ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নির্বাচন সম্পন্ন; তিনটিতে নৌকার জয়, কুতুবপুরের ভোট স্থগিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট কারচুপির অভিযোগ ও চারজন প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া, কুতুবপুর, পদ্মবিলা ও মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে চারটি ইউনিয়ন পরিষদের তিনটিতেই নৌকা জয়লাভ করেছে। কুতুবপুর ইউনিয়নে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করাই একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ ইউনিয়নে ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অত্র ইউনিয়নের বর্তমান হাসানুজ্জামান মানিক। তিনিই আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। আলুকদিয়া, কুতুবপুর ও মোমিনপুর ইউপিতে ব্যালট পেপারে এবং পদ্মবিলা ইউপিতে ইভিএম-এর মাধ্যমে গতকাল রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ, বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এই চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে চার ইউনিয়নে ১৫৪ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই নির্বাচনে ৪৫টি কেন্দ্রে, ২৪২টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে আলুকদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তাউর রহমান মুকুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৯ ভোট। পদ্মবিলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলম ৪ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম মল্লিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রতীকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন প্রার্থী।

সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন ৫ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ফারুক জোয়ার্দার পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ ভোট। কুতুবপুর ইউনিয়নে ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী জুয়েল রানা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪ ভোট। এ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই এই ইউনিয়নের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচনের কেন্দ্রসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইঁয়া, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, ঈগল-১ টিম মোতায়েনসহ প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে আগে থেকেই উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার জন্য রোববার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রে যান চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম। এসময় ডিসি-এসপি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগকারী সাধারণ ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ডিসি-এসপি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অন্যদিকে, সকালের দিকে আলুকদিয়া ইউনিয়ন পদ্মবিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষেরা ভোট কেন্দ্রে লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একইভাবে কুতুবপুর ও মোমিনপুর ইউনিয়নেও সকালের দিকে ভোটারদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হঠাৎ করেই বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসনের দিকেও আঙ্গুল তোলেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে, প্রশাসন থেকে বলা হয়, বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলোতে অভিযোগ রয়েছে, সেসব বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সদর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভুলটিয়া ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সিদ্ধান্তের পর দুপুর ২টা থেকে ওই ভোট কেন্দ্র গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এছাড়া, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আলুকদিয়ার বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি আমরা জানি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া, ভোট গ্রহণ অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলোতে অভিযোগ রয়েছে, সেসব বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চার ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল:

আলুকদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তাউর রহমান মুকুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৯ ভোট। এছাড়াও, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলাম উদ্দীন (আনারস) ২ হাজার ৯৫৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আলিমুজ্জামান (হাতপাখা) ২ হাজার ৬৫ ভোট, জাতীয় পার্টির জুলফিকার আলী (লাঙ্গল) ৭১ ভোট ও আব্দুল মজিদ (চশমা) ২১২ ভোট পেয়েছেন।

আলুকদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আল বেলাল ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৩৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হাশেম ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৪৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সহিদুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১৩ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে জিয়াউল হক পেয়েছেন ৪২০ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুজ্জামান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১০২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭৬ ভোট।

৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশরাফ আলী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৫১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে আব্দুল হালিম পেয়েছেন ৩২৮ ভোট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আ. জব্বার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৮৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে বিপুল হোসেন পেয়েছেন ৮০৬ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউছার হোসেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৮১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে মনোয়ার মোল্লা পেয়েছেন ৪১৪ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হাবলুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে ১৩৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৮০২ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তোশারেফ হোসেন ভ্যানগাড়ী প্রতীক নিয়ে ৭১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে সিহাবুল ইসলাম পেয়েছেন ৬২৭ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আছিয়া খাতুন, আনোয়ারা খাতুন ও জাহানার পারভীন।

সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন ৫ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ফারুক জোয়ার্দার পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী একরামুল হক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট।

মোমিনপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ইকরামুল হক পেয়েছেন ২৬২ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাবুল হোসেন মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান আপেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫৭ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ হাসান মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে তাইফুল আহমেদ পেয়েছেন ৪০২ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাহিনুর ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আবু শামা পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৮৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে ইসমাইল হোসেন বিশ^াস পেয়েছেন ৫৯২ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে আরিফ হোসেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে লুৎফর রহমান পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে গোলাম রহমান পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আশাদুল হক ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভ্যানগাড়ী প্রতীক নিয়ে সানোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৭১ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আক্তারুজ্জামান উজ্জ্বল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৬৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২৯৮ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আইরিন বেগম, রত্না আক্তার লতা ও সোহাগী খাতুন।

