ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উচ্চ ফলনশীল ও আধুনিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদায় বোরো ধান সমলয়ে চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ডিসি নজরুল ইসলাম
মোজাম্মেল শিশির, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় ২০২১-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে বোরো ধান সমলয়ে চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, দেশের অর্থনীতি মূলত ধান উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্য চাহিদা। নতুন নতুন বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগ না থাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের মাধ্যমে কম খরচে অধিক ফলন বাড়াতে আমাদের উচ্চ ফলনশীল ও আধুনিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষিতে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাচ্ছে। তাতে করে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এই কারণে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে ৬১টি উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের অদূরে হাউলির ১ নম্বর সেচ পাম্পের আওতায় মাঠের ১৫০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের এই ধান চাষ করা হবে। এরই মধ্যে তিন ধরনের পদ্ধতিতে বীজতলা ও চারা তৈরির স¤পন্ন হয়েছে। গতকাল ধান রোপণ কাজ শুরু করা হলো। কয়েক দিনের মধ্যে সমস্ত জমিতে রোপণ কাজ স¤পন্ন করা হবে।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক হযরত আলীসহ স্থানীয় কৃষকগণ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে চারজন চাষিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

উচ্চ ফলনশীল ও আধুনিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:৪১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

দামুড়হুদায় বোরো ধান সমলয়ে চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ডিসি নজরুল ইসলাম
মোজাম্মেল শিশির, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় ২০২১-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে বোরো ধান সমলয়ে চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, দেশের অর্থনীতি মূলত ধান উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্য চাহিদা। নতুন নতুন বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগ না থাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের মাধ্যমে কম খরচে অধিক ফলন বাড়াতে আমাদের উচ্চ ফলনশীল ও আধুনিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষিতে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাচ্ছে। তাতে করে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এই কারণে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে ৬১টি উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের অদূরে হাউলির ১ নম্বর সেচ পাম্পের আওতায় মাঠের ১৫০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের এই ধান চাষ করা হবে। এরই মধ্যে তিন ধরনের পদ্ধতিতে বীজতলা ও চারা তৈরির স¤পন্ন হয়েছে। গতকাল ধান রোপণ কাজ শুরু করা হলো। কয়েক দিনের মধ্যে সমস্ত জমিতে রোপণ কাজ স¤পন্ন করা হবে।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক হযরত আলীসহ স্থানীয় কৃষকগণ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে চারজন চাষিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।