ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইউটিউবে ফলোয়ার বাড়াতে বিশ্বের এক লাখ প্রিন্টার হ্যাকড!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার প্রিন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হ্যাকাররা। তারা দাবি করছে, তারা চাইলে এসব প্রিন্টার ধ্বংসও করে দিতে পারে। এর আগে গত মাসে প্রথমবারের মতো এই কাজ করে হ্যাকাররা। হ্যাকার গ্রুপের একজন তখন দাবি জানিয়েছিল, যে ৫০ হাজার প্রিন্টার তারা হ্যাক করেছে, সেগুলোতে তাদের প্রিয় এক ভøগার (ভিডিও ব্লগার) পিউডাইপাই-র পোস্টার প্রিন্ট করতে হবে! এবারও হ্যাকাররা তাদের প্রিয় ইউটিউবারের জন্য সমর্থন চেয়েছে। তবে একইসঙ্গে যাদের প্রিন্টার তারা হ্যাক করেছে তাদেরকে প্রিন্টারের সিকিউরিটি আরও বাড়াতে বলেছে। নাম গোপন রেখে হ্যাকারদের একজন বলেছেন, আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি যে হ্যাকিং কোন খেলা নয়, কোন খেলনা নয়। এই কাজের একটা গুরুতর পরিণতি আছে। কীভাবে তারা এই হ্যাকিং করেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রিন্টারের ফার্মওয়্যারে একটা দুর্বলতা ছিল। তারা সেটার সুযোগ নিয়ে প্রিন্টারের চিপসে নিজেদের মত করে ডাটা ঢুকিয়ে গেছেন। এসব প্রিন্টার হ্যাকড হওয়ায় এর জন্য কী পরিমাণ আর্থিক মূল্য গুনতে হবে তা স্পষ্ট। কিন্তু এর চাইতেও আরও বড় বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন এই হ্যাকার। তিনি বলেন, যখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রিন্ট হচ্ছে তখন আমরা সেগুলো নিয়ে নিতে পারি বা আমরা এসব দলিল যখন প্রিন্ট হয় সেগুলোতেও পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারি। হ্যাকাররা দাবি করছেন, তারা প্রায় এক লাখ প্রিন্টার থেকে নিজেদের বার্তা প্রিন্ট করেছেন। এ দাবির সত্যতা যাচাই করা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া এবং চিলির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম প্রিন্ট আউটের ছবি পোস্ট করেছেন। এতে লেখা, পিউডাইপাই সমস্যায় আছে এবং টি-সিরিজকে পরাজিত করতে আপনাদের সাহায্য তার দরকার। এরপর ইউটিউবে পিউডাইপাই কিভাবে সাবস্ক্রাইব করতে হবে, তার নির্দেশনা আছে। পিউডাইপাই হচ্ছে ইউটিউবে ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইউটিউবার। এখন তার ফলোয়ারের সংখ্যা সাত কোটি সত্তর লাখ। তবে সম্প্রতি ভারতীয় মিউজিক লেবেল এবং মুভি স্টুডিও টি-সিরিজ তার কাছাকাছি চলে এসেছে। যে কোন সময় পিউডাইপাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারে টি-সিরিজ। এ কারণেই পিউডাইপাই এর ভক্তরা এ ধরনের স্টান্ট করছেন নিজেদের এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইউটিউবে ফলোয়ার বাড়াতে বিশ্বের এক লাখ প্রিন্টার হ্যাকড!

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার প্রিন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হ্যাকাররা। তারা দাবি করছে, তারা চাইলে এসব প্রিন্টার ধ্বংসও করে দিতে পারে। এর আগে গত মাসে প্রথমবারের মতো এই কাজ করে হ্যাকাররা। হ্যাকার গ্রুপের একজন তখন দাবি জানিয়েছিল, যে ৫০ হাজার প্রিন্টার তারা হ্যাক করেছে, সেগুলোতে তাদের প্রিয় এক ভøগার (ভিডিও ব্লগার) পিউডাইপাই-র পোস্টার প্রিন্ট করতে হবে! এবারও হ্যাকাররা তাদের প্রিয় ইউটিউবারের জন্য সমর্থন চেয়েছে। তবে একইসঙ্গে যাদের প্রিন্টার তারা হ্যাক করেছে তাদেরকে প্রিন্টারের সিকিউরিটি আরও বাড়াতে বলেছে। নাম গোপন রেখে হ্যাকারদের একজন বলেছেন, আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি যে হ্যাকিং কোন খেলা নয়, কোন খেলনা নয়। এই কাজের একটা গুরুতর পরিণতি আছে। কীভাবে তারা এই হ্যাকিং করেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রিন্টারের ফার্মওয়্যারে একটা দুর্বলতা ছিল। তারা সেটার সুযোগ নিয়ে প্রিন্টারের চিপসে নিজেদের মত করে ডাটা ঢুকিয়ে গেছেন। এসব প্রিন্টার হ্যাকড হওয়ায় এর জন্য কী পরিমাণ আর্থিক মূল্য গুনতে হবে তা স্পষ্ট। কিন্তু এর চাইতেও আরও বড় বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন এই হ্যাকার। তিনি বলেন, যখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রিন্ট হচ্ছে তখন আমরা সেগুলো নিয়ে নিতে পারি বা আমরা এসব দলিল যখন প্রিন্ট হয় সেগুলোতেও পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারি। হ্যাকাররা দাবি করছেন, তারা প্রায় এক লাখ প্রিন্টার থেকে নিজেদের বার্তা প্রিন্ট করেছেন। এ দাবির সত্যতা যাচাই করা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া এবং চিলির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম প্রিন্ট আউটের ছবি পোস্ট করেছেন। এতে লেখা, পিউডাইপাই সমস্যায় আছে এবং টি-সিরিজকে পরাজিত করতে আপনাদের সাহায্য তার দরকার। এরপর ইউটিউবে পিউডাইপাই কিভাবে সাবস্ক্রাইব করতে হবে, তার নির্দেশনা আছে। পিউডাইপাই হচ্ছে ইউটিউবে ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইউটিউবার। এখন তার ফলোয়ারের সংখ্যা সাত কোটি সত্তর লাখ। তবে সম্প্রতি ভারতীয় মিউজিক লেবেল এবং মুভি স্টুডিও টি-সিরিজ তার কাছাকাছি চলে এসেছে। যে কোন সময় পিউডাইপাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারে টি-সিরিজ। এ কারণেই পিউডাইপাই এর ভক্তরা এ ধরনের স্টান্ট করছেন নিজেদের এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে।