ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় বিয়ের ২৪ ঘন্টার মাথায় স্বামী উধাও!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮
  • / ৭১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকে সম্পর্ক; চুয়াডাঙ্গায় দেখা। সম্পর্ক খুব বেশি দিনের নয়; মাত্র ৮ মাসের এরই মধ্যে গভীর প্রেম অতঃপর পরিবারের অমতে বিয়ে। আশা ছিল বিয়ের পর ঢাকায় ফিরে দু’জনে নিজেদের মত করে সংসার গোঁছাবে। সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! অভিযোগ স্ত্রীর। স্বামী সোহেল রানা সুজনকে (২৫) খুঁজে না পেয়ে দিগবিদিক ছুটছেন স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৩)। তার ধারণা স্বামী সুজনের পরিবারের লোকজন তাকে আটকে রেখেছে এবং তালাক দিতে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। আর তার সাথে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তারাই। ধারণা নিশ্চিত হতে পেরে স্বামীর খোঁজ করতে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে হুমকি ধামকী দেয়া হচ্ছে বলে জানায় শারমিন। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মোজাম্মেল হকের ছেলে সোহেল রানা সুজনের সাথে ৮ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই উপজেলার হাটবোয়ালিয়ার মানিক আলীর মেয়ে মোছা. শারমিন আক্তারের। এই সম্পর্ক অল্প সময়ের হলেও তার গভীরতা দিনদিন বাড়তে থাকে। প্রথমত উভয়ের পরিবার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে এবং বিয়ের সম্মতিও দেয়। সম্প্রতি তাদের এ সম্পর্ক পরিবারের লোকজন আর মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে নিজেরাই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৪ মে বৃহস্পতিবার রাতে দৌলৎদিয়াড়ের এক কাজীর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। ওই রাতে তারা এক সাথে ছিল বলে জানায় শারমিন। সে অনুযায়ী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তারা এখন স্বামী-স্ত্রী।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের পরদিন (২৫ মে) সকালে আলমডাঙ্গা এনায়েতপুরের সামছুল হকের ছেলে সুমন আলী ও ভালাইপুরের আবু বকরের ছেলে আশিক (আব্বাস) পোষাক দিতে আসার নাম করে সুজনকে নিয়ে যায়। পরে শারমিন আক্তার তার স্বামীর ফোনে ফোন করলে সুমন ফোন ধরে জানায়- সুজন এখন তাদের নিকট আছে। পরবর্তীতে শারমিনের উপর সুজনের বাড়ী হতে উল্টা চাপ সৃষ্টি করা হয় যে, ‘আমাদের ছেলেকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছো বের করে দাও।’ অপরদিকে সুমন ও আশিকও বর্তমানে শারমিনের সাথে খারাপ আচরণ করছে। অভিযোগে উল্লেখ আছে, অভিযুক্তরা সুজনকে নিয়ে আসার শর্তে জানিয়েছে তাকে তালাক দিতে হবে। তালাক না দিলে শারমিনসহ তার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলা হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকী দেয়া হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন স্বামী সুজন হারা স্ত্রী শারমিন আক্তার।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, শারমিন আক্তারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মঙ্গলবার একজন এসআইকে তদন্তে পাঠাবো। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় বিয়ের ২৪ ঘন্টার মাথায় স্বামী উধাও!

আপলোড টাইম : ০৫:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকে সম্পর্ক; চুয়াডাঙ্গায় দেখা। সম্পর্ক খুব বেশি দিনের নয়; মাত্র ৮ মাসের এরই মধ্যে গভীর প্রেম অতঃপর পরিবারের অমতে বিয়ে। আশা ছিল বিয়ের পর ঢাকায় ফিরে দু’জনে নিজেদের মত করে সংসার গোঁছাবে। সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! অভিযোগ স্ত্রীর। স্বামী সোহেল রানা সুজনকে (২৫) খুঁজে না পেয়ে দিগবিদিক ছুটছেন স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৩)। তার ধারণা স্বামী সুজনের পরিবারের লোকজন তাকে আটকে রেখেছে এবং তালাক দিতে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। আর তার সাথে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তারাই। ধারণা নিশ্চিত হতে পেরে স্বামীর খোঁজ করতে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে হুমকি ধামকী দেয়া হচ্ছে বলে জানায় শারমিন। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মোজাম্মেল হকের ছেলে সোহেল রানা সুজনের সাথে ৮ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই উপজেলার হাটবোয়ালিয়ার মানিক আলীর মেয়ে মোছা. শারমিন আক্তারের। এই সম্পর্ক অল্প সময়ের হলেও তার গভীরতা দিনদিন বাড়তে থাকে। প্রথমত উভয়ের পরিবার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে এবং বিয়ের সম্মতিও দেয়। সম্প্রতি তাদের এ সম্পর্ক পরিবারের লোকজন আর মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে নিজেরাই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৪ মে বৃহস্পতিবার রাতে দৌলৎদিয়াড়ের এক কাজীর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। ওই রাতে তারা এক সাথে ছিল বলে জানায় শারমিন। সে অনুযায়ী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তারা এখন স্বামী-স্ত্রী।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের পরদিন (২৫ মে) সকালে আলমডাঙ্গা এনায়েতপুরের সামছুল হকের ছেলে সুমন আলী ও ভালাইপুরের আবু বকরের ছেলে আশিক (আব্বাস) পোষাক দিতে আসার নাম করে সুজনকে নিয়ে যায়। পরে শারমিন আক্তার তার স্বামীর ফোনে ফোন করলে সুমন ফোন ধরে জানায়- সুজন এখন তাদের নিকট আছে। পরবর্তীতে শারমিনের উপর সুজনের বাড়ী হতে উল্টা চাপ সৃষ্টি করা হয় যে, ‘আমাদের ছেলেকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছো বের করে দাও।’ অপরদিকে সুমন ও আশিকও বর্তমানে শারমিনের সাথে খারাপ আচরণ করছে। অভিযোগে উল্লেখ আছে, অভিযুক্তরা সুজনকে নিয়ে আসার শর্তে জানিয়েছে তাকে তালাক দিতে হবে। তালাক না দিলে শারমিনসহ তার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলা হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকী দেয়া হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন স্বামী সুজন হারা স্ত্রী শারমিন আক্তার।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, শারমিন আক্তারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মঙ্গলবার একজন এসআইকে তদন্তে পাঠাবো। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।