ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ঘোলদাড়ী মসজিদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে

smartcapture

তানভীর সোহেল, আলমডাঙ্গা:
হাজার বছরের ঐতিহ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ। মসজিদটি তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া (কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর) জেলার প্রথম স্থাপিত জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের ধারণা, সম্ভবত ১০০৬ (বাংলা ৪১৩ সন) সালের দিকে হযরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ঘোলদাড়ী গ্রামে মসজিদটি নির্মাণ করেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের অনেক আগে ঘোলদাড়ী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে এ মসজিদ। বর্তমানে এ মসজিদকে ঘিরে রয়েছে নানা ধরণের কুসংস্কার। এ মসজিদে ভূত-প্রেত-আত্নার অস্তিত্ব মেলে বলে অনেকে জোর দাবিও করেন। এ ছাড়া এ মসজিদে জ্বিনরাও বাস করেন বলে অনেকের ধারণ। এসব কারণে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ লোকজন মনের বাসনা পূরণের জন্য এখানে মানত করে থাকেন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, প্রথম শতাব্দীর কোনো একসময় হযরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) নদীয়া বিজয়ের পর নদী পথে আলমডাঙ্গায় আসেন। নদী পথে আসার সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় শেষ হয় নদীয় কূল। সে সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় কিছু বাড়ি-ঘর ছিল। ইসলাম প্রচারের জন্য ঘোলদাড়ী গ্রামে স্থায়ীভাবে আস্তানা গড়েন তিনি। এখান থেকেই তিনি ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজ শুরু করেন। এ সময় তিনি এ গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এটিই বর্তমানে ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত। হযরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.)-এর মৃত্যুর পর এ মসজিদ প্রাঙ্গণেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আজ তাঁর কবরটিও প্রায় বিলীনের মুখে।
উনিশ শতকের শুরুর দিকে ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ-সংলগ্ন লোকালয়ে ভয়াবহ আগুন লাগলে সমস্ত গ্রাম ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ ঘটনার পর গ্রামের লোকজন অন্যত্র সরে গেলে মসজিদটি গভীর জঙ্গলে ঢাকা পড়ে, হয়ে পড়ে ধ্বংসপ্রায়। এরপর উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকবুলার রহমান নিজ উদ্যোগে জঙ্গল পরিষ্কার করিয়ে ধ্বংসপ্রায় মসজিদটি পুনরায় নামাজ আদায়যোগ্য করেন। পরে সরকারি অনুদানে মসজিদটি সংস্কার করাও হয়। এ সময় ঘোলদাড়ী গ্রামের মৃত আ. কাদেরের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী মসজিদের নামে ৮৮ শতক জমি ওয়াকফ করে দেন।
পাইকপাড়া গ্রামের নিয়ামত আলী, সবুর উদ্দীন, গাজির উদ্দীনসহ এলাকার মুরব্বিরা জানান, এ মসজিদের প্রকৃত জমির পরিমাণ ১৪১ বিঘা। মসজিদটি এ অঞ্চলের হাজার বছরের ঐতিহ্যের স্বাক্ষর হলেও এটি রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বছর কয়েক আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মসজিদ-সংস্কার কাজ করা হয়। একাধিক বার সংস্কার ও এর সামনের অংশ বর্ধিত করায় অসাধারণ নির্মাণ শৈলীর এ মসজিদটির প্রাচীন রূপ বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হয়। তা ছাড়া মসজিদের চারপাশে গাছপালা বড় হয়ে যাওয়ায় এক নজরে পুরো মসজিদটি নজরেও আসে না।
আইলহাঁস ইউপি সদস্য বেল্টু হোসেন বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন সদস্য। পূর্বে এ মসজিদের উন্নয়নে আমার কোনো অবদান না থাকলেও মসজিদের বিষয়ে জেলা পরিষদের নিকট আমি আবেদন করেছি, মসজিদে প্রাচীরসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।’
