ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামের দৃষ্টিতে দায়িত্বনিষ্ঠা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
মানুষের মর্যাদা এবং মানবতা উৎকষের্র ইতিহাস পর্যালোচনা করলে মূল একটি বিষয় আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়। আর সেটা হলোÑ মানবতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা বা দায়িত্বনিষ্ঠা। আল্লাহ মহানের সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ জীব একমাত্র মানুষকেই বিবেক-বুদ্ধি প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্বনিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমানায় আবদ্ধ করা হয়েছে মানুষকে। সৃষ্টির সেরা জীব, উত্তম জাতি হিসেবে আমাদের সবার উচিত দায়িত্বশীল হওয়া। আল্লাহ মহানের দান করা বিবেকবোধকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্বশীল মানুষ হওয়ার ব্রুতী হওয়া উচিত। ইসলাম মানুষকে দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেছে। মানুষকে দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা এবং বিভিন্ন হাদিসে রাসুল (সা.) উপদেশ প্রদান করেছেন। দায়িত্বশীল বা দায়িত্বনিষ্ঠ হওয়ার জন্য এসব উপদেশকে গ্রহণ করা উচিত এবং বাস্তব জীবনে আমলে নেয়া বাঞ্ছনীয়। দায়িত্বশীল হওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠা বলতে কী বোঝায়? একজন মানুষ যখন তার জীবনের প্রতিটি বিষয় এবং পদের সঠিক দায়িত্ব-কর্তব্য নির্ধারণ করে এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করে, তখনই সেটা হয় দায়িত্বশীলতা। দায়িত্বশীল হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে সহযোগিতা করে তার বিবেক। বিবেকের তাগিদে মানুষের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়। আর এই মূল্যবোধের সুচারু ব্যবহারের মাধ্যমে নিরূপিত হয় দায়িত্ববোধ। এই দায়িত্ববোধই প্রকৃত দায়িত্বনিষ্ঠা। ইসলাম মানুষের দায়িত্বনিষ্ঠাকে গুরুত্ব প্রদান করেছে। হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেকেই তোমরা দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।’ একজন মানুষের জীবনে দায়িত্বশীলতা বা দায়িত্বনিষ্ঠার গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য নবীজির এই একটি বাণীই যথেষ্ট। নবীজির (সা.) গোটা জীবনকে তিনি দায়িত্বশীলতার সুন্দর রূপরেখায় পরিচালিত করেছেন। জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্বশীল মানুষ ছিলেন তিনি। কেবল ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপারে নয়, তিনি ছিলেন সব মানুষ, সব মাখলুকাতের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তার জীবনের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি মুহূর্তের চলাফেরায় দায়িত্বজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে, নবীজির (সা.) প্রকৃত অনুসারী হিসেবে আমাদের জীবনে দায়িত্বশীলতাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার আদেশ ও নবীজির (সা.) নির্দেশনা মেনে দায়িত্বশীল মানুষ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামের দৃষ্টিতে দায়িত্বনিষ্ঠা

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

ধর্ম প্রতিবেদন:
মানুষের মর্যাদা এবং মানবতা উৎকষের্র ইতিহাস পর্যালোচনা করলে মূল একটি বিষয় আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়। আর সেটা হলোÑ মানবতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা বা দায়িত্বনিষ্ঠা। আল্লাহ মহানের সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ জীব একমাত্র মানুষকেই বিবেক-বুদ্ধি প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্বনিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমানায় আবদ্ধ করা হয়েছে মানুষকে। সৃষ্টির সেরা জীব, উত্তম জাতি হিসেবে আমাদের সবার উচিত দায়িত্বশীল হওয়া। আল্লাহ মহানের দান করা বিবেকবোধকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্বশীল মানুষ হওয়ার ব্রুতী হওয়া উচিত। ইসলাম মানুষকে দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেছে। মানুষকে দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা এবং বিভিন্ন হাদিসে রাসুল (সা.) উপদেশ প্রদান করেছেন। দায়িত্বশীল বা দায়িত্বনিষ্ঠ হওয়ার জন্য এসব উপদেশকে গ্রহণ করা উচিত এবং বাস্তব জীবনে আমলে নেয়া বাঞ্ছনীয়। দায়িত্বশীল হওয়া বা দায়িত্বনিষ্ঠা বলতে কী বোঝায়? একজন মানুষ যখন তার জীবনের প্রতিটি বিষয় এবং পদের সঠিক দায়িত্ব-কর্তব্য নির্ধারণ করে এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করে, তখনই সেটা হয় দায়িত্বশীলতা। দায়িত্বশীল হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে সহযোগিতা করে তার বিবেক। বিবেকের তাগিদে মানুষের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়। আর এই মূল্যবোধের সুচারু ব্যবহারের মাধ্যমে নিরূপিত হয় দায়িত্ববোধ। এই দায়িত্ববোধই প্রকৃত দায়িত্বনিষ্ঠা। ইসলাম মানুষের দায়িত্বনিষ্ঠাকে গুরুত্ব প্রদান করেছে। হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেকেই তোমরা দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।’ একজন মানুষের জীবনে দায়িত্বশীলতা বা দায়িত্বনিষ্ঠার গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য নবীজির এই একটি বাণীই যথেষ্ট। নবীজির (সা.) গোটা জীবনকে তিনি দায়িত্বশীলতার সুন্দর রূপরেখায় পরিচালিত করেছেন। জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্বশীল মানুষ ছিলেন তিনি। কেবল ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপারে নয়, তিনি ছিলেন সব মানুষ, সব মাখলুকাতের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তার জীবনের প্রতিটি কাজ, প্রতিটি মুহূর্তের চলাফেরায় দায়িত্বজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে, নবীজির (সা.) প্রকৃত অনুসারী হিসেবে আমাদের জীবনে দায়িত্বশীলতাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার আদেশ ও নবীজির (সা.) নির্দেশনা মেনে দায়িত্বশীল মানুষ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।