ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আজ রমজানের ১৩তম দিবস। মাগফিরাতের ৩য় দিন। প্রথম দশকে আল্লাহতায়ালা রহমত ও করুণার দ্বার খুলে দিয়েছিলেন। এ দশকে তিনি অবারিত করে দিয়েছেন তাঁর মাগফিরাত অর্থাৎ ক্ষমার ভা-ার। দয়াময় তিনি ক্ষমার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। অগণিত, অসংখ্য পাপী-তাপীকে তিনি মাগফিরাত আর ক্ষমা নামের মহাসাগরে ভাসিয়ে পৌঁছে দেবেন তার কাঙ্খিত মঞ্জিল মুক্তির মোহনায়। দয়াময় মানুষকে সৃষ্টি করেছেন প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে। তিনি চাননা তাঁর কোনো বান্দা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক, তিনি চান তাঁর প্রতিটি বান্দাকে এ রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাতের মধুর ঝরনা ধারায় স্নান করিয়ে ধুয়ে-মুছে মণি-মুক্তায় পরিণত করতে। তাই তিনি এ দশকে ক্ষমার চাদর বিছিয়ে চাচ্ছেন প্রতি বান্দাকে ক্ষমার চাদরে ঢেকে দিতে। ফলে তিনি সেহরির আগ মুহূর্তে দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমান থেকে দরদভরা ঘোষণায় আহ্বান করতে থাকেন, ‘আছ কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী! ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ হাদিসে এসেছে শেষ রজনীতে আল্লাহর রহমতের সাগরে জোয়ার সৃষ্টি হয়, যার ফলে সে সময় প্রতিটি ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে তিনি ক্ষমা করে দেন। রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ দয়াময়-ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। মানুষ ভুল করবে, গোনাহ করবে এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু রাসূল (সা.) বলেন, তবে উৎকৃষ্ট পাপী হল ওই ব্যক্তি যে পাপ করা মাত্রই ক্ষমা প্রার্থনা করে ফেলে। অন্য হাদিসে আছে, মানুষ গোনাহ করলে তার অন্তরে একটা কালো দাগ পড়ে আর তওবা করলে সে দাগ মুছে যায়, তা নাহলে সে দাগ থেকে যায়। এভাবে দাগ পড়তে পড়তে তার অন্তর রাজ্য অন্ধকারে ভরে যায় সেখানে আলো বলতে আর কিছুই থাকে না, ফলে ওই ব্যক্তি তখন পাপকে আর পাপ মনে করে না। বান্দা ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহতায়ালা সীমাহীন খুশি হন। এ খুশির ফল হিসেবে তিনি সে বান্দাকে মাফ করে দেন এবং তাকে অনেক বেশি কাছে টেনে নেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন

আপলোড টাইম : ১০:২২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: আজ রমজানের ১৩তম দিবস। মাগফিরাতের ৩য় দিন। প্রথম দশকে আল্লাহতায়ালা রহমত ও করুণার দ্বার খুলে দিয়েছিলেন। এ দশকে তিনি অবারিত করে দিয়েছেন তাঁর মাগফিরাত অর্থাৎ ক্ষমার ভা-ার। দয়াময় তিনি ক্ষমার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। অগণিত, অসংখ্য পাপী-তাপীকে তিনি মাগফিরাত আর ক্ষমা নামের মহাসাগরে ভাসিয়ে পৌঁছে দেবেন তার কাঙ্খিত মঞ্জিল মুক্তির মোহনায়। দয়াময় মানুষকে সৃষ্টি করেছেন প্রেম আর ভালোবাসা দিয়ে। তিনি চাননা তাঁর কোনো বান্দা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হোক, তিনি চান তাঁর প্রতিটি বান্দাকে এ রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফিরাতের মধুর ঝরনা ধারায় স্নান করিয়ে ধুয়ে-মুছে মণি-মুক্তায় পরিণত করতে। তাই তিনি এ দশকে ক্ষমার চাদর বিছিয়ে চাচ্ছেন প্রতি বান্দাকে ক্ষমার চাদরে ঢেকে দিতে। ফলে তিনি সেহরির আগ মুহূর্তে দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমান থেকে দরদভরা ঘোষণায় আহ্বান করতে থাকেন, ‘আছ কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী! ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ হাদিসে এসেছে শেষ রজনীতে আল্লাহর রহমতের সাগরে জোয়ার সৃষ্টি হয়, যার ফলে সে সময় প্রতিটি ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে তিনি ক্ষমা করে দেন। রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ দয়াময়-ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। মানুষ ভুল করবে, গোনাহ করবে এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু রাসূল (সা.) বলেন, তবে উৎকৃষ্ট পাপী হল ওই ব্যক্তি যে পাপ করা মাত্রই ক্ষমা প্রার্থনা করে ফেলে। অন্য হাদিসে আছে, মানুষ গোনাহ করলে তার অন্তরে একটা কালো দাগ পড়ে আর তওবা করলে সে দাগ মুছে যায়, তা নাহলে সে দাগ থেকে যায়। এভাবে দাগ পড়তে পড়তে তার অন্তর রাজ্য অন্ধকারে ভরে যায় সেখানে আলো বলতে আর কিছুই থাকে না, ফলে ওই ব্যক্তি তখন পাপকে আর পাপ মনে করে না। বান্দা ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহতায়ালা সীমাহীন খুশি হন। এ খুশির ফল হিসেবে তিনি সে বান্দাকে মাফ করে দেন এবং তাকে অনেক বেশি কাছে টেনে নেন।