ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা চাই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আগামীকাল কী ঘটবে আমরা কিছুই জানি না। কারণ আমরা আলেমুল গায়েব বা অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী নই। এটাই আমাদের সীমাবদ্ধতা। পক্ষান্তরে আমাদের স্রষ্টা মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীর শেষ সময় পর্যন্ত কী হবে সবকিছু জানেন। কারণ তিনি আলেমুল গায়েব, অদৃশ্যের খবরও জানেন। আল্লাহ মানুষের জন্য অমঙ্গলজনক কিছু করেন না। সাময়িক বিচারে এবং বাহ্যত অনেক বিষয় অমঙ্গলজনক মনে হলেও চূড়ান্ত বিচারে এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে তাতে মঙ্গল নিহিত থাকে। এ জন্য ইসলামের নির্দেশনা হলো আল্লাহর সব সিদ্ধান্তে রাজি-খুশি থাকতে হবে। এই বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন করতে হবে যে, আল্লাহ যা করছেন আমার মঙ্গলের জন্যই করছেন। আমরা বিপদে পড়ে বলি এই বিপদটা আমার ওপর কেন এলো? আমি এমন কী গুনাহ করেছি, যার কারণে আমার ওপর এত বড় শাস্তিটা নেমে এলো! এ জাতীয় বাক্য মূলত আল্লাহর ফয়সালার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এ থেকে প্রতিটি মুসলমানের আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। এ জাতীয় কথা মুখে আনা উচিত নয়। এক বুজুর্গকে লোকে জিজ্ঞেস করল, কেমন আছেন? তিনি উত্তর দিলেন, ওই ব্যক্তির সুখ-শান্তির ব্যাপারে কী জানতে চাও, বিশ্বের কোনো ঘটনাই যার মর্জির পরিপন্থী হয় না। প্রশ্নকারী এই উত্তর শুনে বিস্মিত হলেন। পরে তিনি বললেন, আসলে আমার নিজস্ব মর্জি বলতে কিছু নেই। নিজের মর্জিকে আমি আল্লাহর মর্জির কাছে বিলীন করে দিয়েছি। যা আল্লাহর মর্জি; তা-ই আমার মর্জি। আর দুনিয়ার সব কাজ তো আল্লাহর মর্জি মোতাবেকই হয়। আমার মর্জিও তা-ই। সুতরাং সব কাজ যখন আল্লাহর মর্জি মোতাবেক হচ্ছে, তাহলে দুঃখের তো প্রশ্ন রইল না। এ কারণেই অশান্তি আমার পাশেও ঘেঁষতে পারে না। হাদিসে আছে, ‘মহান আল্লাহ তোমার ভাগ্যে যা কিছু লিপিবদ্ধ করেছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাক; তাহলে তুমি সব মানুষের চেয়ে ধনী হতে পারবে।’ দুনিয়ার জীবনে দুঃখ-কষ্ট আসবেই। তবে তা মেনে নেয়াই হলো মুমিনের স্বভাব। আল্লাহর কাছে তার নবীদের চেয়ে প্রিয় আর কে হতে পারে? অথচ হাদিস শরিফে আছে, ‘সবচেয়ে বেশি বিপদাপদ আসে আম্বিয়ায়ে কেরামের প্রতি। তারপর যারা তাদের অধিক ঘনিষ্ঠ, তাদের প্রতি।’ সুতরাং আল্লাহর পরীক্ষার মুখে পড়া, বেশি বেশি বিপদাপদের মুখোমুখি হওয়াও মুমিনের অন্যতম লক্ষণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা চাই

আপলোড টাইম : ১০:২৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অক্টোবর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: আগামীকাল কী ঘটবে আমরা কিছুই জানি না। কারণ আমরা আলেমুল গায়েব বা অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী নই। এটাই আমাদের সীমাবদ্ধতা। পক্ষান্তরে আমাদের স্রষ্টা মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীর শেষ সময় পর্যন্ত কী হবে সবকিছু জানেন। কারণ তিনি আলেমুল গায়েব, অদৃশ্যের খবরও জানেন। আল্লাহ মানুষের জন্য অমঙ্গলজনক কিছু করেন না। সাময়িক বিচারে এবং বাহ্যত অনেক বিষয় অমঙ্গলজনক মনে হলেও চূড়ান্ত বিচারে এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে তাতে মঙ্গল নিহিত থাকে। এ জন্য ইসলামের নির্দেশনা হলো আল্লাহর সব সিদ্ধান্তে রাজি-খুশি থাকতে হবে। এই বিশ্বাস অন্তরে স্থাপন করতে হবে যে, আল্লাহ যা করছেন আমার মঙ্গলের জন্যই করছেন। আমরা বিপদে পড়ে বলি এই বিপদটা আমার ওপর কেন এলো? আমি এমন কী গুনাহ করেছি, যার কারণে আমার ওপর এত বড় শাস্তিটা নেমে এলো! এ জাতীয় বাক্য মূলত আল্লাহর ফয়সালার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এ থেকে প্রতিটি মুসলমানের আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। এ জাতীয় কথা মুখে আনা উচিত নয়। এক বুজুর্গকে লোকে জিজ্ঞেস করল, কেমন আছেন? তিনি উত্তর দিলেন, ওই ব্যক্তির সুখ-শান্তির ব্যাপারে কী জানতে চাও, বিশ্বের কোনো ঘটনাই যার মর্জির পরিপন্থী হয় না। প্রশ্নকারী এই উত্তর শুনে বিস্মিত হলেন। পরে তিনি বললেন, আসলে আমার নিজস্ব মর্জি বলতে কিছু নেই। নিজের মর্জিকে আমি আল্লাহর মর্জির কাছে বিলীন করে দিয়েছি। যা আল্লাহর মর্জি; তা-ই আমার মর্জি। আর দুনিয়ার সব কাজ তো আল্লাহর মর্জি মোতাবেকই হয়। আমার মর্জিও তা-ই। সুতরাং সব কাজ যখন আল্লাহর মর্জি মোতাবেক হচ্ছে, তাহলে দুঃখের তো প্রশ্ন রইল না। এ কারণেই অশান্তি আমার পাশেও ঘেঁষতে পারে না। হাদিসে আছে, ‘মহান আল্লাহ তোমার ভাগ্যে যা কিছু লিপিবদ্ধ করেছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাক; তাহলে তুমি সব মানুষের চেয়ে ধনী হতে পারবে।’ দুনিয়ার জীবনে দুঃখ-কষ্ট আসবেই। তবে তা মেনে নেয়াই হলো মুমিনের স্বভাব। আল্লাহর কাছে তার নবীদের চেয়ে প্রিয় আর কে হতে পারে? অথচ হাদিস শরিফে আছে, ‘সবচেয়ে বেশি বিপদাপদ আসে আম্বিয়ায়ে কেরামের প্রতি। তারপর যারা তাদের অধিক ঘনিষ্ঠ, তাদের প্রতি।’ সুতরাং আল্লাহর পরীক্ষার মুখে পড়া, বেশি বেশি বিপদাপদের মুখোমুখি হওয়াও মুমিনের অন্যতম লক্ষণ।