ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রকে কুপিয়ে জখম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
  • / ১৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পরকিয়ার সন্দেহে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র রিফাত খন্দকারকে (২১) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০মার্চ) বিকাল ৪ টার দিকে আলমডাঙ্গা বাজারের হলুদপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশি সহায়তায় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুত্বর জখম রিফাত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাশপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাইফুল ইসলাম ঠাণ্ডুর ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ‘ল’ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার দুল্লুতপুর গ্রামের সাদ্দামের স্ত্রীর সাথে রিফাত খন্দকারের পরকিয়া প্রেমের সম্পের্কের সন্দেহ ছিলো সাদ্দামের। এরই জের ধরে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সাদ্দাম আলমডাঙ্গা বাজারের হলুদপট্টি এলাকায় রিফাতের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে একটি রাম’দা দিয়ে প্রকাশ্যে রিফাতকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় রিফাতকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা হারদী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে রিফাতকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের কর্মব্যরত চিকিৎসক রিফাতকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং রিফাতের জখম গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে জখম রিফাত বলেন, তিনি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন, হঠাৎ সাদ্দাম সেখানে আসে এবং সাদ্দামের স্ত্রীর সাথে তাঁর পরকিয়া সম্পর্কের কথা বলে। রিফাত কিছু বলে ওঠার পূর্বেই সাদ্দাম একটি রাম’দা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। রিফাত আরও বলেন, সে সাদ্দামের স্ত্রীর নাম পর্যন্ত জানে না।
রিফাতের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, রিফাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভারী কোনো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর জখম গুরুত্বর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এ জন্য জরুরি বিভাগে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিফাতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, আলমডাঙ্গা বাজারের হলুদপট্টিতে রিফাত নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে গুরুত্বর জখম রিফাতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা পৌছানোর পূর্বেই ঘাতক সেখান থেকে পালিয়ে যাই। কী ঘটনা কী কারণে ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘাতককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রকে কুপিয়ে জখম

আপলোড টাইম : ০৮:০১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পরকিয়ার সন্দেহে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র রিফাত খন্দকারকে (২১) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০মার্চ) বিকাল ৪ টার দিকে আলমডাঙ্গা বাজারের হলুদপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশি সহায়তায় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুত্বর জখম রিফাত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাশপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাইফুল ইসলাম ঠাণ্ডুর ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির ‘ল’ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার দুল্লুতপুর গ্রামের সাদ্দামের স্ত্রীর সাথে রিফাত খন্দকারের পরকিয়া প্রেমের সম্পের্কের সন্দেহ ছিলো সাদ্দামের। এরই জের ধরে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সাদ্দাম আলমডাঙ্গা বাজারের হলুদপট্টি এলাকায় রিফাতের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে একটি রাম’দা দিয়ে প্রকাশ্যে রিফাতকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় রিফাতকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা হারদী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে রিফাতকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের কর্মব্যরত চিকিৎসক রিফাতকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং রিফাতের জখম গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে জখম রিফাত বলেন, তিনি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন, হঠাৎ সাদ্দাম সেখানে আসে এবং সাদ্দামের স্ত্রীর সাথে তাঁর পরকিয়া সম্পর্কের কথা বলে। রিফাত কিছু বলে ওঠার পূর্বেই সাদ্দাম একটি রাম’দা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। রিফাত আরও বলেন, সে সাদ্দামের স্ত্রীর নাম পর্যন্ত জানে না।
রিফাতের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, রিফাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভারী কোনো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর জখম গুরুত্বর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এ জন্য জরুরি বিভাগে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিফাতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, আলমডাঙ্গা বাজারের হলুদপট্টিতে রিফাত নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে গুরুত্বর জখম রিফাতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা পৌছানোর পূর্বেই ঘাতক সেখান থেকে পালিয়ে যাই। কী ঘটনা কী কারণে ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘাতককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।