ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে ৮ ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ৬টি ও আলমডাঙ্গার ২টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতীক পেয়ে মাঠে আনুষ্ঠিকভাবে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। এতে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের অ্যামেজ বিরাজ করছে।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগাদাহ ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রার্থীদের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাধারণ সদস্য ৫১ ও ২৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।

জানা যায, নাগদাহ ইউপিতে ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হায়াত আলী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী দারুস সালাম (মোটরসাইকেল), আলমগীর হোসেন (রজনীগন্ধা), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (আনারস), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (ঘোড়া), আওয়ালুজ্জামান (অটোরিকশা), মো. মিশর আলী (টেলিফোন), মোহাম্মদ এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল (চশমা) এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন (টেবিল ফ্যান) প্রতীক পেয়েছেন। এদিকে আইলহাঁসে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম বাদল (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ বিল্লাল গনি (আনারস) ও মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এম এ জি মোস্তফা ফেরদৌস বলেন, ‘দুই ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে সকলকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

জীবননগর:
আগামী ১৬ মার্চ জীবননগর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। সকাল থেকে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে প্রতীক নিতে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার ৬ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ২৮ জন চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আর সাধারণ সদস্য পদে ১৭৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

এর মধ্যে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মো. আব্দুল কাদের প্রধান, চশমা প্রতীক পেয়েছেন শাহাবুদ্দিন মালিতা, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন আবুল কাশেম মুন্সী, আনারস পেয়েছেন রাজা আহম্মেদ, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মাওলানা হাফিজুর রহমান এবং লাঙল প্রতীক পেয়েছেন তরিকুল ইসলাম। হাসাদাহ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, চশমা পেয়েছেন সোহরাব বিশ্বাস, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মো. ইসরাইল হুসাইন, আনারস প্রতীক পেয়েছেন মো. শামসুল আলম, টেবিল ফ্যান প্রতীক পেয়েছেন মো. মতিয়ার রহমান ও ঘোড়া প্রকীক পেয়েছেন মো. বাবুল আক্তার। রায়পুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. তাহাজ্জাৎ হোসেন মির্জা, টেবিল ফ্যান প্রতীক পেয়েছেন আব্দুর রশিদ শাহ, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মো. আব্দুল হান্নান, আনারস পেয়েছেন মো. সাজ্জাদ হোসেন ও চশমা পেয়েছেন মো. সাজ্জাদ বিশ্বাস।

মনোহরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. সোহরাব হোসেন খান, আনারস পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান ও হাতপাখা পেয়েছেন মো. আব্দুল নাঈম। উথলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. আব্দুল হান্নান, আনারস পেয়েছেন মো. আফজালুর রহমান ধীরু, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ, চশমা পেয়েছেন মো. আব্বাস আলী ও ঘোড়া পেয়েছেন মো. শাখাওয়াত হোসেন। কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. খাইরুল বাশার শিপলু, আনারস পেয়েছেন তানভির হোসেন রাজিব ও মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন মো. মহিবুল ইসলাম ছোবদুল।

এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা। প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লা। তবে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের সঙ্গে একাধিক ইউপিতে স্বতন্ত্রের নামে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নির্বাচনে সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পেলে জমে উঠবে স্থানীয় এ নির্বাচন। এদিকে উপজেলা নির্বাচন সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউপিতেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছুটে চলছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টারে ছেয়ে গেছে পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট ও অলি-গলি। গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছোটাছুটি করছেন প্রার্থীরা। পথসভা, শোডাউন আর পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী ক্যাম্পে সময় পার করছেন তাঁরা। অপরদিকে, প্রতীক পেয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। প্রার্থীদের পক্ষে মাইকিং হচ্ছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মেজর আহম্মেদ বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে কাজ করছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাই। আশা করি আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারব।’ তিরি আরও বলেন, যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে ৮ ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

আপলোড টাইম : ১১:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ৬টি ও আলমডাঙ্গার ২টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতীক পেয়ে মাঠে আনুষ্ঠিকভাবে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। এতে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের অ্যামেজ বিরাজ করছে।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগাদাহ ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রার্থীদের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাধারণ সদস্য ৫১ ও ২৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।

জানা যায, নাগদাহ ইউপিতে ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হায়াত আলী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী দারুস সালাম (মোটরসাইকেল), আলমগীর হোসেন (রজনীগন্ধা), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (আনারস), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (ঘোড়া), আওয়ালুজ্জামান (অটোরিকশা), মো. মিশর আলী (টেলিফোন), মোহাম্মদ এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল (চশমা) এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন (টেবিল ফ্যান) প্রতীক পেয়েছেন। এদিকে আইলহাঁসে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম বাদল (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ বিল্লাল গনি (আনারস) ও মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস চশমা প্রতীক পেয়েছেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এম এ জি মোস্তফা ফেরদৌস বলেন, ‘দুই ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে সকলকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

জীবননগর:
আগামী ১৬ মার্চ জীবননগর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। সকাল থেকে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে প্রতীক নিতে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার ৬ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ২৮ জন চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আর সাধারণ সদস্য পদে ১৭৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

এর মধ্যে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মো. আব্দুল কাদের প্রধান, চশমা প্রতীক পেয়েছেন শাহাবুদ্দিন মালিতা, ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন আবুল কাশেম মুন্সী, আনারস পেয়েছেন রাজা আহম্মেদ, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মাওলানা হাফিজুর রহমান এবং লাঙল প্রতীক পেয়েছেন তরিকুল ইসলাম। হাসাদাহ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, চশমা পেয়েছেন সোহরাব বিশ্বাস, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মো. ইসরাইল হুসাইন, আনারস প্রতীক পেয়েছেন মো. শামসুল আলম, টেবিল ফ্যান প্রতীক পেয়েছেন মো. মতিয়ার রহমান ও ঘোড়া প্রকীক পেয়েছেন মো. বাবুল আক্তার। রায়পুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. তাহাজ্জাৎ হোসেন মির্জা, টেবিল ফ্যান প্রতীক পেয়েছেন আব্দুর রশিদ শাহ, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মো. আব্দুল হান্নান, আনারস পেয়েছেন মো. সাজ্জাদ হোসেন ও চশমা পেয়েছেন মো. সাজ্জাদ বিশ্বাস।

মনোহরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. সোহরাব হোসেন খান, আনারস পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান ও হাতপাখা পেয়েছেন মো. আব্দুল নাঈম। উথলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. আব্দুল হান্নান, আনারস পেয়েছেন মো. আফজালুর রহমান ধীরু, মোটরসাইকেল পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ, চশমা পেয়েছেন মো. আব্বাস আলী ও ঘোড়া পেয়েছেন মো. শাখাওয়াত হোসেন। কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. খাইরুল বাশার শিপলু, আনারস পেয়েছেন তানভির হোসেন রাজিব ও মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন মো. মহিবুল ইসলাম ছোবদুল।

এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা। প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লা। তবে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের সঙ্গে একাধিক ইউপিতে স্বতন্ত্রের নামে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নির্বাচনে সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পেলে জমে উঠবে স্থানীয় এ নির্বাচন। এদিকে উপজেলা নির্বাচন সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউপিতেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছুটে চলছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টারে ছেয়ে গেছে পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট ও অলি-গলি। গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছোটাছুটি করছেন প্রার্থীরা। পথসভা, শোডাউন আর পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী ক্যাম্পে সময় পার করছেন তাঁরা। অপরদিকে, প্রতীক পেয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। প্রার্থীদের পক্ষে মাইকিং হচ্ছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মেজর আহম্মেদ বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে কাজ করছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাই। আশা করি আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারব।’ তিরি আরও বলেন, যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।