ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামের নির্দেশনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: তথ্য অনেক বড় শক্তি। তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদান বর্তমান সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। তবে এই তথ্য বা খবর আদান-প্রদানে শুদ্ধতা এবং অশুদ্ধতা দুটির সম্ভাবনাই থাকে। এ জন্য খবর গ্রহণ এবং প্রদানের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া কাম্য। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা আরোপের কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্যই ইসলাম খবর গ্রহণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যে কোনো কথা শুনেই তা যেমন বিশ্বাস করা যাবে না তেমনি কোনো কিছু শুনে যাচাই-বাছাই না করে তা প্রচারও করা যাবে না। ইসলামি বিধানমতে এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। কোরান ও হাদিসে খবরের সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ বলেছেন-হে মুমিনগণ, কোনো ফাসেক (পাপাচারী) যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বসো। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হয় (হুজুরাত-৬)। সামগ্রিকভাবে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য হলে সাধারণ অবস্থায় তার খবর গ্রহণ করতে অসুবিধা নেই। আর গুজব, উড়ো কথা, অজ্ঞাত-অপরিচিত, ফাসেক ও মিথ্যুকের খবর চিন্তাভাবনা ছাড়া বিশ্বাস করা জায়েজ নয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো খবর বিশ্বাস এবং তা প্রচার করা গুনাহের কাজ। এর দ্বারা ওই ব্যক্তির সম্মানহানি হয়, মানুষের সামনে তিনি হেয় হন। আর কোনো মুমিন অন্য মুমিনের সম্মানহানি বা হেয় করতে পারে না। এটা করলে বান্দার হক নষ্ট করা হবে। ইসলামে বান্দার হক নষ্ট করাকে খুব জঘন্য মনে করা হয়। খবর প্রচারে সবচেয়ে বেশি সতর্ক এবং দায়িত্বশীল হতে হবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের। কারণ অনুমাননির্ভর, গুজবের ওপর ভিত্তি করে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো বিরুদ্ধে নেতিবাচক কোনো খবর প্রচার করা জঘন্য গুনাহের কাজ। প্রকৃত মুমিন এটা কখনো করতে পারে না। এভাবে কাউকে হেয় করলে এর পরিণতি অবশ্যই ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাকে কেয়ামতের দিন হেনস্থা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য সবার উচিত একটি খবর বিশ্বাস করা এবং তা প্রচার করার আগে একটু ভাবা এটা সঠিক কিনা। মিথ্যা খবর প্রচার করে আমি জাহান্নামে নিজের ঠিকানা গড়ে তুলছি কিনা সেটাও বিবেচনায় থাকতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামের নির্দেশনা

আপলোড টাইম : ০২:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: তথ্য অনেক বড় শক্তি। তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদান বর্তমান সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। তবে এই তথ্য বা খবর আদান-প্রদানে শুদ্ধতা এবং অশুদ্ধতা দুটির সম্ভাবনাই থাকে। এ জন্য খবর গ্রহণ এবং প্রদানের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া কাম্য। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা আরোপের কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্যই ইসলাম খবর গ্রহণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যে কোনো কথা শুনেই তা যেমন বিশ্বাস করা যাবে না তেমনি কোনো কিছু শুনে যাচাই-বাছাই না করে তা প্রচারও করা যাবে না। ইসলামি বিধানমতে এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। কোরান ও হাদিসে খবরের সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ বলেছেন-হে মুমিনগণ, কোনো ফাসেক (পাপাচারী) যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বসো। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হয় (হুজুরাত-৬)। সামগ্রিকভাবে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য হলে সাধারণ অবস্থায় তার খবর গ্রহণ করতে অসুবিধা নেই। আর গুজব, উড়ো কথা, অজ্ঞাত-অপরিচিত, ফাসেক ও মিথ্যুকের খবর চিন্তাভাবনা ছাড়া বিশ্বাস করা জায়েজ নয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো খবর বিশ্বাস এবং তা প্রচার করা গুনাহের কাজ। এর দ্বারা ওই ব্যক্তির সম্মানহানি হয়, মানুষের সামনে তিনি হেয় হন। আর কোনো মুমিন অন্য মুমিনের সম্মানহানি বা হেয় করতে পারে না। এটা করলে বান্দার হক নষ্ট করা হবে। ইসলামে বান্দার হক নষ্ট করাকে খুব জঘন্য মনে করা হয়। খবর প্রচারে সবচেয়ে বেশি সতর্ক এবং দায়িত্বশীল হতে হবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের। কারণ অনুমাননির্ভর, গুজবের ওপর ভিত্তি করে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো বিরুদ্ধে নেতিবাচক কোনো খবর প্রচার করা জঘন্য গুনাহের কাজ। প্রকৃত মুমিন এটা কখনো করতে পারে না। এভাবে কাউকে হেয় করলে এর পরিণতি অবশ্যই ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাকে কেয়ামতের দিন হেনস্থা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য সবার উচিত একটি খবর বিশ্বাস করা এবং তা প্রচার করার আগে একটু ভাবা এটা সঠিক কিনা। মিথ্যা খবর প্রচার করে আমি জাহান্নামে নিজের ঠিকানা গড়ে তুলছি কিনা সেটাও বিবেচনায় থাকতে হবে।