ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালতে পশ্চিম তীর থেকে ইহুদি বসতি সরানোর আদেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০
  • / ২৩০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জবরদখল করে পশ্চিম তীরে যেসব ইহুদি বসতি গড়ে উঠেছে সেগুলো সরিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ও বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জেলা আদালতের দেওয়া রায়কে বাতিল করে দিয়ে নতুন এই রায় দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবেই চায়। ওখানে ত্রিশ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। তাদের মধ্যে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ইসরায়েলি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বসতি স্থাপনের পক্ষে হলেও সম্প্রতি আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক স্থাপনের শর্তানুসারে আপাতত পশ্চিম তীরে বসতিস্থাপন স্থগিত করতে সম্মত হন। জানা গেছে, জেলা আদালত যখন ফিলিস্তিনিদের জমির ওপর বসতিস্থাপনকারীদের আইনগত অধিকার দিয়েছিল, তখন তাদের এটা জানা ছিল না যে, মূল মানচিত্রে এসব জমি ফিলিস্তিনিদের হিসেবে দেখানো হয়েছে। জর্ডান উপত্যকায় একটি পাহাড়ের চূড়ায় ২০ বছর আগে বসতি স্থাপন করা ৪০টি পরিবার রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন প্লটে বাস করে।
তাদের দাবি, তারা সেখানে বাস করার জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কাজটি অন্যায্যভাবে করেছে এবং তারা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য মালিকানাকে উপেক্ষা করেছে। বেশির ভাগ দেশ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলে দখল করা ভূমির ওপর ইসরায়েলিদের নতুন বসতি স্থাপনের বিরোধিতা করে। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বসতি স্থাপনকে বৈধ মনে করে। সূত্র : আল-জাজিরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালতে পশ্চিম তীর থেকে ইহুদি বসতি সরানোর আদেশ

আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

বিশ্ব ডেস্ক:
ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জবরদখল করে পশ্চিম তীরে যেসব ইহুদি বসতি গড়ে উঠেছে সেগুলো সরিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ও বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জেলা আদালতের দেওয়া রায়কে বাতিল করে দিয়ে নতুন এই রায় দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবেই চায়। ওখানে ত্রিশ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। তাদের মধ্যে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ইসরায়েলি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বসতি স্থাপনের পক্ষে হলেও সম্প্রতি আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক স্থাপনের শর্তানুসারে আপাতত পশ্চিম তীরে বসতিস্থাপন স্থগিত করতে সম্মত হন। জানা গেছে, জেলা আদালত যখন ফিলিস্তিনিদের জমির ওপর বসতিস্থাপনকারীদের আইনগত অধিকার দিয়েছিল, তখন তাদের এটা জানা ছিল না যে, মূল মানচিত্রে এসব জমি ফিলিস্তিনিদের হিসেবে দেখানো হয়েছে। জর্ডান উপত্যকায় একটি পাহাড়ের চূড়ায় ২০ বছর আগে বসতি স্থাপন করা ৪০টি পরিবার রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন প্লটে বাস করে।
তাদের দাবি, তারা সেখানে বাস করার জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কাজটি অন্যায্যভাবে করেছে এবং তারা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য মালিকানাকে উপেক্ষা করেছে। বেশির ভাগ দেশ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলে দখল করা ভূমির ওপর ইসরায়েলিদের নতুন বসতি স্থাপনের বিরোধিতা করে। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বসতি স্থাপনকে বৈধ মনে করে। সূত্র : আল-জাজিরা।