ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইমান বিনষ্টের কারণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: একজন মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ইমান। মুসলমান তার প্রাণ উৎসর্গ করতে পারে তবুও ইমান বিসর্জন দিতে পারে না। তবে আমরা স্বাভাবিকভাবে এমন কিছু কাজ প্রায়ই করে বসি যাতে আমাদের ইমান হুমকির মুখে পড়ে। অনেক সময় আমাদের অজ্ঞাতে ইমান চলে যায়। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে ইমান যে চলে গেছে সেটা আমরা টেরও পাই না কিংবা বুঝি না। এজন্য কিছু কিছু বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকা চাই। ইমান সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। ইমান বিনষ্টের প্রথম কারণ হলো শিরক বা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। আমরা অনেক সময় বুঝে না বুঝে আল্লাহর সঙ্গে মাখলুককে শরিক করে বসি। যেমন পীরের কাছে কিছু চাওয়া, কোনো ওলিকে মুশকিলের আসান মনে করা এটা সরাসরি শিরক। এতে ইমান চলে যাবে এবং নতুন করে ইমান আনতে হবে। কেউ কেউ আল্লাহর সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য কাউকে মাধ্যম হিসেবে মনে করেন। এটাও ইমান বিধ্বংসী। মুশরিক বা কাফেরকে কাফের না বলা বা তাদের কুফুরিতে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক ভাবাও ইমানের জন্য জঘন্য। রাসুল (সা.) প্রণীত কোনো বিষয়কে ঘৃণার চোখে দেখা কিংবা এর মধ্যে কোনো দোষ খুঁজে বেড়ানোও ইমান হারানোর একটি কারণ। অনেকে রাসুলের সুন্নত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন, অথচ নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবি করেন। এছাড়া দীনের কোনো বিষয় নিয়ে বিদ্রুপ করা যাবে না। এর দ্বারা ইমান চলে যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইমান বিনষ্টের কারণ

আপলোড টাইম : ১০:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: একজন মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ইমান। মুসলমান তার প্রাণ উৎসর্গ করতে পারে তবুও ইমান বিসর্জন দিতে পারে না। তবে আমরা স্বাভাবিকভাবে এমন কিছু কাজ প্রায়ই করে বসি যাতে আমাদের ইমান হুমকির মুখে পড়ে। অনেক সময় আমাদের অজ্ঞাতে ইমান চলে যায়। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে ইমান যে চলে গেছে সেটা আমরা টেরও পাই না কিংবা বুঝি না। এজন্য কিছু কিছু বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকা চাই। ইমান সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। ইমান বিনষ্টের প্রথম কারণ হলো শিরক বা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। আমরা অনেক সময় বুঝে না বুঝে আল্লাহর সঙ্গে মাখলুককে শরিক করে বসি। যেমন পীরের কাছে কিছু চাওয়া, কোনো ওলিকে মুশকিলের আসান মনে করা এটা সরাসরি শিরক। এতে ইমান চলে যাবে এবং নতুন করে ইমান আনতে হবে। কেউ কেউ আল্লাহর সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য কাউকে মাধ্যম হিসেবে মনে করেন। এটাও ইমান বিধ্বংসী। মুশরিক বা কাফেরকে কাফের না বলা বা তাদের কুফুরিতে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক ভাবাও ইমানের জন্য জঘন্য। রাসুল (সা.) প্রণীত কোনো বিষয়কে ঘৃণার চোখে দেখা কিংবা এর মধ্যে কোনো দোষ খুঁজে বেড়ানোও ইমান হারানোর একটি কারণ। অনেকে রাসুলের সুন্নত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন, অথচ নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবি করেন। এছাড়া দীনের কোনো বিষয় নিয়ে বিদ্রুপ করা যাবে না। এর দ্বারা ইমান চলে যাবে।