ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় যুবক-যুবতীর আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা): একইদিনে আলমডাঙ্গার বেলগাছী ও পৌর শহরের এরশাদপুর গ্রামে স্বামী ও স্ত্রীর উপর অভিমান করে বিষপানে ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দুই যুবক-যুবতী। গতকাল রোববার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্মহত্যাকারী যুবক-যুবতীর উভয় পরিবারের দাবি মানসিক রোগের আক্রান্তের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের নিকট থেকে, ডাক্তার দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও উভয় পরিবার মেডিকেল রির্পোট দেখাতে ব্যর্থ হয়। আত্মহত্যার পিছে কি মানসিক চাপের কারণ নাকি অল্প বয়সের বিবাহের বলি এনিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কোন্দলের কারণে অল্প বয়সে দুই যুবক-যুবতী আত্মহত্যা করলেও কেন থানায় অপমৃত্যুর মামলা।জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পৌরসভার এরশাদপুর বাগানপাড়ার রিক্সাচালক মন্টুর মেয়ে মনিকা খাতুনের (১৫) সাথে প্রায় একবছর পূর্বে উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের মিনারুলের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্ব মুহুর্তে মিনারুলের আরেক স্ত্রী থাকায় বিভিন্ন সময় পারিবারিক গোলোযোগ লেগে থাকতো তাদের মধ্যে। এরই মধ্যে গত কয়েক মাস পূর্বে মিনারুল তার স্ত্রী মনিকার কোন প্রকার খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে গতকাল মনিকা তার স্বামী মিনারুলের নিকট ফোনে কথা বললে মিনারুল বিরক্ত হয়ে নানা ধরণের খারাপ অপবাদ দেয় মনিকার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে খারাপ অপবাদ দেওয়ায় মনিকা গতকাল বিকাল ৪টার দিকে স্বামীর উপর অভিমান করে তার পিতার বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা করে মনিকার পিতা মন্টু।অন্যদিকে, একই উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের মালিথাপাড়ার মইনুদ্দিনের ছেলে ফকির চাঁদ (২০) তার স্ত্রীর উপর অভিমান করে নিজ ভুট্টা ক্ষেতে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় হাতপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফকির চাঁদ গত ৩ মাস পূর্বে কুষ্টিয়া ইবি থানার বাকুলি গ্রামের শফির উদ্দীন মন্ডলের মেয়ে সাথীর (১৫) সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে বিঘœ ঘটায় তাদের দু’জনের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। একমাস যাবৎ সাথী তার স্বামী ফকির চাঁদের বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়। গত কয়েক দিন পূর্বে ফকির চাঁদ তার স্ত্রী সাথীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে। বিষয়টি গোপন করে রাখে ফকির চাঁদ। গতকাল রবিবার দুপুরে সাথীকে তার বাড়িতে ফিরে না আসলে বিষপান করে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। গতকাল বিকালে ফকির চাঁদ তার বাড়ির পাশের নিজের ভুট্টা ক্ষেতে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় উভয় পরিবার আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় যুবক-যুবতীর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ১০:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (আলমডাঙ্গা): একইদিনে আলমডাঙ্গার বেলগাছী ও পৌর শহরের এরশাদপুর গ্রামে স্বামী ও স্ত্রীর উপর অভিমান করে বিষপানে ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দুই যুবক-যুবতী। গতকাল রোববার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্মহত্যাকারী যুবক-যুবতীর উভয় পরিবারের দাবি মানসিক রোগের আক্রান্তের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের নিকট থেকে, ডাক্তার দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও উভয় পরিবার মেডিকেল রির্পোট দেখাতে ব্যর্থ হয়। আত্মহত্যার পিছে কি মানসিক চাপের কারণ নাকি অল্প বয়সের বিবাহের বলি এনিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কোন্দলের কারণে অল্প বয়সে দুই যুবক-যুবতী আত্মহত্যা করলেও কেন থানায় অপমৃত্যুর মামলা।জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পৌরসভার এরশাদপুর বাগানপাড়ার রিক্সাচালক মন্টুর মেয়ে মনিকা খাতুনের (১৫) সাথে প্রায় একবছর পূর্বে উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের মিনারুলের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্ব মুহুর্তে মিনারুলের আরেক স্ত্রী থাকায় বিভিন্ন সময় পারিবারিক গোলোযোগ লেগে থাকতো তাদের মধ্যে। এরই মধ্যে গত কয়েক মাস পূর্বে মিনারুল তার স্ত্রী মনিকার কোন প্রকার খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে গতকাল মনিকা তার স্বামী মিনারুলের নিকট ফোনে কথা বললে মিনারুল বিরক্ত হয়ে নানা ধরণের খারাপ অপবাদ দেয় মনিকার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে খারাপ অপবাদ দেওয়ায় মনিকা গতকাল বিকাল ৪টার দিকে স্বামীর উপর অভিমান করে তার পিতার বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা করে মনিকার পিতা মন্টু।অন্যদিকে, একই উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের মালিথাপাড়ার মইনুদ্দিনের ছেলে ফকির চাঁদ (২০) তার স্ত্রীর উপর অভিমান করে নিজ ভুট্টা ক্ষেতে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় হাতপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফকির চাঁদ গত ৩ মাস পূর্বে কুষ্টিয়া ইবি থানার বাকুলি গ্রামের শফির উদ্দীন মন্ডলের মেয়ে সাথীর (১৫) সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে বিঘœ ঘটায় তাদের দু’জনের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। একমাস যাবৎ সাথী তার স্বামী ফকির চাঁদের বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়। গত কয়েক দিন পূর্বে ফকির চাঁদ তার স্ত্রী সাথীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে। বিষয়টি গোপন করে রাখে ফকির চাঁদ। গতকাল রবিবার দুপুরে সাথীকে তার বাড়িতে ফিরে না আসলে বিষপান করে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। গতকাল বিকালে ফকির চাঁদ তার বাড়ির পাশের নিজের ভুট্টা ক্ষেতে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় উভয় পরিবার আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।