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করায় এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে স্থগিত হওয়া কেন্দ্রটি বাদ দিয়ে এ ইউনিয়নে ভোটে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুয়েল রানা। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪ ভোট। এছাড়াও, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজিজুল হক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৯৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ ভোট, আক্তার হোসেন রনি (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮ ভোট ও নজরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩০১ ভোট। এ ইউনিয়নের ভুলটিয়া কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৭৯। সে হিসেবে ওই কেন্দ্রের মোট ভোটারের থেকেও বেশি ভোটে এগিয়ে থাকায় আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা না করা হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান এ ইউনিয়নে এগিয়ে থাকছেন।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে রিজাউল হক ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১০৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮১২ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জামাত আলী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৭৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউদ্দীন তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫৬ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৭৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৬০২ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম মণ্ডল প্রতীক নিয়ে ১১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে শামসুল আলম পেয়েছেন ৮০৫ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আফাঙ্গীর হোসেন মোরগ প্রতীক নিয়ে ১২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মোকলেচুর রহমান পেয়েছেন ১০৬১ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে এলাহি মণ্ডল ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৫৩ ভোট। ভোট কেন্দ্র স্থগিত হওয়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফলাফল অসম্পন্ন রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হালিম তালা প্রতীক নিয়ে ১০৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে আবু বাক্কা পেয়েছেন ৭০৩ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হাসানুজ্জামান ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে মিলন আলী পেয়েছেন ৩৮৯ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জেসমিন আক্তার ও মালেকা খাতুন।

পদ্মবিলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলম ৪ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম মল্লিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রতীকের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলনের ওমর ফারুক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৫৮৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তাহের বিশ্বাস (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৭ ভোট, আতিয়ার রহমান (মোটরসাইকেল) ১০৪৭ ভোট পেয়েছেন।

পদ্মবিলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মফিজুল ইসলাম মোরগ প্রতীক নিয়ে ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে বকুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিউল আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রউফ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪১ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাজালাল বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৬৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৫৭০ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওমর ফারুক সুমন তালা প্রতীক নিয়ে ৬১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে সালাম শেখ পেয়েছেন ৫০১ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আজিবার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্বাস আলী পেয়েছেন ৭২৬ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইমদাদুল হক মোরগ প্রতীক নিয়ে ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মাহাবুল আলম পেয়েছেন ৩৮৯ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ন কবীর বিশ^াস মোরগ প্রতীক নিয়ে ৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে আলমগীর হোসেন পয়েছেন ৬৫৬ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্দুল মালেক পেয়েছেন ৫৫৪ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌস হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আহাদ আলী পেয়েছেন ৪০০ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শরীফা খাতুন, হাসিনা খাতুন ও লাইলা আরজুমান্তু বানু।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নির্বাচন সম্পন্ন; তিনটিতে নৌকার জয়, কুতুবপুরের ভোট স্থগিত

আপলোড টাইম : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট কারচুপির অভিযোগ ও চারজন প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া, কুতুবপুর, পদ্মবিলা ও মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে চারটি ইউনিয়ন পরিষদের তিনটিতেই নৌকা জয়লাভ করেছে। কুতুবপুর ইউনিয়নে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করাই একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ ইউনিয়নে ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অত্র ইউনিয়নের বর্তমান হাসানুজ্জামান মানিক। তিনিই আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। আলুকদিয়া, কুতুবপুর ও মোমিনপুর ইউপিতে ব্যালট পেপারে এবং পদ্মবিলা ইউপিতে ইভিএম-এর মাধ্যমে গতকাল রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ, বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এই চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে চার ইউনিয়নে ১৫৪ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই নির্বাচনে ৪৫টি কেন্দ্রে, ২৪২টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে আলুকদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তাউর রহমান মুকুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৯ ভোট। পদ্মবিলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলম ৪ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম মল্লিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রতীকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন প্রার্থী।

সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন ৫ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ফারুক জোয়ার্দার পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ ভোট। কুতুবপুর ইউনিয়নে ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী জুয়েল রানা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪ ভোট। এ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই এই ইউনিয়নের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচনের কেন্দ্রসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইঁয়া, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, ঈগল-১ টিম মোতায়েনসহ প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে আগে থেকেই উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার জন্য রোববার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রে যান চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম। এসময় ডিসি-এসপি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগকারী সাধারণ ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ডিসি-এসপি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অন্যদিকে, সকালের দিকে আলুকদিয়া ইউনিয়ন পদ্মবিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষেরা ভোট কেন্দ্রে লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একইভাবে কুতুবপুর ও মোমিনপুর ইউনিয়নেও সকালের দিকে ভোটারদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হঠাৎ করেই বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। প্রশাসনের দিকেও আঙ্গুল তোলেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে, প্রশাসন থেকে বলা হয়, বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলোতে অভিযোগ রয়েছে, সেসব বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সদর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভুলটিয়া ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সিদ্ধান্তের পর দুপুর ২টা থেকে ওই ভোট কেন্দ্র গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এছাড়া, ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আলুকদিয়ার বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি আমরা জানি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া, ভোট গ্রহণ অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলোতে অভিযোগ রয়েছে, সেসব বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চার ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল:

আলুকদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তাউর রহমান মুকুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৯ ভোট। এছাড়াও, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলাম উদ্দীন (আনারস) ২ হাজার ৯৫৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আলিমুজ্জামান (হাতপাখা) ২ হাজার ৬৫ ভোট, জাতীয় পার্টির জুলফিকার আলী (লাঙ্গল) ৭১ ভোট ও আব্দুল মজিদ (চশমা) ২১২ ভোট পেয়েছেন।

আলুকদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আল বেলাল ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৩৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হাশেম ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৪৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সহিদুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১৩ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে জিয়াউল হক পেয়েছেন ৪২০ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুজ্জামান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১০২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭৬ ভোট।

৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশরাফ আলী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৫১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে আব্দুল হালিম পেয়েছেন ৩২৮ ভোট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আ. জব্বার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৮৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে বিপুল হোসেন পেয়েছেন ৮০৬ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউছার হোসেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৮১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে মনোয়ার মোল্লা পেয়েছেন ৪১৪ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হাবলুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে ১৩৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৮০২ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তোশারেফ হোসেন ভ্যানগাড়ী প্রতীক নিয়ে ৭১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে সিহাবুল ইসলাম পেয়েছেন ৬২৭ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আছিয়া খাতুন, আনোয়ারা খাতুন ও জাহানার পারভীন।

সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন ৫ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ফারুক জোয়ার্দার পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী একরামুল হক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট।

মোমিনপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ইকরামুল হক পেয়েছেন ২৬২ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাবুল হোসেন মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান আপেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫৭ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ হাসান মোরগ প্রতীক নিয়ে ৪১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে তাইফুল আহমেদ পেয়েছেন ৪০২ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাহিনুর ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আবু শামা পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৮৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে ইসমাইল হোসেন বিশ^াস পেয়েছেন ৫৯২ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে আরিফ হোসেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে লুৎফর রহমান পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে গোলাম রহমান পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আশাদুল হক ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভ্যানগাড়ী প্রতীক নিয়ে সানোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৭১ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আক্তারুজ্জামান উজ্জ্বল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৬৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২৯৮ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আইরিন বেগম, রত্না আক্তার লতা ও সোহাগী খাতুন।

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করায় এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে স্থগিত হওয়া কেন্দ্রটি বাদ দিয়ে এ ইউনিয়নে ভোটে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুয়েল রানা। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪ ভোট। এছাড়াও, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজিজুল হক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৯৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ ভোট, আক্তার হোসেন রনি (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮ ভোট ও নজরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩০১ ভোট। এ ইউনিয়নের ভুলটিয়া কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৭৯। সে হিসেবে ওই কেন্দ্রের মোট ভোটারের থেকেও বেশি ভোটে এগিয়ে থাকায় আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা না করা হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান এ ইউনিয়নে এগিয়ে থাকছেন।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে রিজাউল হক ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১০৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮১২ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জামাত আলী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৭৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউদ্দীন তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫৬ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৭৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৬০২ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম মণ্ডল প্রতীক নিয়ে ১১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে শামসুল আলম পেয়েছেন ৮০৫ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আফাঙ্গীর হোসেন মোরগ প্রতীক নিয়ে ১২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মোকলেচুর রহমান পেয়েছেন ১০৬১ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে এলাহি মণ্ডল ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৫৩ ভোট। ভোট কেন্দ্র স্থগিত হওয়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফলাফল অসম্পন্ন রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হালিম তালা প্রতীক নিয়ে ১০৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে আবু বাক্কা পেয়েছেন ৭০৩ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হাসানুজ্জামান ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে মিলন আলী পেয়েছেন ৩৮৯ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জেসমিন আক্তার ও মালেকা খাতুন।

পদ্মবিলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলম ৪ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম মল্লিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রতীকের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলনের ওমর ফারুক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৫৮৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তাহের বিশ্বাস (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৭ ভোট, আতিয়ার রহমান (মোটরসাইকেল) ১০৪৭ ভোট পেয়েছেন।

পদ্মবিলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মফিজুল ইসলাম মোরগ প্রতীক নিয়ে ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে বকুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিউল আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রউফ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪১ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাজালাল বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৬৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৫৭০ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওমর ফারুক সুমন তালা প্রতীক নিয়ে ৬১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে সালাম শেখ পেয়েছেন ৫০১ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আজিবার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্বাস আলী পেয়েছেন ৭২৬ ভোট।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইমদাদুল হক মোরগ প্রতীক নিয়ে ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মাহাবুল আলম পেয়েছেন ৩৮৯ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ন কবীর বিশ^াস মোরগ প্রতীক নিয়ে ৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীক নিয়ে আলমগীর হোসেন পয়েছেন ৬৫৬ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৭০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্দুল মালেক পেয়েছেন ৫৫৪ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌস হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আহাদ আলী পেয়েছেন ৪০০ ভোট। এ ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শরীফা খাতুন, হাসিনা খাতুন ও লাইলা আরজুমান্তু বানু।