ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইউপি চেয়ারম্যানসহ ও পাঁচ মেম্বার বরখাস্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
ঝিনাইদহ অফিস:
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে দুর্নীতি-অনিয়ম ও সরকারি কাজে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২ নম্বর মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলসহ পাঁচ ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে (যার স্মারক নম্বর ১৩৫৫) এ তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে ১৩৬৫ নম্বর স্মারকে কেন উল্লেখিত ৬ জনকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তা পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত অন্যরা হলেন- মধুহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চোরকোল গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শ্রীপুর গ্রামের শ্রী শান্তি বিশ্বাস, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নওদাপাড়া গ্রামের মো. আ. মজিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কুবিরখালী গ্রামের মো. গোলাম রসুল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেড়াশুলা গ্রামের মো. রসুল।
প্রজ্ঞাপনের চিঠিতে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে সাময়িক বহিস্কার করে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৪ এর (খ) ও (ছ) ধারা অনুযায়ী কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না জানতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে সরকারের ১০ টাকা কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ধরা পড়ে মধুহাটি ইউনিয়নে। পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল ইউপি সদস্যদের যোগসাজশে একই জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রায় ৪০টি কার্ড করে চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। এই কর্মসূচিতে প্রায় ৩০০টি কার্ডে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। এই বিষয়ে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে সরেজমিন তদন্ত করা হয়। তদন্তে অনিয়মের চিত্রটি ধরা পড়ে। প্রথমে দুইজন ডিলার মহামায়া গ্রামের জানেব মণ্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান নয়ন ও নওদাপাড়া গ্রামের সবদার আলীর ছেলে ইমদাদুল হককে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলসহ ৭ জন ইউপি সদস্যকে বহিস্কারের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্তের খবরটি নিশ্চিত করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইউপি চেয়ারম্যানসহ ও পাঁচ মেম্বার বরখাস্ত

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
ঝিনাইদহ অফিস:
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে দুর্নীতি-অনিয়ম ও সরকারি কাজে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২ নম্বর মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলসহ পাঁচ ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে (যার স্মারক নম্বর ১৩৫৫) এ তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে ১৩৬৫ নম্বর স্মারকে কেন উল্লেখিত ৬ জনকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তা পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত অন্যরা হলেন- মধুহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চোরকোল গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শ্রীপুর গ্রামের শ্রী শান্তি বিশ্বাস, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নওদাপাড়া গ্রামের মো. আ. মজিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কুবিরখালী গ্রামের মো. গোলাম রসুল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেড়াশুলা গ্রামের মো. রসুল।
প্রজ্ঞাপনের চিঠিতে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে সাময়িক বহিস্কার করে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৪ এর (খ) ও (ছ) ধারা অনুযায়ী কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না জানতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে সরকারের ১০ টাকা কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ধরা পড়ে মধুহাটি ইউনিয়নে। পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল ইউপি সদস্যদের যোগসাজশে একই জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রায় ৪০টি কার্ড করে চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। এই কর্মসূচিতে প্রায় ৩০০টি কার্ডে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। এই বিষয়ে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে সরেজমিন তদন্ত করা হয়। তদন্তে অনিয়মের চিত্রটি ধরা পড়ে। প্রথমে দুইজন ডিলার মহামায়া গ্রামের জানেব মণ্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান নয়ন ও নওদাপাড়া গ্রামের সবদার আলীর ছেলে ইমদাদুল হককে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলসহ ৭ জন ইউপি সদস্যকে বহিস্কারের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্তের খবরটি নিশ্চিত করেছে।