ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলাম জ্ঞানার্জনে উৎসাহ দিয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে। মানুষকে আল্লাহ জ্ঞানদান ও তার মধ্যে জ্ঞানস্পৃহা সৃষ্টি করেছেন। যে কারণে মানুষ সৃষ্টির সেরা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। বিশুদ্ধ মানুষ হতে হলে প্রয়োজন জ্ঞান। মানুষকে ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি পার্থিব জগৎ সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে। নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে প্রমাণ করতে হলে কোরআন-হাদিসের জ্ঞান আয়ত্ত করতে হবে। মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতেও প্রয়োজন জ্ঞান। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রেও জ্ঞানের বিকল্প নেই। ইসলাম জ্ঞানচর্চাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তবে সে জ্ঞানচর্চা হতে হবে ধর্মীয় জ্ঞান অথবা মানব জাতির কল্যাণ করে এমন জ্ঞান। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুই ব্যক্তির বেলায় হাসাদ (ঈর্ষা) পোষণ জায়েজ। ১. যাকে আল্লাহ ধনসম্পদ দান করেছেন এবং তা সৎপথে ব্যয় করার মনমানসিকতাও দান করেছেন। ২. যাকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন এবং সে তার সাহায্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (বিবাদ মীমাংসা করে) ও তা অন্যদের শিক্ষা দেয়।’ বুখারি, মুসলিম থেকে মিশকাতে। আরবি ভাষায় হাসাদের অর্থ ‘প্রতিহিংসা নয়’, সমকক্ষ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা। এ হাদিসের ক্ষেত্রে শব্দটির অর্থ প্রতিযোগিতা হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ নেকির কাজ দুটির ক্ষেত্রে ঈর্ষা পোষণ বা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া যেতে পারে বা লিপ্ত হওয়া উচিত। ইসলাম জ্ঞানচর্চাকে কতখানি গুরুত্ব দিয়েছে আর একটি হাদিসের ভাষ্য তারই প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রাতে কিছু সময় জ্ঞানচর্চা করা সারা রাতের নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম।’ দারিমির সুনান থেকে মিশকাতে। রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের সময় আরব জাহান ছিল অজ্ঞতায় ভরা। কিন্তু ইসলামের আবির্ভাব আরব জাহানকে আলোকিত জাতিতে পরিণত করে। জ্ঞানচর্চার নতুন আবহ সৃষ্টি হয় আল কোরআন ও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষার বদৌলতে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জ্ঞানের কথা জ্ঞানী ব্যক্তির হারানো সম্পদ। যেখানেই সে তা পাবে সে-ই হবে এর যোগ্য অধিকারী।’ তিরমিজি থেকে মিশকাতে। মানুষ যেমন তার হারানো সম্পদ ফিরে পেতে উন্মুখ থাকে তেমন রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারীরা যাতে জ্ঞানার্জনে উন্মুখ থাকে সে তাগিদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে এ হাদিসে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দীনি জ্ঞানসহ মানবকল্যাণের প্রয়োজনীয় সব জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলাম জ্ঞানার্জনে উৎসাহ দিয়েছে

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

ধর্ম প্রতিবেদন:
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে। মানুষকে আল্লাহ জ্ঞানদান ও তার মধ্যে জ্ঞানস্পৃহা সৃষ্টি করেছেন। যে কারণে মানুষ সৃষ্টির সেরা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। বিশুদ্ধ মানুষ হতে হলে প্রয়োজন জ্ঞান। মানুষকে ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি পার্থিব জগৎ সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে। নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে প্রমাণ করতে হলে কোরআন-হাদিসের জ্ঞান আয়ত্ত করতে হবে। মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতেও প্রয়োজন জ্ঞান। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রেও জ্ঞানের বিকল্প নেই। ইসলাম জ্ঞানচর্চাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তবে সে জ্ঞানচর্চা হতে হবে ধর্মীয় জ্ঞান অথবা মানব জাতির কল্যাণ করে এমন জ্ঞান। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুই ব্যক্তির বেলায় হাসাদ (ঈর্ষা) পোষণ জায়েজ। ১. যাকে আল্লাহ ধনসম্পদ দান করেছেন এবং তা সৎপথে ব্যয় করার মনমানসিকতাও দান করেছেন। ২. যাকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন এবং সে তার সাহায্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (বিবাদ মীমাংসা করে) ও তা অন্যদের শিক্ষা দেয়।’ বুখারি, মুসলিম থেকে মিশকাতে। আরবি ভাষায় হাসাদের অর্থ ‘প্রতিহিংসা নয়’, সমকক্ষ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা। এ হাদিসের ক্ষেত্রে শব্দটির অর্থ প্রতিযোগিতা হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ নেকির কাজ দুটির ক্ষেত্রে ঈর্ষা পোষণ বা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া যেতে পারে বা লিপ্ত হওয়া উচিত। ইসলাম জ্ঞানচর্চাকে কতখানি গুরুত্ব দিয়েছে আর একটি হাদিসের ভাষ্য তারই প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রাতে কিছু সময় জ্ঞানচর্চা করা সারা রাতের নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম।’ দারিমির সুনান থেকে মিশকাতে। রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবের সময় আরব জাহান ছিল অজ্ঞতায় ভরা। কিন্তু ইসলামের আবির্ভাব আরব জাহানকে আলোকিত জাতিতে পরিণত করে। জ্ঞানচর্চার নতুন আবহ সৃষ্টি হয় আল কোরআন ও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষার বদৌলতে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জ্ঞানের কথা জ্ঞানী ব্যক্তির হারানো সম্পদ। যেখানেই সে তা পাবে সে-ই হবে এর যোগ্য অধিকারী।’ তিরমিজি থেকে মিশকাতে। মানুষ যেমন তার হারানো সম্পদ ফিরে পেতে উন্মুখ থাকে তেমন রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারীরা যাতে জ্ঞানার্জনে উন্মুখ থাকে সে তাগিদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে এ হাদিসে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দীনি জ্ঞানসহ মানবকল্যাণের প্রয়োজনীয় সব জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করুন।