ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইউপি নির্বাচন, ঘরের অগ্নিতে আওয়ামী লীগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই পালটে গেছে দেশের তৃণমূল। সর্বত্র বইছে ইউপি নির্বাচনি আমেজ। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সংসদীয় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও বেশ কিছু ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপি ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে না এলেও কিছু কিছু ইউপিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির নেতারা। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরপরই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে তৃণমূলে। গৃহবিবাদে নাকাল তৃণমূল আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৮৪৮ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৮৯৭ জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
যার কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে দায়িত্বশীল নেতারা। বিদ্রোহীদের কারণে অনেক ইউপিতে নৌকার বিজয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মূলত নির্বাচনি মাঠে এখন মুখোমুখি আওয়ামী ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপের ইউপির মনোনয়নে দায়িত্বশীল নেতাদের যোগসাজশে অনিয়ম, দুর্নীতি করা হয়েছে— এমন সহস্রাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রে। অধিকাংশ অভিযোগই স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের মনোনয়ন বোর্ডে রাখা হয়নি। তারপরও তারা যাদের চেয়েছেন, তারাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে স্বাক্ষর জালসহ অর্থবাণিজ্যের ভিত্তিতে সুবিধাবাদী নব্য আওয়ামী লীগারদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে।
দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে এলাকায় থাকেন না— এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে প্রায় অভিযোগেই বলা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বসে নেই কিন্তু বিদ্রোহীরা। দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ৯ শতাধিক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। ক্ষুব্ধ হয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়েই স্থানীয় প্রভাব ধরে রাখতে নির্বাচনে লড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর অনানুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। নৌকা প্রার্থীর পাশাপাশি বিদ্রোহীরাও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থী ও সমর্থকরা নেমে পড়েছেন মাঠে, ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। কাকডাকা ভোরে প্রার্থীরা বেরিয়ে পড়ছেন প্রচার-প্রচারণায়। প্রচারে উন্নয়নের চেয়ে দলীয় পরিচয়কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। চৌগাছায় ১১ ইউপিতে ১৯ বিদ্রোহী সক্রিয় আছেন। শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।  এরমধ্যে ৬ ইউপিতে সাত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমানের বড় ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারায় ১৭ ইউপিতে ১৩ বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ অক্টোবর। স্থানীয় সূত্র বলছে, ইউপি নির্বাচন ঘিরে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল নয়, নিজ গৃহের বিবাদে তৃণমূলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগ। ভাগবাটোয়ারা, আধিপত্য বিস্তার বা ধরে রাখাসহ চলমান ইউপি নির্বাচন ইস্যুতে নেতায় নেতায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। ইউপি নির্বাচন ইস্যুতে সংঘটিত এসব সহিংসতার অধিকাংশই স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যেই হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ববরণ করছেন অনেক কর্মী।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের এ ধরনের দলীয় সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। কোনোভাবেই নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি দেখতে চায় না দলটি। তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগেই সহিংসতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সজাগ থাকতে দায়িত্বশীল নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় নির্বাচন ইস্যুতে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘাত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
দলীয় প্রার্থী যাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় পেশিশক্তির অপব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। কেননা, বিদ্রোহী প্রার্থী দলের নির্দেশ অমান্য করলেও তার অনুসারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী রয়েছেন। কোনোভাবেই যেন রেষারেষির জেরে দলের পরীক্ষিত কর্মীদের হারাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। একাধিক উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, বিদ্রোহী নিয়ে আওয়ামী লীগে আতঙ্ক রয়েছে। যেসব ইউপিতে বিদ্রোহী রয়েছেন, সেসব স্থানে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। দলীয় কোন্দল মেটানো, বিদ্রোহী প্রার্থীদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিবৃত্ত করার শেষ চেষ্টা চলছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, নির্বাচনি সহিংসতা কেবল আওয়ামী লীগের মধ্যেই হচ্ছে এটা ঠিক নয়। অধিকাংশ সহিংসতা হচ্ছে মেম্বার-সমর্থকদের মধ্যে। এরপরও আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না। সহিংসতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সজাগ রয়েছে।  বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, দলের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার। যারা বিদ্রোহী হয়েছেন, তাদের সরে আসার জন্য বলা হচ্ছে, আমাদের নেতারা কাজ করছেন। এরপরও নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যারা যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইউপি নির্বাচন, ঘরের অগ্নিতে আওয়ামী লীগ

