ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এইচএসসির ফল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯
  • / ২৮০ বার পড়া হয়েছে

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন
গতকাল প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হার বেড়েছে; সার্বিকভাবে পাস করেছে ৭৩.৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬.৬৪ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। সেই হিসাবে এবার উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৭.২৯ শতাংশ। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৮ হাজার ২৪ জন। এর পাশাপাশি খারাপ খবর হচ্ছে, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে ৯০৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীই পাস করেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ফাঁস হলেও এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই উচ্চমাধ্যমিকের সব পরীক্ষা শেষ হয়। ৭৩.৯৩ শতাংশ পাসের হারকে ‘যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ও ভালো’ ফল হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের শিক্ষার দিকে মনোযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে আরো ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। ছেলে-মেয়েরা যাতে পড়ালেখায় মনোযোগী হয়, সে জন্য নেওয়া উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এবার কোনো শিক্ষার্থী যদি একটি বা দুটি বিষয়ে ফেল করে, সেগুলোই আবার দিতে হবে, পুনরায় সব পরীক্ষা দিতে হবে না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারলে এ দেশে শতভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যেসব প্রতিষ্ঠান খারাপ ফল করেছে, সেগুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে না পারলে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা যাবে না। সরকারকে সেদিকে জরুরি ভিত্তিতে দৃষ্টি দিতে হবে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের ফল কেন খারাপ হচ্ছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে যোগ্য শিক্ষক। এর কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার মান নির্ভর করে যোগ্য শিক্ষকের ওপর এ উপলব্ধি সবারই থাকা দরকার। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন। তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সুন্দর হোক। যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের হতাশ হলে চলবে না। আবার অনেকের ফল আশানুরূপ হয়নি। তাদেরও মনোবল রাখতে হবে। এই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে অভিভাবকদের। মনে রাখতে হবে, জীবনের অনেক পথ এখনো চলার বাকি। একবার ফল খারাপ হওয়া মানে জীবন থেমে যাওয়া নয়। আজকের অনেক শিক্ষার্থীর সামনেই হয়তো অপেক্ষা করে আছে আরো বিচিত্র চমক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এইচএসসির ফল

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন
গতকাল প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের হার বেড়েছে; সার্বিকভাবে পাস করেছে ৭৩.৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬.৬৪ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। সেই হিসাবে এবার উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৭.২৯ শতাংশ। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৮ হাজার ২৪ জন। এর পাশাপাশি খারাপ খবর হচ্ছে, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে ৯০৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীই পাস করেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ফাঁস হলেও এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই উচ্চমাধ্যমিকের সব পরীক্ষা শেষ হয়। ৭৩.৯৩ শতাংশ পাসের হারকে ‘যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ও ভালো’ ফল হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের শিক্ষার দিকে মনোযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে আরো ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। ছেলে-মেয়েরা যাতে পড়ালেখায় মনোযোগী হয়, সে জন্য নেওয়া উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এবার কোনো শিক্ষার্থী যদি একটি বা দুটি বিষয়ে ফেল করে, সেগুলোই আবার দিতে হবে, পুনরায় সব পরীক্ষা দিতে হবে না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারলে এ দেশে শতভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যেসব প্রতিষ্ঠান খারাপ ফল করেছে, সেগুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে না পারলে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা যাবে না। সরকারকে সেদিকে জরুরি ভিত্তিতে দৃষ্টি দিতে হবে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের ফল কেন খারাপ হচ্ছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে যোগ্য শিক্ষক। এর কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার মান নির্ভর করে যোগ্য শিক্ষকের ওপর এ উপলব্ধি সবারই থাকা দরকার। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন। তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সুন্দর হোক। যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের হতাশ হলে চলবে না। আবার অনেকের ফল আশানুরূপ হয়নি। তাদেরও মনোবল রাখতে হবে। এই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে অভিভাবকদের। মনে রাখতে হবে, জীবনের অনেক পথ এখনো চলার বাকি। একবার ফল খারাপ হওয়া মানে জীবন থেমে যাওয়া নয়। আজকের অনেক শিক্ষার্থীর সামনেই হয়তো অপেক্ষা করে আছে আরো বিচিত্র চমক।