ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলোর পথ দেখায় শিক্ষা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: শিক্ষিত মানুষকে ইসলামে ইনসানে কামেল বা পূর্ণাঙ্গ মানুষ বলা হয়েছে। যারা অশিক্ষিত, মূর্খ তাদের চেয়ে শিক্ষিতদের কদর ইসলামে অনেক বেশি। পবিত্র কোরানের প্রথম বাণীই হলো, ‘পড়, তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ এর দ্বারাই অনুমান করা যায় ইসলাম শিক্ষাকে কেমন গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা মানুষকে আলোর পথ দেখায়। শিক্ষিত মানুষেরাই স ষ্টার প্রকৃত পরিচয় লাভ করতে পারে। কারণ সৃষ্টিজগতের ওপর গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনার জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর আল্লাহকে চিনতে হলে তার সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা-গবেষণা করতেই হবে। তবে শিক্ষা মৌলিকভাবে দুই প্রকার: জাগতিক শিক্ষা ও দ্বীনি শিক্ষা। মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূরণের উপযোগী জ্ঞান ও বিদ্যা হচ্ছে জাগতিক শিক্ষা। পক্ষান্তরে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির জ্ঞান হচ্ছে দ্বীনি শিক্ষা। মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য একধরনের শিক্ষার দরকার; আর পরকালীন প্রয়োজন পূরণের জন্য দরকার আরেক ধরনের শিক্ষার। পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। তাই জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে অনৈসলামিক মনে করার অবকাশ নেই। এজন্য ইসলামের খেদমতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হতে যে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার করা হয় সেটা আর জাগতিক থাকে না, ইসলামের খেদমত হিসেবেই গণ্য হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলোর পথ দেখায় শিক্ষা

আপলোড টাইম : ১২:২৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: শিক্ষিত মানুষকে ইসলামে ইনসানে কামেল বা পূর্ণাঙ্গ মানুষ বলা হয়েছে। যারা অশিক্ষিত, মূর্খ তাদের চেয়ে শিক্ষিতদের কদর ইসলামে অনেক বেশি। পবিত্র কোরানের প্রথম বাণীই হলো, ‘পড়, তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ এর দ্বারাই অনুমান করা যায় ইসলাম শিক্ষাকে কেমন গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষা মানুষকে আলোর পথ দেখায়। শিক্ষিত মানুষেরাই স ষ্টার প্রকৃত পরিচয় লাভ করতে পারে। কারণ সৃষ্টিজগতের ওপর গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনার জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর আল্লাহকে চিনতে হলে তার সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা-গবেষণা করতেই হবে। তবে শিক্ষা মৌলিকভাবে দুই প্রকার: জাগতিক শিক্ষা ও দ্বীনি শিক্ষা। মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূরণের উপযোগী জ্ঞান ও বিদ্যা হচ্ছে জাগতিক শিক্ষা। পক্ষান্তরে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির জ্ঞান হচ্ছে দ্বীনি শিক্ষা। মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য একধরনের শিক্ষার দরকার; আর পরকালীন প্রয়োজন পূরণের জন্য দরকার আরেক ধরনের শিক্ষার। পার্থিব জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর জ্ঞান অর্জন ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকেও কাম্য। তাই জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে অনৈসলামিক মনে করার অবকাশ নেই। এজন্য ইসলামের খেদমতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হতে যে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার করা হয় সেটা আর জাগতিক থাকে না, ইসলামের খেদমত হিসেবেই গণ্য হয়।