আপলোড টাইম : ০৯:১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই পালটে গেছে দেশের তৃণমূল। সর্বত্র বইছে ইউপি নির্বাচনি আমেজ। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সংসদীয় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও বেশ কিছু ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপি ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে না এলেও কিছু কিছু ইউপিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির নেতারা। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরপরই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে তৃণমূলে। গৃহবিবাদে নাকাল তৃণমূল আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৮৪৮ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৮৯৭ জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
যার কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে দায়িত্বশীল নেতারা। বিদ্রোহীদের কারণে অনেক ইউপিতে নৌকার বিজয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মূলত নির্বাচনি মাঠে এখন মুখোমুখি আওয়ামী ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপের ইউপির মনোনয়নে দায়িত্বশীল নেতাদের যোগসাজশে অনিয়ম, দুর্নীতি করা হয়েছে— এমন সহস্রাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রে। অধিকাংশ অভিযোগই স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের মনোনয়ন বোর্ডে রাখা হয়নি। তারপরও তারা যাদের চেয়েছেন, তারাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে স্বাক্ষর জালসহ অর্থবাণিজ্যের ভিত্তিতে সুবিধাবাদী নব্য আওয়ামী লীগারদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে।
দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে এলাকায় থাকেন না— এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে প্রায় অভিযোগেই বলা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বসে নেই কিন্তু বিদ্রোহীরা। দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ৯ শতাধিক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। ক্ষুব্ধ হয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়েই স্থানীয় প্রভাব ধরে রাখতে নির্বাচনে লড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর অনানুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। নৌকা প্রার্থীর পাশাপাশি বিদ্রোহীরাও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থী ও সমর্থকরা নেমে পড়েছেন মাঠে, ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। কাকডাকা ভোরে প্রার্থীরা বেরিয়ে পড়ছেন প্রচার-প্রচারণায়। প্রচারে উন্নয়নের চেয়ে দলীয় পরিচয়কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। চৌগাছায় ১১ ইউপিতে ১৯ বিদ্রোহী সক্রিয় আছেন। শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।  এরমধ্যে ৬ ইউপিতে সাত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমানের বড় ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারায় ১৭ ইউপিতে ১৩ বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ অক্টোবর। স্থানীয় সূত্র বলছে, ইউপি নির্বাচন ঘিরে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল নয়, নিজ গৃহের বিবাদে তৃণমূলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগ। ভাগবাটোয়ারা, আধিপত্য বিস্তার বা ধরে রাখাসহ চলমান ইউপি নির্বাচন ইস্যুতে নেতায় নেতায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। ইউপি নির্বাচন ইস্যুতে সংঘটিত এসব সহিংসতার অধিকাংশই স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যেই হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ববরণ করছেন অনেক কর্মী।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের এ ধরনের দলীয় সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। কোনোভাবেই নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি দেখতে চায় না দলটি। তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগেই সহিংসতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সজাগ থাকতে দায়িত্বশীল নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় নির্বাচন ইস্যুতে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘাত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
দলীয় প্রার্থী যাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় পেশিশক্তির অপব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। কেননা, বিদ্রোহী প্রার্থী দলের নির্দেশ অমান্য করলেও তার অনুসারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী রয়েছেন। কোনোভাবেই যেন রেষারেষির জেরে দলের পরীক্ষিত কর্মীদের হারাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। একাধিক উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, বিদ্রোহী নিয়ে আওয়ামী লীগে আতঙ্ক রয়েছে। যেসব ইউপিতে বিদ্রোহী রয়েছেন, সেসব স্থানে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। দলীয় কোন্দল মেটানো, বিদ্রোহী প্রার্থীদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিবৃত্ত করার শেষ চেষ্টা চলছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, নির্বাচনি সহিংসতা কেবল আওয়ামী লীগের মধ্যেই হচ্ছে এটা ঠিক নয়। অধিকাংশ সহিংসতা হচ্ছে মেম্বার-সমর্থকদের মধ্যে। এরপরও আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না। সহিংসতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সজাগ রয়েছে।  বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, দলের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার। যারা বিদ্রোহী হয়েছেন, তাদের সরে আসার জন্য বলা হচ্ছে, আমাদের নেতারা কাজ করছেন। এরপরও নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যারা যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।