ঈদগাহর পরিবর্তে এবার মসজিদে হবে ঈদের নামাজ
- আপলোড টাইম : ১০:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০
- / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ সংক্রান্তবিষয়ক সভায় সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ঈদুল ফিতরের নামাজ সংক্রান্তবিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভায় খোলা জায়গা বা ঈদগাহের পরিবর্তে নিকটস্থ সব মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়া এবং সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৪৫ মিনিট পরপর জামাত শুরুসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ১৩ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের নামাজ হবে বলে জানানো হয়।
সভায় জানানো নির্দেশনাগুলো হলো- চুয়াডাঙ্গায় ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে; মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রতিবার নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
সভায় করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা করা হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সীমিত আকারে ঈদগাহ কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।