ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইবাদত নষ্ট হওয়ার কারণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৯৯৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহর ইবাদত বা গোলামি করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। প্রভুকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যম হলো এই ইবাদত। তবে জীবনের মহান সম্পদ কষ্টের এই ইবাদত নানা কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমাদের অনেক কর্মকাণ্ড এমন আছে যা আমাদের আকিদা-বিশ্বাসে পর্যন্ত ত্র“টি সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিনের আমল নষ্ট হয়ে যেতে সামান্য কিছু কাজের কারণে। এজন্য ইবাদত করাটা যতটা জরুরি ততটাই জরুরি তা ধরে রাখা। ইবাদত নষ্ট হয়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ হলো আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা। অনেকে বিপদাপদ এলে নিরাশ হয়ে যায়। আল্লাহর অনুগ্রহের কথা ভুলে, তার রহমতের সীমাহীন ভাণ্ডারের কথা ভুলে হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ কোরানে বলেন, ‘এমনও কিছু লোক আছে যারা এক কোণে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ইবাদত করে। এরপর যদি সে কল্যাণপ্রাপ্ত হয় তখন সন্তুষ্ট থাকে। আর যদি পরীক্ষার সম্মুখীন হয় তখন সে মুখ ফিরিয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এটাই হলো তার স্পষ্ট ক্ষতি’ (সূরা হজ-১১)। ইসলাম গ্রহণের পর তাতে অবিচল থাকাটা খুবই জরুরি। যারা সাময়িক কোনো বিপদ-আপদ দেখে সেখান থেকে ছিটকে পড়ে কিংবা পেছনে ফিরে যায় তারা ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়। তাদের এ ক্ষতির সীমা শুধু দুনিয়ায় নয়, আখেরাতেও। আসলে পার্থিব সুখ-শান্তি আল্লাহর হাতে। তিনি কাকে কখন সম্মানিত করবেন এটা তার ব্যাপার। তিনি চাইলে কাউকে সম্মানিত করতে পারেন অথবা অসম্মানিতও করতে পারেন। এজন্য কল্যাণ-অকল্যাণ যাই আসুক না কেন সর্বাবস্থায় আল্লাহর বিধান পালন বা ইবাদতের মধ্যে নিজেকে মশগুল রাখতে হবে। আল্লাহ চান তার বান্দার নিঃশর্ত আনুগত্য। বান্দা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে, তার কাছে আশ্রয় চাইবে এটাই তিনি চান। এখানে অভিমান করা আর বিমুখ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই দরবার থেকে বিতাড়িত হলে দুনিয়াতে আশ্রয়ের আর কোনো জায়গা নেই। এজন্য মুমিনের শেষ আশ্রয়স্থল হলেন মহান রাব্বুল আলামিন। সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আল্লাহই হলেন বান্দার একমাত্র আপনজন। বিপদে পড়েও বান্দা যখন আল্লাহর আশ্রয় ছাড়ে না তখন আল্লাহর করুণার সাগরে ঢেউ ওঠে এবং তিনি বান্দাকে আপন করে নেন। বিপদাপদে পড়লে ধৈর্যধারণের মাধ্যমে আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার বিশেষ সুযোগ হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইবাদত নষ্ট হওয়ার কারণ

আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহর ইবাদত বা গোলামি করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। প্রভুকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যম হলো এই ইবাদত। তবে জীবনের মহান সম্পদ কষ্টের এই ইবাদত নানা কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমাদের অনেক কর্মকাণ্ড এমন আছে যা আমাদের আকিদা-বিশ্বাসে পর্যন্ত ত্র“টি সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিনের আমল নষ্ট হয়ে যেতে সামান্য কিছু কাজের কারণে। এজন্য ইবাদত করাটা যতটা জরুরি ততটাই জরুরি তা ধরে রাখা। ইবাদত নষ্ট হয়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ হলো আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা। অনেকে বিপদাপদ এলে নিরাশ হয়ে যায়। আল্লাহর অনুগ্রহের কথা ভুলে, তার রহমতের সীমাহীন ভাণ্ডারের কথা ভুলে হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ কোরানে বলেন, ‘এমনও কিছু লোক আছে যারা এক কোণে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ইবাদত করে। এরপর যদি সে কল্যাণপ্রাপ্ত হয় তখন সন্তুষ্ট থাকে। আর যদি পরীক্ষার সম্মুখীন হয় তখন সে মুখ ফিরিয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এটাই হলো তার স্পষ্ট ক্ষতি’ (সূরা হজ-১১)। ইসলাম গ্রহণের পর তাতে অবিচল থাকাটা খুবই জরুরি। যারা সাময়িক কোনো বিপদ-আপদ দেখে সেখান থেকে ছিটকে পড়ে কিংবা পেছনে ফিরে যায় তারা ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়। তাদের এ ক্ষতির সীমা শুধু দুনিয়ায় নয়, আখেরাতেও। আসলে পার্থিব সুখ-শান্তি আল্লাহর হাতে। তিনি কাকে কখন সম্মানিত করবেন এটা তার ব্যাপার। তিনি চাইলে কাউকে সম্মানিত করতে পারেন অথবা অসম্মানিতও করতে পারেন। এজন্য কল্যাণ-অকল্যাণ যাই আসুক না কেন সর্বাবস্থায় আল্লাহর বিধান পালন বা ইবাদতের মধ্যে নিজেকে মশগুল রাখতে হবে। আল্লাহ চান তার বান্দার নিঃশর্ত আনুগত্য। বান্দা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে, তার কাছে আশ্রয় চাইবে এটাই তিনি চান। এখানে অভিমান করা আর বিমুখ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই দরবার থেকে বিতাড়িত হলে দুনিয়াতে আশ্রয়ের আর কোনো জায়গা নেই। এজন্য মুমিনের শেষ আশ্রয়স্থল হলেন মহান রাব্বুল আলামিন। সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আল্লাহই হলেন বান্দার একমাত্র আপনজন। বিপদে পড়েও বান্দা যখন আল্লাহর আশ্রয় ছাড়ে না তখন আল্লাহর করুণার সাগরে ঢেউ ওঠে এবং তিনি বান্দাকে আপন করে নেন। বিপদাপদে পড়লে ধৈর্যধারণের মাধ্যমে আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার বিশেষ সুযোগ হয়।