ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৫১ জনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
  • / ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে আরও ৩ জন শনাক্ত, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭
সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় রোববার আরও ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যা শনিবার পর্যন্ত ছিল ৪ হাজার ৮২৫ জন। এরফলে মৃত্যু আতংকে গোটা ইতালি। এদিকে, দেশে নতুন করে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা রোববার এ তথ্য জানান। আইইডিসিআরের হিসাবে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭। আর এযাবৎ মৃত্যু হয়েছে দুজনের। রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত ব্রিফিং হয়। মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। নতুন আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন বিদেশ থেকে এসেছেন। আর একজন আগে আক্রান্ত এক রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন। মীরজাদী বলেন, নতুন আরও দুজন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে পাঁচজনের ক্ষেত্রে এখন আর সংক্রমণ নেই। দুজন মারা গেছেন। অর্থাৎ দেশে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০। মীরজাদী বলেন, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস আছে। তবে তিনজনের মৃদু উপসর্গ আছে। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায়। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেয়ের মাধ্যমে তার দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। সেটাই ছিল বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু। এরপর কয়েক দফায় রোববার নাগাদ দেশে মোট ২৭ জন কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে। তারা কেউ বিদেশফেরত, কেউ তাদের স্বজন। এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় রোববার আরও ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যা শনিবার পর্যন্ত ছিল ৪ হাজার ৮২৫ জন। এরফলে মৃত্যু আতংকে গোটা ইতালি। বাড়ছে জনমনে উৎকন্ঠা। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। ইতালি সরকার করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। চলাফেরাও সীমিত করা হয়েছে। তবুও যেন মৃত্যু থামছে না, হুহু করে বেড়েই চলেছে। করোনার ভয়ানক আঘাতে দিনদিন দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত ৫ হাজার ৫৬০ জন। এর আগে ৬ হাজার ৫৫৭ জন ছিলেন। যার ফলে দিনের পর দিন জনগণের মাঝে আতংক ও উৎকন্ঠা বেড়েই যাচ্ছে। ভয় ও আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন ইতালিয়ান, বাংলাদেশিসহ অন্যান্য অভিবাসীরা। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৪ জন। যা আগের দিন ছিল ৬ হাজার ৭২ জন। দেশটিতে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৩৮ জন। যা আগে ছিল ৪২ হাজার ৬৮১ জন। এনিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ১৩৮ জন। যা শনিবার ছিল ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সংকট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিন জনগণকে সচেতন ও মনোবল বৃদ্ধি করতে ভাষণ দিচ্ছেন। দেশের জনগণের আর্থিক সমস্যা মেটাতে ভিন্ন ভিন্ন খাতে বরাদ্দ দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়েছেন। ইউরোপে এখন পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর লম্বার্ডিয়ায়। করোনাভাইরাসে কমপক্ষে ১৮ জন চিকিৎসক মারা গেছেন দেশটিতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৫১ জনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১২:১২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

বাংলাদেশে আরও ৩ জন শনাক্ত, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭
সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় রোববার আরও ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যা শনিবার পর্যন্ত ছিল ৪ হাজার ৮২৫ জন। এরফলে মৃত্যু আতংকে গোটা ইতালি। এদিকে, দেশে নতুন করে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা রোববার এ তথ্য জানান। আইইডিসিআরের হিসাবে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭। আর এযাবৎ মৃত্যু হয়েছে দুজনের। রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত ব্রিফিং হয়। মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। নতুন আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন বিদেশ থেকে এসেছেন। আর একজন আগে আক্রান্ত এক রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন। মীরজাদী বলেন, নতুন আরও দুজন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে পাঁচজনের ক্ষেত্রে এখন আর সংক্রমণ নেই। দুজন মারা গেছেন। অর্থাৎ দেশে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০। মীরজাদী বলেন, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস আছে। তবে তিনজনের মৃদু উপসর্গ আছে। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায়। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেয়ের মাধ্যমে তার দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। সেটাই ছিল বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু। এরপর কয়েক দফায় রোববার নাগাদ দেশে মোট ২৭ জন কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে। তারা কেউ বিদেশফেরত, কেউ তাদের স্বজন। এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় রোববার আরও ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যা শনিবার পর্যন্ত ছিল ৪ হাজার ৮২৫ জন। এরফলে মৃত্যু আতংকে গোটা ইতালি। বাড়ছে জনমনে উৎকন্ঠা। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। ইতালি সরকার করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। চলাফেরাও সীমিত করা হয়েছে। তবুও যেন মৃত্যু থামছে না, হুহু করে বেড়েই চলেছে। করোনার ভয়ানক আঘাতে দিনদিন দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত ৫ হাজার ৫৬০ জন। এর আগে ৬ হাজার ৫৫৭ জন ছিলেন। যার ফলে দিনের পর দিন জনগণের মাঝে আতংক ও উৎকন্ঠা বেড়েই যাচ্ছে। ভয় ও আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন ইতালিয়ান, বাংলাদেশিসহ অন্যান্য অভিবাসীরা। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৪ জন। যা আগের দিন ছিল ৬ হাজার ৭২ জন। দেশটিতে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৩৮ জন। যা আগে ছিল ৪২ হাজার ৬৮১ জন। এনিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ১৩৮ জন। যা শনিবার ছিল ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সংকট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিন জনগণকে সচেতন ও মনোবল বৃদ্ধি করতে ভাষণ দিচ্ছেন। দেশের জনগণের আর্থিক সমস্যা মেটাতে ভিন্ন ভিন্ন খাতে বরাদ্দ দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়েছেন। ইউরোপে এখন পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর লম্বার্ডিয়ায়। করোনাভাইরাসে কমপক্ষে ১৮ জন চিকিৎসক মারা গেছেন দেশটিতে।