ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এক ধর্ষিতা : বাবার স্বীকৃতির জন্য এখন আদালতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে বিচারের জন্য ঘুরতে ঘুরতে মা হয়েছে
মেহেরপুর অফিস: বিচারের জন্য ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে এক ধর্ষিতা মা হয়েছেন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী। কিন্তু এখন বাবার স্বীকৃতির জন্য ঘুরছেন আদালতে। গেল ১৭ জুলাই ওই প্রতিবন্ধী ভর্তি হন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। জন্ম দেন এক ফুটফুটে পূত্র সন্তানের। মা ও বাচ্চা সুস্থ্য থাকলেও এখন বাধ সেজেছে বাবার পরিচয়। ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা মিনু খাতুন জানান, ৯ মাস আগে তিনি কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। সেখানে বেশ কয়েক মাস অবস্থান করেন। একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়েকে রেখে যান গ্রামের বাড়িতে। এই সুযোগে ওই গ্রামের নাসির উদ্দীনের জামাই আনারুল তাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আনারুল। বর্তমানে ওই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেননা। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. বিপুল কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৭ জুলাই মাহাতাব আলীর মেয়ে ফুরকাতন বিকাল ৩টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়। সে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বর্তমানে মা ও ছেলে দুজনই সুস্থ আছে। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা রয়েছে। আসামী জামিনে আছে। তবে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখন বাচ্চা এবং আসামীর ডি.এন.এ টেস্ট করে দ্রুত আদালতে দাখিল করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এক ধর্ষিতা : বাবার স্বীকৃতির জন্য এখন আদালতে

আপলোড টাইম : ১০:২১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮

মেহেরপুরের গাংনীতে বিচারের জন্য ঘুরতে ঘুরতে মা হয়েছে
মেহেরপুর অফিস: বিচারের জন্য ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে এক ধর্ষিতা মা হয়েছেন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী। কিন্তু এখন বাবার স্বীকৃতির জন্য ঘুরছেন আদালতে। গেল ১৭ জুলাই ওই প্রতিবন্ধী ভর্তি হন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। জন্ম দেন এক ফুটফুটে পূত্র সন্তানের। মা ও বাচ্চা সুস্থ্য থাকলেও এখন বাধ সেজেছে বাবার পরিচয়। ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা মিনু খাতুন জানান, ৯ মাস আগে তিনি কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। সেখানে বেশ কয়েক মাস অবস্থান করেন। একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়েকে রেখে যান গ্রামের বাড়িতে। এই সুযোগে ওই গ্রামের নাসির উদ্দীনের জামাই আনারুল তাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আনারুল। বর্তমানে ওই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেননা। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. বিপুল কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৭ জুলাই মাহাতাব আলীর মেয়ে ফুরকাতন বিকাল ৩টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়। সে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বর্তমানে মা ও ছেলে দুজনই সুস্থ আছে। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা রয়েছে। আসামী জামিনে আছে। তবে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখন বাচ্চা এবং আসামীর ডি.এন.এ টেস্ট করে দ্রুত আদালতে দাখিল করা হবে।