এলাকার মুরব্বি ও মসজিদের মুসল্লি নিজাম উদ্দীন (৮২) জানান, এখানে একসময় জঙ্গল ছিল এবং বড় বড় বাঘ-ভাল্লুক দেখা যেত, এর মধ্যেই এলাকার মানুষ মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতেন। তবে ঠিক কত সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
নির্মাণশৈলী:
হাজার বছরের ঐতিহ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী জামে মসজিদটির নির্মাণশৈলী যেকোনো ব্যক্তিকে আজও মুগ্ধ করে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটির স্থাপত্যশিল্প দারুণ নান্দনিক। এই মসজিদের চার কোণের থামের ওপর রয়েছে ৪টি ছোট মিনার। রয়েছে দুই পাশে দুটি দরজা আর দক্ষিণ দিকে একটি জানালা। মসজিদটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাতলা ইট, টালি ও চুন-সুড়কি। এ ছাড়া রয়েছে ৬টি কুঠোরি। মসজিদের ভেতরের দেয়ালে আঁকা আছে নানা ধরনের লতাপাতা ও ফুল। অবাক হলেও সত্য যে মসজিদের গাঁথুনির সময় চুন-সুড়কির সঙ্গে মেশানো হয়েছিল মসুরির ডালও। মসজিদের শিলালিপিটি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলী দেখে অনুমান করা যায়, মসজিদটি ১০০৬ সালের দিকে তৈরি। মসজিদের ভেতরে বর্তমানে ২ কাতার ও বাইরে ৩ কাতার করে নামায আদায় করেন মুসল্লিরা।
ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, ‘মসজিদটির নির্মাণশৈলী দেখে মনে হয় ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের আগে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি একসময় হারিয়ে যেতে পারে। এটি রক্ষার্থে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন। কারণ, এ মসজিদটি ইতিহাসের একটি নিদর্শন।’
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঘোলদাড়ী মসজিদটি হাজার বছরের একটি পুরোনো মসজিদ। মসজিদটি যদি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিগ্রহণ করে রক্ষণাবেক্ষণ করে, তবেই এটির ইতিহাস জানতে পারবে দেশবাসী এবং সেই এটি হয়ে উঠতে পারে একটি পর্যটন এলাকা। এ ব্যাপারে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ঘোলদাড়ী মসজিদ

আপলোড টাইম : ১০:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

তানভীর সোহেল, আলমডাঙ্গা:
হাজার বছরের ঐতিহ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ। মসজিদটি তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া (কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর) জেলার প্রথম স্থাপিত জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের ধারণা, সম্ভবত ১০০৬ (বাংলা ৪১৩ সন) সালের দিকে হযরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ঘোলদাড়ী গ্রামে মসজিদটি নির্মাণ করেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের অনেক আগে ঘোলদাড়ী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে এ মসজিদ। বর্তমানে এ মসজিদকে ঘিরে রয়েছে নানা ধরণের কুসংস্কার। এ মসজিদে ভূত-প্রেত-আত্নার অস্তিত্ব মেলে বলে অনেকে জোর দাবিও করেন। এ ছাড়া এ মসজিদে জ্বিনরাও বাস করেন বলে অনেকের ধারণ। এসব কারণে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ লোকজন মনের বাসনা পূরণের জন্য এখানে মানত করে থাকেন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, প্রথম শতাব্দীর কোনো একসময় হযরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.) নদীয়া বিজয়ের পর নদী পথে আলমডাঙ্গায় আসেন। নদী পথে আসার সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় শেষ হয় নদীয় কূল। সে সময় ঘোলদাড়ী এলাকায় কিছু বাড়ি-ঘর ছিল। ইসলাম প্রচারের জন্য ঘোলদাড়ী গ্রামে স্থায়ীভাবে আস্তানা গড়েন তিনি। এখান থেকেই তিনি ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজ শুরু করেন। এ সময় তিনি এ গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এটিই বর্তমানে ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত। হযরত খাইরুল বাসার ওমজ (রহ.)-এর মৃত্যুর পর এ মসজিদ প্রাঙ্গণেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আজ তাঁর কবরটিও প্রায় বিলীনের মুখে।
