ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় মা ও মেয়েকে খুটিতে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় : ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা : আটক ৪

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক/আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামে মা ও মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার রিনা খাতুন শনিবার বিকালে আলমডাঙ্গা থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ও অপহরণ মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার মিষ্টার আলির ঘরের টিনের চালে কে বা কারা বেশ কিছু দিন ধরে ইট নিক্ষেপ করে আসছিলো। এই ঘটনার জের ধরে  গত শুক্রবার বিকালে মিষ্টার আলি, তার স্ত্রী, মা, ভাই ও সন্তান মিলে রিনাকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় রিনা খাতুন ও তার মেয়ে ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন ভয়ে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মিষ্টার গং সেখান থেকে মা-মেয়েকে টেনে হেঁচড়ে ধরে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে। এরপর বাঁশের খুটির সাথে মা-মেয়েকে দড়ি দিয়ে বেধে মিষ্টারসহ পরিবারের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিসোটা ও বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে গ্রামবাসীর কয়েকজন খবর দিলে পুলিশ দ্রুত এসে তাদের উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গত শনিবার আলমডাঙ্গা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রিনা খাতুন। মামলার আসামীরা হলেন মিস্টার, রহিম, হারুন, মুসা, রসুল, শাবানাসহ অন্যরা। আসামীরা  নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম গতকাল রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলেন। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গ্রাম থেকে মামলার আসামী মিষ্টার, আমজেদ, হারুন ও হংগারকে আটক করে।
নির্যাতনের শিকার রিনা খাতুন বলেন, আমরা মিষ্টারের বাড়িতে ইট ছুড়েনি। অথচ আমি ও আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে জোর করে তারা ধরে নিয়ে যায়। পরে দড়ি দিয়ে খুটিতে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তাদের ভয়ে আমার মেয়ে বাইরে বের হতে পারছেনা। ৬ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছি বলেও ভয় ভয় চোখে সাংবাদিকদের জানান।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম বলেন, এছাড়া আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সাধারন গ্রামবাসীর কাছে পুরো ঘটনা শুনেছি, এবং এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৪জন আসামীকে আটক করা হয়েছে, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় মা ও মেয়েকে খুটিতে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় : ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা : আটক ৪

আপলোড টাইম : ০৪:২৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক/আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামে মা ও মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার রিনা খাতুন শনিবার বিকালে আলমডাঙ্গা থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ও অপহরণ মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার মিষ্টার আলির ঘরের টিনের চালে কে বা কারা বেশ কিছু দিন ধরে ইট নিক্ষেপ করে আসছিলো। এই ঘটনার জের ধরে  গত শুক্রবার বিকালে মিষ্টার আলি, তার স্ত্রী, মা, ভাই ও সন্তান মিলে রিনাকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় রিনা খাতুন ও তার মেয়ে ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন ভয়ে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মিষ্টার গং সেখান থেকে মা-মেয়েকে টেনে হেঁচড়ে ধরে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে। এরপর বাঁশের খুটির সাথে মা-মেয়েকে দড়ি দিয়ে বেধে মিষ্টারসহ পরিবারের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিসোটা ও বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে গ্রামবাসীর কয়েকজন খবর দিলে পুলিশ দ্রুত এসে তাদের উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গত শনিবার আলমডাঙ্গা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রিনা খাতুন। মামলার আসামীরা হলেন মিস্টার, রহিম, হারুন, মুসা, রসুল, শাবানাসহ অন্যরা। আসামীরা  নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম গতকাল রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলেন। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গ্রাম থেকে মামলার আসামী মিষ্টার, আমজেদ, হারুন ও হংগারকে আটক করে।
নির্যাতনের শিকার রিনা খাতুন বলেন, আমরা মিষ্টারের বাড়িতে ইট ছুড়েনি। অথচ আমি ও আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে জোর করে তারা ধরে নিয়ে যায়। পরে দড়ি দিয়ে খুটিতে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তাদের ভয়ে আমার মেয়ে বাইরে বের হতে পারছেনা। ৬ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছি বলেও ভয় ভয় চোখে সাংবাদিকদের জানান।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম বলেন, এছাড়া আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সাধারন গ্রামবাসীর কাছে পুরো ঘটনা শুনেছি, এবং এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৪জন আসামীকে আটক করা হয়েছে, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।