ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার উপায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮
  • / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের অনেকেরই আমল-ইবাদতে মনোযোগ নেই। এটা মারাত্মক আত্মিক ব্যাধি। ইবাদতে মনোযোগ বাড়াতে বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেছেন, যে লোক আল্লাহর ইবাদতে মুজাহাদা বা চেষ্টা-সাধনা করে তার সাহচর্যে থাকবে, তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে এবং তার অনুসরণ করবে। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন ও তাঁদের পরের বুজুর্গদের জীবনচরিত পাঠ করবে। তাদের রিয়াজত, মুজাহাদা, চেষ্টা-সাধনা এবং ইবাদতের অবস্থা পড়বে এবং শুনবে। তাদের জীবনচরিত দেখে জ্ঞানের চক্ষু খুলে যাবে। তখন বুঝবে তুমি এবং তোমার সময়ের লোকেরা দীনদারি থেকে কত দূরে। ইবাদতে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য এটা অনেক ফলপ্রসূ এবং উপকারী বিষয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সময়ের লোকেরা তাঁদের অনুসরণ করে না (মাজালিসে আবরার)। শয়তান আমল-ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট করতে মানুষের কাছে ধোঁকা দেয়ার মতো বিভিন্ন বস্তু এনে হাজির করে। ওইসব ক্ষতিকর বস্তুকে তার কাছে প্রিয় করে তুলে ধরে, কিন্তু ইবাদতকারীর কাছে তাই বেশি আকর্ষণীয় এবং উপকারী মনে হতে থাকে। তার আমল-ইবাদত অপ্রিয় করে তুলে ধরে, তখন তার কাছে আমল-ইবাদত গুরুত্বহীন এবং অপকারী মনে হতে থাকে। এভাবে অনেক মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে কাফের, মুশরিক, বেদআতি ও পথহারা করে ছেড়েছে। তারা হাবুডুবু খেতে থাকে পাপের সাগরে। বস্তুত শয়তান কখনো প্রকৃত মুমিনকে ধোঁকা দিতে পারে না। তারা নফসের চাহিদামতো কাজ করে না, তাই তাদের ধোঁকা দিতে পারে না। তারা শয়তানের ধোঁকা অনুধাবন করতে পারে, নফসের ছলচাতুরি বুঝতে পারে। বর্তমান সময়ে এসব ফিতনা থেকে বাঁচার একটি ভালো উপায় হলো, সুন্নতের অনুসারী কোনো সত্যিকার আধ্যাত্মিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে দীক্ষা গ্রহণ করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার উপায়

আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের অনেকেরই আমল-ইবাদতে মনোযোগ নেই। এটা মারাত্মক আত্মিক ব্যাধি। ইবাদতে মনোযোগ বাড়াতে বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেছেন, যে লোক আল্লাহর ইবাদতে মুজাহাদা বা চেষ্টা-সাধনা করে তার সাহচর্যে থাকবে, তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে এবং তার অনুসরণ করবে। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন ও তাঁদের পরের বুজুর্গদের জীবনচরিত পাঠ করবে। তাদের রিয়াজত, মুজাহাদা, চেষ্টা-সাধনা এবং ইবাদতের অবস্থা পড়বে এবং শুনবে। তাদের জীবনচরিত দেখে জ্ঞানের চক্ষু খুলে যাবে। তখন বুঝবে তুমি এবং তোমার সময়ের লোকেরা দীনদারি থেকে কত দূরে। ইবাদতে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য এটা অনেক ফলপ্রসূ এবং উপকারী বিষয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সময়ের লোকেরা তাঁদের অনুসরণ করে না (মাজালিসে আবরার)। শয়তান আমল-ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট করতে মানুষের কাছে ধোঁকা দেয়ার মতো বিভিন্ন বস্তু এনে হাজির করে। ওইসব ক্ষতিকর বস্তুকে তার কাছে প্রিয় করে তুলে ধরে, কিন্তু ইবাদতকারীর কাছে তাই বেশি আকর্ষণীয় এবং উপকারী মনে হতে থাকে। তার আমল-ইবাদত অপ্রিয় করে তুলে ধরে, তখন তার কাছে আমল-ইবাদত গুরুত্বহীন এবং অপকারী মনে হতে থাকে। এভাবে অনেক মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে কাফের, মুশরিক, বেদআতি ও পথহারা করে ছেড়েছে। তারা হাবুডুবু খেতে থাকে পাপের সাগরে। বস্তুত শয়তান কখনো প্রকৃত মুমিনকে ধোঁকা দিতে পারে না। তারা নফসের চাহিদামতো কাজ করে না, তাই তাদের ধোঁকা দিতে পারে না। তারা শয়তানের ধোঁকা অনুধাবন করতে পারে, নফসের ছলচাতুরি বুঝতে পারে। বর্তমান সময়ে এসব ফিতনা থেকে বাঁচার একটি ভালো উপায় হলো, সুন্নতের অনুসারী কোনো সত্যিকার আধ্যাত্মিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে দীক্ষা গ্রহণ করা।