উনিশ শতকের শুরুর দিকে ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ-সংলগ্ন লোকালয়ে ভয়াবহ আগুন লাগলে সমস্ত গ্রাম ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ ঘটনার পর গ্রামের লোকজন অন্যত্র সরে গেলে মসজিদটি গভীর জঙ্গলে ঢাকা পড়ে, হয়ে পড়ে ধ্বংসপ্রায়। এরপর উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকবুলার রহমান নিজ উদ্যোগে জঙ্গল পরিষ্কার করিয়ে ধ্বংসপ্রায় মসজিদটি পুনরায় নামাজ আদায়যোগ্য করেন। পরে সরকারি অনুদানে মসজিদটি সংস্কার করাও হয়। এ সময় ঘোলদাড়ী গ্রামের মৃত আ. কাদেরের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী মসজিদের নামে ৮৮ শতক জমি ওয়াকফ করে দেন।
পাইকপাড়া গ্রামের নিয়ামত আলী, সবুর উদ্দীন, গাজির উদ্দীনসহ এলাকার মুরব্বিরা জানান, এ মসজিদের প্রকৃত জমির পরিমাণ ১৪১ বিঘা। মসজিদটি এ অঞ্চলের হাজার বছরের ঐতিহ্যের স্বাক্ষর হলেও এটি রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বছর কয়েক আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মসজিদ-সংস্কার কাজ করা হয়। একাধিক বার সংস্কার ও এর সামনের অংশ বর্ধিত করায় অসাধারণ নির্মাণ শৈলীর এ মসজিদটির প্রাচীন রূপ বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হয়। তা ছাড়া মসজিদের চারপাশে গাছপালা বড় হয়ে যাওয়ায় এক নজরে পুরো মসজিদটি নজরেও আসে না।
আইলহাঁস ইউপি সদস্য বেল্টু হোসেন বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন সদস্য। পূর্বে এ মসজিদের উন্নয়নে আমার কোনো অবদান না থাকলেও মসজিদের বিষয়ে জেলা পরিষদের নিকট আমি আবেদন করেছি, মসজিদে প্রাচীরসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।’
এলাকার মুরব্বি ও মসজিদের মুসল্লি নিজাম উদ্দীন (৮২) জানান, এখানে একসময় জঙ্গল ছিল এবং বড় বড় বাঘ-ভাল্লুক দেখা যেত, এর মধ্যেই এলাকার মানুষ মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতেন। তবে ঠিক কত সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
নির্মাণশৈলী:
হাজার বছরের ঐতিহ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী জামে মসজিদটির নির্মাণশৈলী যেকোনো ব্যক্তিকে আজও মুগ্ধ করে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটির স্থাপত্যশিল্প দারুণ নান্দনিক। এই মসজিদের চার কোণের থামের ওপর রয়েছে ৪টি ছোট মিনার। রয়েছে দুই পাশে দুটি দরজা আর দক্ষিণ দিকে একটি জানালা। মসজিদটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাতলা ইট, টালি ও চুন-সুড়কি। এ ছাড়া রয়েছে ৬টি কুঠোরি। মসজিদের ভেতরের দেয়ালে আঁকা আছে নানা ধরনের লতাপাতা ও ফুল। অবাক হলেও সত্য যে মসজিদের গাঁথুনির সময় চুন-সুড়কির সঙ্গে মেশানো হয়েছিল মসুরির ডালও। মসজিদের শিলালিপিটি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলী দেখে অনুমান করা যায়, মসজিদটি ১০০৬ সালের দিকে তৈরি। মসজিদের ভেতরে বর্তমানে ২ কাতার ও বাইরে ৩ কাতার করে নামায আদায় করেন মুসল্লিরা।
ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, ‘মসজিদটির নির্মাণশৈলী দেখে মনে হয় ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের আগে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি একসময় হারিয়ে যেতে পারে। এটি রক্ষার্থে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন। কারণ, এ মসজিদটি ইতিহাসের একটি নিদর্শন।’
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঘোলদাড়ী মসজিদটি হাজার বছরের একটি পুরোনো মসজিদ। মসজিদটি যদি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিগ্রহণ করে রক্ষণাবেক্ষণ করে, তবেই এটির ইতিহাস জানতে পারবে দেশবাসী এবং সেই এটি হয়ে উঠতে পারে একটি পর্যটন এলাকা। এ ব্যাপারে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।’