ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা হারদী হাসপাতাল চত্ত্বরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে অটোরিক্সা চালক দাড়িওয়ালা হুজুরের ছদ্মবেশে অটো নিয়ে চম্পট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০১৭
  • / ৯৪৫ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা হারদিতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা এক অটো চালককে করে অজ্ঞান করে অটো নিয়ে চম্পট দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ তার দিকে আলমডাঙ্গা হারদি হাসপাতাল চত্তরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত অটো চালক বেল্টু (৩৮) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের কামারপাড়ার পরাণ মন্ডলের ছেলে। অটো চালক বেল্টুকে প্রথমে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জানা গেছে, গত ৩ মাস আগে কিস্তি নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা কিনে কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের হাতে পড়ে অটোটি হারায়। প্রতক্ষ্যদর্শীর বরাত দিয়ে টোকন নামের এক যুবক প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল বিকাল ৩টার দিকে হারদি হাসপাতালের ভিতরে অটোচালক বেল্টু বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমি বেল্টুকে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করি। হারদি হাসপাতালের এক স্টাফের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতাল চত্ত্বরে ৩/৪ লোককে বেল্টুর অটোরিক্সায় বসে কথা বলতে দেখেন এবং মুখে দাড়ী মাথায় টুপি আছে- এমন এক লোককে বেল্টুর অটোরিক্সাটি নিয়ে চলে যেতে দেখেন। পরে জানতে পারি যে বেল্টুকে অজ্ঞান করে অটোরিক্সা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। পরে টোকনের সহযোগিতায় বেল্টুকে উদ্ধার করে প্রথমে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বেল্টুর পরিবারের সদস্যরা বলেন গতকাল বিকালে বেল্টুর নিজ নাম্বার থেকে হারদি হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে আমাদেরকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার বিষয়টি জানায়। সংবাদ পেয়ে আমরা হারদী হাসপাতাল থেকে এনে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ সময় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন টাকা কিছুই পাওয়া যায়নি। তারা আরো জানায়, গত ৩ মাস আগে কিস্তি নিয়ে অটোরিক্সাটি কিনে বেল্টু। এখনো কিস্তির টাকা পরিশোধ হয়নি। এ দিকে টোকন বলেন, ঘটনার পরই হারদি হাসপাতাল কতৃপক্ষ আলমডাঙ্গা থানায় বিষয়টি জানান। কিন্তু এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গা হারদী হাসপাতাল চত্ত্বরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে অটোরিক্সা চালক দাড়িওয়ালা হুজুরের ছদ্মবেশে অটো নিয়ে চম্পট

আপলোড টাইম : ০৫:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০১৭

শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা হারদিতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা এক অটো চালককে করে অজ্ঞান করে অটো নিয়ে চম্পট দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ তার দিকে আলমডাঙ্গা হারদি হাসপাতাল চত্তরে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত অটো চালক বেল্টু (৩৮) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের কামারপাড়ার পরাণ মন্ডলের ছেলে। অটো চালক বেল্টুকে প্রথমে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জানা গেছে, গত ৩ মাস আগে কিস্তি নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা কিনে কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের হাতে পড়ে অটোটি হারায়। প্রতক্ষ্যদর্শীর বরাত দিয়ে টোকন নামের এক যুবক প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল বিকাল ৩টার দিকে হারদি হাসপাতালের ভিতরে অটোচালক বেল্টু বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমি বেল্টুকে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করি। হারদি হাসপাতালের এক স্টাফের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতাল চত্ত্বরে ৩/৪ লোককে বেল্টুর অটোরিক্সায় বসে কথা বলতে দেখেন এবং মুখে দাড়ী মাথায় টুপি আছে- এমন এক লোককে বেল্টুর অটোরিক্সাটি নিয়ে চলে যেতে দেখেন। পরে জানতে পারি যে বেল্টুকে অজ্ঞান করে অটোরিক্সা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। পরে টোকনের সহযোগিতায় বেল্টুকে উদ্ধার করে প্রথমে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বেল্টুর পরিবারের সদস্যরা বলেন গতকাল বিকালে বেল্টুর নিজ নাম্বার থেকে হারদি হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে আমাদেরকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার বিষয়টি জানায়। সংবাদ পেয়ে আমরা হারদী হাসপাতাল থেকে এনে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ সময় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন টাকা কিছুই পাওয়া যায়নি। তারা আরো জানায়, গত ৩ মাস আগে কিস্তি নিয়ে অটোরিক্সাটি কিনে বেল্টু। এখনো কিস্তির টাকা পরিশোধ হয়নি। এ দিকে টোকন বলেন, ঘটনার পরই হারদি হাসপাতাল কতৃপক্ষ আলমডাঙ্গা থানায় বিষয়টি জানান। কিন্তু এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান।