ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উত্তম স্বামীর গুণ বৈশিষ্ট্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৩৭১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমাদের মাঝে ওই ব্যক্তি ভালো যে, তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে তার স্ত্রীর কাছে ভালো স্বামী হতে পারেন নানা উপায়ে। স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যে সব গুণ-বৈশিষ্ট্যের কারণে ভালো হয় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১. স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করা। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলা। তার প্রতি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকা। ২. জীবন সঙ্গিনীর অধিকারের বিষয়গুলো অবহেলা না করা, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করা। ৩. বাইরে নানা কাজে থাকলেও অন্য কোনো নারীর প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া।  পরনারী থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, মনকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সংযত রাখা। ৪. নিজে নিয়মিত ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা, স্ত্রীকেও শেখানো এবং সে ব্যাপারে তাকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি দু’জনে মিলে নিজেদের জীবনে ইসলাম পরিপালনের চেষ্টা করা। ৫. জীবন সঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তখন মজবুত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকা। ৬. যদি স্ত্রী কখনো কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তখন রেগে বা ক্ষেপে না গিয়ে নিজেকে শান্ত রাখা। আর এ কথা মনে করা যে, স্ত্রী হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চায়নি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে। ৭. ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতো সাহায্য করা। স্বামীর জন্য সম্পন্ন করা সম্ভব এমন কাজ স্ত্রীর জন্য ফেলে না রাখা। ৮. সন্তানদের ইসলামী জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকা। সন্তানদের ইসলামের আলোকে গড়ে তোলার ব্যাপারে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করা। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে সচেতন থাকা। ৯. কোনো কারণে মনোমালিন্য হলেও ঘরের বাইরে কখনো দু’জনে আলাদা না হওয়া, স্ত্রী বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেয়া। মাঝে-মাঝেই দু’জনে মিলে ঘুরতে বের হওয়া। এতে স্ত্রী কিছুটা সময় স্বামীর সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়। এতে তিনি বাইরের পরিবেশ সম্পর্কেও অবগত হবেন। ১০. জীবন সঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুল এড়িয়ে যাওয়া এবং তার ভালো কাজ বা গুণগুলোর জন্য তার প্রশংসা করা। আর কখনো ছেলেমেয়েদের সামনে স্ত্রীকে শাসন না করা, প্রয়োজনে যথাসম্ভব চুপিসারে ও আড়ালে-আবডালে তাকে বুঝিয়ে দেয়া বা শাসন করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

উত্তম স্বামীর গুণ বৈশিষ্ট্য

আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমাদের মাঝে ওই ব্যক্তি ভালো যে, তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে তার স্ত্রীর কাছে ভালো স্বামী হতে পারেন নানা উপায়ে। স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যে সব গুণ-বৈশিষ্ট্যের কারণে ভালো হয় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১. স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করা। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলা। তার প্রতি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকা। ২. জীবন সঙ্গিনীর অধিকারের বিষয়গুলো অবহেলা না করা, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করা। ৩. বাইরে নানা কাজে থাকলেও অন্য কোনো নারীর প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া।  পরনারী থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, মনকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সংযত রাখা। ৪. নিজে নিয়মিত ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা, স্ত্রীকেও শেখানো এবং সে ব্যাপারে তাকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি দু’জনে মিলে নিজেদের জীবনে ইসলাম পরিপালনের চেষ্টা করা। ৫. জীবন সঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তখন মজবুত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকা। ৬. যদি স্ত্রী কখনো কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তখন রেগে বা ক্ষেপে না গিয়ে নিজেকে শান্ত রাখা। আর এ কথা মনে করা যে, স্ত্রী হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চায়নি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে। ৭. ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতো সাহায্য করা। স্বামীর জন্য সম্পন্ন করা সম্ভব এমন কাজ স্ত্রীর জন্য ফেলে না রাখা। ৮. সন্তানদের ইসলামী জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকা। সন্তানদের ইসলামের আলোকে গড়ে তোলার ব্যাপারে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করা। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে সচেতন থাকা। ৯. কোনো কারণে মনোমালিন্য হলেও ঘরের বাইরে কখনো দু’জনে আলাদা না হওয়া, স্ত্রী বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেয়া। মাঝে-মাঝেই দু’জনে মিলে ঘুরতে বের হওয়া। এতে স্ত্রী কিছুটা সময় স্বামীর সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়। এতে তিনি বাইরের পরিবেশ সম্পর্কেও অবগত হবেন। ১০. জীবন সঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুল এড়িয়ে যাওয়া এবং তার ভালো কাজ বা গুণগুলোর জন্য তার প্রশংসা করা। আর কখনো ছেলেমেয়েদের সামনে স্ত্রীকে শাসন না করা, প্রয়োজনে যথাসম্ভব চুপিসারে ও আড়ালে-আবডালে তাকে বুঝিয়ে দেয়া বা শাসন করা।