ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা দুই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফিস নেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বণ্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফিস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগামী ২৮ শে নভেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এই পরীক্ষার ফলাফল যাচাই-বাছাইয়ের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু এই পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফিস নেওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফিস নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিলে জানা যায় তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার ফিস ৩ শ টাকা। এই নির্ধারিত ফিস্ নিচ্ছে জেলার অধিকাংশ এমপিওভুক্ত ও নন এমপিভুক্ত এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো।

আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, তারা পরীক্ষার ফিস ৩৫০ টাকা নিচ্ছেন। যেটার সুনির্দিষ্ট রেজ্যুলেশন আছে। কিন্তু আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফিস নেওয়া হয়েছে ৩৫০ টাকা এবং অতিরিক্ত ৫০ টাকা। যার কোনো রেজ্যুলেশন নেই। এভাবে ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াস হোসেন। এছাড়াও বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জুনিয়র স্কুলের অনুমোদন পাওয়ায় ষষ্ট, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফিস নিচ্ছে ৩৫০ টাকা করে, কোনো রেজ্যুলেশন ছাড়া। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, রেজ্যুলেশন ছাড়া এ ধরনের অতিরিক্ত ফিস আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। সরকারি কোনো স্কুলে এত টাকা পরীক্ষার ফিস নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরা সরকারি স্কুলে পড়তে যায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায় এবং অর্থাভাবে তাদের শিক্ষাজীবন যেন ব্যহত না হয় এ জন্য। কিন্তু সরকারি স্কুলের এ ধরনের দৌরাত্ম ও শিক্ষা নিয়ে শিক্ষকদের ব্যবসায়িক মানসিকতা আমাদের জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাবে বলে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগ। অকালে ঝরে যাবে হাজারো মেধাবী মুখ। অভিভাবকরা আরও বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অভিভাবক মহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গা দুই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফিস নেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বণ্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফিস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগামী ২৮ শে নভেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এই পরীক্ষার ফলাফল যাচাই-বাছাইয়ের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু এই পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফিস নেওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফিস নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিলে জানা যায় তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার ফিস ৩ শ টাকা। এই নির্ধারিত ফিস্ নিচ্ছে জেলার অধিকাংশ এমপিওভুক্ত ও নন এমপিভুক্ত এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো।

আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, তারা পরীক্ষার ফিস ৩৫০ টাকা নিচ্ছেন। যেটার সুনির্দিষ্ট রেজ্যুলেশন আছে। কিন্তু আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার ফিস নেওয়া হয়েছে ৩৫০ টাকা এবং অতিরিক্ত ৫০ টাকা। যার কোনো রেজ্যুলেশন নেই। এভাবে ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াস হোসেন। এছাড়াও বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জুনিয়র স্কুলের অনুমোদন পাওয়ায় ষষ্ট, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফিস নিচ্ছে ৩৫০ টাকা করে, কোনো রেজ্যুলেশন ছাড়া। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, রেজ্যুলেশন ছাড়া এ ধরনের অতিরিক্ত ফিস আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। সরকারি কোনো স্কুলে এত টাকা পরীক্ষার ফিস নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরা সরকারি স্কুলে পড়তে যায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায় এবং অর্থাভাবে তাদের শিক্ষাজীবন যেন ব্যহত না হয় এ জন্য। কিন্তু সরকারি স্কুলের এ ধরনের দৌরাত্ম ও শিক্ষা নিয়ে শিক্ষকদের ব্যবসায়িক মানসিকতা আমাদের জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাবে বলে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগ। অকালে ঝরে যাবে হাজারো মেধাবী মুখ। অভিভাবকরা আরও বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অভিভাবক মহল।