ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইজিবাইকের দখলে সড়ক-মহাসড়ক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

রিয়াজ মোল্যা, কালীগঞ্জ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম্য সড়ক থেকে শুরু করে উপজেলার প্রায় সব সড়ক-মহাসড়ক এখন ইজিবাইকের দখলে। শিশু ও অদক্ষ চালকেরা কোনো নিয়মনীতি না মেনে সড়কের যেখানে সেখানে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোসহ এসব যানবাহনে লাগানো চোখ ঝলসানো এলইডি লাইট সবার বিরক্তির ও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের মেইন বাসষ্ট্যান্ড, মধুগঞ্জ বাজার, হাসপাতালের সামনে, নলডাঙ্গা বাজার, কোলা বাজার, নিমতলা বাসষ্ট্যান্ড, কোটচাঁদপুর রোড, দুলাল-মুন্দিয়া বাজার, বারোবাজার, চাপরাইল বাজার, গাজীর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলাচলরত অসংখ্য ইজিবাইকের কারণে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং হর-হামেশা ঘটছে ছোটো-বড় দুর্ঘটনা।
জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে কালীগঞ্জ উপজেলায় অল্প কিছু সংখ্যক ইজিবাইক দেখা গেলেও বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বেশি ইজিবাইক এ উপজেলায় চলাচল করছে। তা ছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন ইজিবাইক সড়কে নামানো হচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যারা ইজিবাইক চালাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১২-১৩ বছরের কম বয়সের কিশোরও রয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে এসব যানবাহনে চালকরা লাগাচ্ছেন চোখ ঝলসানে এলইডি লাইট। রাত্রে যখন এসব যানবাহন এলইডি লাইট জ্বালিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করে তখন বিপরীত দিক থেকে আসা পথচারী, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল চালকরা সামনে কিছুই দেখতে পারেন না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ‘ইতিপূর্বে পৌর কর্তৃপক্ষ দু-দুবার মাইকিং করেছেন যাতে অপ্রাপ্ত ও বয়স্করা মোটরসাইকেল-ইজিবাইক না চালায়। তারপরেও ইজিবাইক চালকদের নিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া আইন অনুসারে মহাসড়ক, বাজার এলাকা, মেইন বাসষ্ট্যান্ড, বিভিন্ন শপিং মলের সামনে যাতে অযথা ভিড় না করে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এলইডি লাইট অপসারণের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইজিবাইকের দখলে সড়ক-মহাসড়ক!

আপলোড টাইম : ০৯:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

রিয়াজ মোল্যা, কালীগঞ্জ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম্য সড়ক থেকে শুরু করে উপজেলার প্রায় সব সড়ক-মহাসড়ক এখন ইজিবাইকের দখলে। শিশু ও অদক্ষ চালকেরা কোনো নিয়মনীতি না মেনে সড়কের যেখানে সেখানে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোসহ এসব যানবাহনে লাগানো চোখ ঝলসানো এলইডি লাইট সবার বিরক্তির ও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের মেইন বাসষ্ট্যান্ড, মধুগঞ্জ বাজার, হাসপাতালের সামনে, নলডাঙ্গা বাজার, কোলা বাজার, নিমতলা বাসষ্ট্যান্ড, কোটচাঁদপুর রোড, দুলাল-মুন্দিয়া বাজার, বারোবাজার, চাপরাইল বাজার, গাজীর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলাচলরত অসংখ্য ইজিবাইকের কারণে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং হর-হামেশা ঘটছে ছোটো-বড় দুর্ঘটনা।
জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে কালীগঞ্জ উপজেলায় অল্প কিছু সংখ্যক ইজিবাইক দেখা গেলেও বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বেশি ইজিবাইক এ উপজেলায় চলাচল করছে। তা ছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন ইজিবাইক সড়কে নামানো হচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যারা ইজিবাইক চালাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১২-১৩ বছরের কম বয়সের কিশোরও রয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে এসব যানবাহনে চালকরা লাগাচ্ছেন চোখ ঝলসানে এলইডি লাইট। রাত্রে যখন এসব যানবাহন এলইডি লাইট জ্বালিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করে তখন বিপরীত দিক থেকে আসা পথচারী, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল চালকরা সামনে কিছুই দেখতে পারেন না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ‘ইতিপূর্বে পৌর কর্তৃপক্ষ দু-দুবার মাইকিং করেছেন যাতে অপ্রাপ্ত ও বয়স্করা মোটরসাইকেল-ইজিবাইক না চালায়। তারপরেও ইজিবাইক চালকদের নিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া আইন অনুসারে মহাসড়ক, বাজার এলাকা, মেইন বাসষ্ট্যান্ড, বিভিন্ন শপিং মলের সামনে যাতে অযথা ভিড় না করে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এলইডি লাইট অপসারণের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’