসম্ভব, (কখনোই নয়) বরং তোমরা এতিমের সম্মান রক্ষা করো না।’ (সুরা ফজর: ১৭) এতিমদের ধমক দেওয়াও ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হইয়ো না।’ (সুরা দুহা: )

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এতিমদের সঙ্গে সদাচার

আপলোড টাইম : ০১:০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

ধর্ম প্রতিবেদন: মানুষের কাছে এতিমেরা অবহেলিত হলেও আল্লাহর কাছে বড়ই মূল্যবান। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদার কথা বলেছেন। তাদের প্রতি সহানুভূতির আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের লালনপালনের দায়িত্ব নিতে বলেছেন। তাদের প্রতি কোনো ধরনের অন্যায়অবিচার হলে সমাজের সদস্যদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা তোমাকে এতিম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, তাদের পুনর্বাসন করা উত্তম। আর যদি তাদের সঙ্গে তোমরা একত্রে থাক, তবে তারা তো তোমাদেরই ভাই।’ (সুরা বাকারা: ২২০) অর্থাৎ আপনি যদি তাদের উন্নয়নে কল্যাণমূলক কিছু করতে চান, তাহলে তাদের সার্বিক দেখভালের সুব্যবস্থা করুন। এতিমদের প্রতিপালন, তাদের পুনর্বাসন এবং সেবাযত্ন হতে হবে নিঃস্বার্থ। তাদের পুঁজি করে নিজের পকেট ভারী করা কখনোই একজন মুমিনের জন্য শোভা পায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা খাবারের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও (আল্লাহর ভালোবাসায়) অভাবী, এতিম বন্দীকে খাবার দেয়। (এবং তারা বলে) আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তোমাদের খাবার দিই। বিনিময়ে তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না।’ (সুরা দাহর: ) মক্কার কুরাইশরা এতিমদের ওপর জুলুমনির্যাতন করত। বাবা মারা গেলে চাচা এসে ভাতিজার সকল সম্পদ আত্মসাৎ করে নিত। আল্লাহ তাআলা তাদের এই কাজ নিষিদ্ধ করেন। যারা এতিমের প্রতি অবিচার করে, আল্লাহ তাআলা তাদের তিরস্কার করে বলেন, ‘অসম্ভব, (কখনোই নয়) বরং তোমরা এতিমের সম্মান রক্ষা করো না।’ (সুরা ফজর: ১৭) এতিমদের ধমক দেওয়াও ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হইয়ো না।’ (সুরা দুহা: )