ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আসছে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা নামতে পারে ৮ ডিগ্রিতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: আসছে শৈত্য প্রবাহ। আগামী সোমবার থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বইবে ঠাণ্ডা হাওয়া। এ সময় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। তবে এবারকার শৈত্যপ্রবাহ বেশি দিন থাকছে না। কেননা কয়েক দিন পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে একটি লঘুচাপ। এ লঘুচাপটিকে শেষ পর্যন্ত নিম্নচাপ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। কিন্তু কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশী গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন, এই লঘুচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

আগামী সোমবার থেকে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হতে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে প্রবাহিত হতে পারে। মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সোমবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও বুধ ও বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হতে পারে। এ সময় ভোরের দিকে তাপমাত্রা গড়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। তবে কোনো কোনো অঞ্চলে সাময়িক সময়ের জন্য তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি হতে পারে তা ৯ ডিসেম্বরের দিকে উপকূলে উঠে যেতে পারে। তবে তা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। এটা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মধ্যবর্তী কোনো উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে। বাংলাদেশে ঝড়ের সামান্য ঝাপটা লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশে শৈত্যপ্রবাহ চলে যেতে পারে এবং আবারো সহনীয় তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে অনেক জলীয় বাষ্প ওঠে এসে এখানে প্রচুরপাত ঘটাবে এবং তাতে ভারতের বিহার থেকে আসার ঠাণ্ডা প্রবাহ সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে যেতে পারে এবং অল্প কয়েকদিন ঠাণ্ডা কম থাকবে। এরপরই দেশে ডিসেম্বরের স্বাভাবিক অবস্থা দেখা দেবে। কুয়াশাও বাড়বে এবং সূর্যের আলোর দিনের বেশির ভাগ সময় ঠিকমতো ভূমিতে না পড়তে পারবে না বলে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়বে।
বাংলাদশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামনের কয়েক দিন দেশের নিম্ন তাপমাত্রা আরেকটু নিচে নেমে যাবে এবং শীতের অনভূতি বাড়বে। অবশ্য বেশ কয়েক দিন যাবত দেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া এলাকায় এবং আশপাশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থা করছিল। সেখানে রাতে প্রচণ্ড শীত। সকালে বাইরে বের হলে গায়ে ভারী জামা-কাপড় না চড়িয়ে বের হওয়া যায় না। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে রাতের বেলা শীত পড়েছে। রাতে ভারী কম্বল অথবা লেপ মুড়িয়ে ঘুমাতে না গেলে স্বস্তির ঘুম আসে না।
ঢাকা শহরেও রাতে মোটামোটি শীত অনুভূত হচ্ছে। ফ্যান অথবা এসি ছাড়াই রাত যাপন করা যাচ্ছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দিনই তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আসছে শৈত্যপ্রবাহ তাপমাত্রা নামতে পারে ৮ ডিগ্রিতে

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: আসছে শৈত্য প্রবাহ। আগামী সোমবার থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বইবে ঠাণ্ডা হাওয়া। এ সময় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। তবে এবারকার শৈত্যপ্রবাহ বেশি দিন থাকছে না। কেননা কয়েক দিন পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে একটি লঘুচাপ। এ লঘুচাপটিকে শেষ পর্যন্ত নিম্নচাপ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। কিন্তু কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশী গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন, এই লঘুচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

আগামী সোমবার থেকে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হতে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে প্রবাহিত হতে পারে। মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সোমবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও বুধ ও বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হতে পারে। এ সময় ভোরের দিকে তাপমাত্রা গড়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। তবে কোনো কোনো অঞ্চলে সাময়িক সময়ের জন্য তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি হতে পারে তা ৯ ডিসেম্বরের দিকে উপকূলে উঠে যেতে পারে। তবে তা বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। এটা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মধ্যবর্তী কোনো উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে। বাংলাদেশে ঝড়ের সামান্য ঝাপটা লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশে শৈত্যপ্রবাহ চলে যেতে পারে এবং আবারো সহনীয় তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে অনেক জলীয় বাষ্প ওঠে এসে এখানে প্রচুরপাত ঘটাবে এবং তাতে ভারতের বিহার থেকে আসার ঠাণ্ডা প্রবাহ সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে যেতে পারে এবং অল্প কয়েকদিন ঠাণ্ডা কম থাকবে। এরপরই দেশে ডিসেম্বরের স্বাভাবিক অবস্থা দেখা দেবে। কুয়াশাও বাড়বে এবং সূর্যের আলোর দিনের বেশির ভাগ সময় ঠিকমতো ভূমিতে না পড়তে পারবে না বলে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়বে।
বাংলাদশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামনের কয়েক দিন দেশের নিম্ন তাপমাত্রা আরেকটু নিচে নেমে যাবে এবং শীতের অনভূতি বাড়বে। অবশ্য বেশ কয়েক দিন যাবত দেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া এলাকায় এবং আশপাশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থা করছিল। সেখানে রাতে প্রচণ্ড শীত। সকালে বাইরে বের হলে গায়ে ভারী জামা-কাপড় না চড়িয়ে বের হওয়া যায় না। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে রাতের বেলা শীত পড়েছে। রাতে ভারী কম্বল অথবা লেপ মুড়িয়ে ঘুমাতে না গেলে স্বস্তির ঘুম আসে না।
ঢাকা শহরেও রাতে মোটামোটি শীত অনুভূত হচ্ছে। ফ্যান অথবা এসি ছাড়াই রাত যাপন করা যাচ্ছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দিনই তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে।