ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর প্রিয়দের গুণাবলি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / ১২১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
পবিত্র কোরানের সূরা ফুরকানের ৬৩ আয়াত থেকে ৭৪ আয়াতে আল্লাহর বান্দাদের গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। ওই আয়াতগুলোতে আল্লাহ বলেছেন, ‘দয়াময়ের বান্দা তো তারাই, যারা জমিনে নম্রভাবে চলে এবং মূর্খদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত না হয়ে ‘সালাম’ বলে বিদায় নেয়। যারা রাতযাপন করে তাদের রবের উদ্দেশে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থাকে।
যারা বলে, হে রব! আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে দূরে রাখুন, নিশ্চয়ই এর আজাব সর্বনাশা। এটি বসবাসের অনুপযোগী নিকৃষ্ট জায়গা। যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহকে (উপাস্য) ডাকে না, আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে না এবং ব্যভিচারে লিপ্ত হয় না। এ কাজগুলো যারা করবে, তাদের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং তারা এ অবস্থায় চিরকাল অবস্থান করবে। তবে যারা তওবা করবে, ইমান আনবে এবং নেক আমল করবে, আল্লাহ এদের ভালো কাজ দ্বারা খারাপ কাজকে মুছে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াবান। যে তওবা করে সৎ কাজ করল, সে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার মতোই ফিরে এলো। যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অনর্থক কথা-কাজের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় ভদ্রভাবে চলে যায়। যাদের তাদের রবের আয়াতগুলো দ্বারা উপদেশ দিলে তারা বধির ও অন্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে না। যারা বলে, হে রব! আমাদের স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানদের চক্ষু শীতলকারক বানাও এবং মুত্তাকিদের ইমাম বানাও।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আল্লাহর প্রিয়দের গুণাবলি

আপলোড টাইম : ১০:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
পবিত্র কোরানের সূরা ফুরকানের ৬৩ আয়াত থেকে ৭৪ আয়াতে আল্লাহর বান্দাদের গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। ওই আয়াতগুলোতে আল্লাহ বলেছেন, ‘দয়াময়ের বান্দা তো তারাই, যারা জমিনে নম্রভাবে চলে এবং মূর্খদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত না হয়ে ‘সালাম’ বলে বিদায় নেয়। যারা রাতযাপন করে তাদের রবের উদ্দেশে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থাকে।
যারা বলে, হে রব! আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে দূরে রাখুন, নিশ্চয়ই এর আজাব সর্বনাশা। এটি বসবাসের অনুপযোগী নিকৃষ্ট জায়গা। যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহকে (উপাস্য) ডাকে না, আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে না এবং ব্যভিচারে লিপ্ত হয় না। এ কাজগুলো যারা করবে, তাদের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং তারা এ অবস্থায় চিরকাল অবস্থান করবে। তবে যারা তওবা করবে, ইমান আনবে এবং নেক আমল করবে, আল্লাহ এদের ভালো কাজ দ্বারা খারাপ কাজকে মুছে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াবান। যে তওবা করে সৎ কাজ করল, সে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার মতোই ফিরে এলো। যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অনর্থক কথা-কাজের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় ভদ্রভাবে চলে যায়। যাদের তাদের রবের আয়াতগুলো দ্বারা উপদেশ দিলে তারা বধির ও অন্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে না। যারা বলে, হে রব! আমাদের স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানদের চক্ষু শীতলকারক বানাও এবং মুত্তাকিদের ইমাম বানাও।’