ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

একই ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ১৩ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দলের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ১৩ ইউপির বেশির ভাগ ইউপিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা থাকলেও ১৩ ইউনিয়নে বিএনপির ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে যখন সর্বত্র আলোচনা তখন সবার নজর কেড়েছেন উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করা স্বামী-স্ত্রী। তারা হলেন- হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী  ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার। তারা একই ইউনিয়ন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিজ মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা মুখলেছুর রহমান।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, কুণ্ডা ইউনিয়নে নাদিম হোসেন মামুন, পূর্বভাগ ইউনিয়নে মো. আলম উদ্দিন, মো. জাহের মিয়া ও মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া। হরিপুর ইউনিয়নের ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তার। গুনিয়াউক ইউনিয়নের সৈয়দ মোস্তাক আহমদ। চাপরতলা ইউনিয়নের মো. আব্দুল আহাদ ও কামরুজ্জামান। গোয়ালনগর ইউনিয়নের মো. আজহারুল হক ও মো.কাপ্তান মিয়া। ভলাকুট ইউনিয়নের মো. শাহ আলম ও মো. আরাফাত আলী। চাতলপাড় ইউনিয়নের মীর হোসেন ও মো. রফিকুল ইসলাম।

বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির অনেক নেতাই অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থীরা হলেন- হাসানুর রহমান উপজেলা জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বুড়িশ্বর ইউনিয়ন থেকে মো. ইকবাল চৌধুরী (উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি), কুণ্ডা ইউনিয়ন থেকে ওমরাহ খান (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), ধরমণ্ডল ইউনিয়ন থেকে সফিকুল ইসলাম (ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক), ফান্দাউক ইউনিয়ন থেকে মো. সফিকুল ইসলাম (ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) গোকর্ণ ইউনিয়ন থেকে শামসুল আরিফিন (উপজেলা বিএনপির যুবদল কর্মী), পূর্বভাগ ইউনিয়ন থেকে মোহাম্মদ হোসেন (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), হরিপুর ইউনিয়ন থেকে মো. জামাল মিয়া (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি), গুনিয়াউক ইউনিয়ন থেকে মো. শামসুল হক (উপজেলা বিএনপির সদস্য), চাপরতলা ইউনিয়ন থেকে ফয়েজ উদ্দিন ভূঁইয়া (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি) ও ভলাকুট ইউনিয়ন থেকে মোজাম্মেল হক (উপজেলা বিএনপির কর্মী)।

এছাড়াও জাতীয় পার্টির সাত, ইসলামি আন্দোলন পাঁচ এবং জাকের পার্টির একজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৩ ইউনিয়নে সাধারণ পদে ৫০৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭০ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিযেছেন।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে সাত, বুড়িশ্বর থেকে তিন, কুণ্ডা পাঁচ, পূর্বভাগ সাত, হরিপুর পাঁচ, গোয়ালনগর তিন, ভলাকুট চার, ধরমণ্ডল, চার, ফান্দাউক চার, চাপরতলা ছয়, গুনিয়াউক চার, গোকর্ণ সাত এবং চাতলপাড় ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। এরপর আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই। তাই আমাদের নির্বাচন করতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।

উল্লেখ্য, আগামী ২১ অক্টোবর মনোনয়ন যাচাই-বাচাই করা হবে এবং ২৬ অক্টোবর প্রত্যাহার করার শেষ সময়। ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগরে ১৩ ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র: চ্যানেল২৪

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

একই ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী!

আপলোড টাইম : ০৪:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ১৩ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দলের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ১৩ ইউপির বেশির ভাগ ইউপিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা থাকলেও ১৩ ইউনিয়নে বিএনপির ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে যখন সর্বত্র আলোচনা তখন সবার নজর কেড়েছেন উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করা স্বামী-স্ত্রী। তারা হলেন- হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী  ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার। তারা একই ইউনিয়ন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিজ মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা মুখলেছুর রহমান।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, কুণ্ডা ইউনিয়নে নাদিম হোসেন মামুন, পূর্বভাগ ইউনিয়নে মো. আলম উদ্দিন, মো. জাহের মিয়া ও মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া। হরিপুর ইউনিয়নের ফারুক মিয়া ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তার। গুনিয়াউক ইউনিয়নের সৈয়দ মোস্তাক আহমদ। চাপরতলা ইউনিয়নের মো. আব্দুল আহাদ ও কামরুজ্জামান। গোয়ালনগর ইউনিয়নের মো. আজহারুল হক ও মো.কাপ্তান মিয়া। ভলাকুট ইউনিয়নের মো. শাহ আলম ও মো. আরাফাত আলী। চাতলপাড় ইউনিয়নের মীর হোসেন ও মো. রফিকুল ইসলাম।

বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির অনেক নেতাই অংশ নিচ্ছেন। প্রার্থীরা হলেন- হাসানুর রহমান উপজেলা জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বুড়িশ্বর ইউনিয়ন থেকে মো. ইকবাল চৌধুরী (উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি), কুণ্ডা ইউনিয়ন থেকে ওমরাহ খান (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), ধরমণ্ডল ইউনিয়ন থেকে সফিকুল ইসলাম (ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক), ফান্দাউক ইউনিয়ন থেকে মো. সফিকুল ইসলাম (ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) গোকর্ণ ইউনিয়ন থেকে শামসুল আরিফিন (উপজেলা বিএনপির যুবদল কর্মী), পূর্বভাগ ইউনিয়ন থেকে মোহাম্মদ হোসেন (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি), হরিপুর ইউনিয়ন থেকে মো. জামাল মিয়া (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি), গুনিয়াউক ইউনিয়ন থেকে মো. শামসুল হক (উপজেলা বিএনপির সদস্য), চাপরতলা ইউনিয়ন থেকে ফয়েজ উদ্দিন ভূঁইয়া (উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি) ও ভলাকুট ইউনিয়ন থেকে মোজাম্মেল হক (উপজেলা বিএনপির কর্মী)।

এছাড়াও জাতীয় পার্টির সাত, ইসলামি আন্দোলন পাঁচ এবং জাকের পার্টির একজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৩ ইউনিয়নে সাধারণ পদে ৫০৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭০ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিযেছেন।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে সাত, বুড়িশ্বর থেকে তিন, কুণ্ডা পাঁচ, পূর্বভাগ সাত, হরিপুর পাঁচ, গোয়ালনগর তিন, ভলাকুট চার, ধরমণ্ডল, চার, ফান্দাউক চার, চাপরতলা ছয়, গুনিয়াউক চার, গোকর্ণ সাত এবং চাতলপাড় ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। এরপর আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই। তাই আমাদের নির্বাচন করতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়।

উল্লেখ্য, আগামী ২১ অক্টোবর মনোনয়ন যাচাই-বাচাই করা হবে এবং ২৬ অক্টোবর প্রত্যাহার করার শেষ সময়। ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগরে ১৩ ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র: চ্যানেল২৪