ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় চুরির সময় হাতেনাতে গরু চোর আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃষ্টির রাতে গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙে গাভী চুরির সময় এক চোরকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। আটক হওয়া ব্যক্তি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মৃত মাসুম শেখের ছেলে নুরুল ইসলাম। গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন আলমডাঙ্গা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে চোর নুরুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামের মৃত মোবারেক হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া তাঁর বাড়িতে এক জোড়া গাভী পালন করেছিলেন। গত শুক্রবার রাতে প্রচ- বৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত রাতে ঘুমাতে যান তিনিসহ পরিবারের লোকজন। এ সুযোগে নুরুল ইসলাম গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গোয়ালে প্রবেশ করেন। এ সময় বাছুরেরে লাফালাফিতে বাবলুর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। বাবলুর স্ত্রী এ সময় গোয়ালে লাইট মারলে গরুর দড়ি খোলা অবস্থায় নুরুল ইসলামকে দেখতে পান। এ সময় তাঁর চিৎকারে পাশের বাড়ি ও দোকানের লোকজন ছুটে এসে নুরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে গণধোলাই দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশের নিকট প্রেরণ করে। গতকাল শনিবার সকালে চুরির মামলায় নুরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, নুরুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় নুরুল ইসলামকে ভর্তি করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় চুরির সময় হাতেনাতে গরু চোর আটক

আপলোড টাইম : ১০:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃষ্টির রাতে গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙে গাভী চুরির সময় এক চোরকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। আটক হওয়া ব্যক্তি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মৃত মাসুম শেখের ছেলে নুরুল ইসলাম। গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন আলমডাঙ্গা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে চোর নুরুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামের মৃত মোবারেক হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া তাঁর বাড়িতে এক জোড়া গাভী পালন করেছিলেন। গত শুক্রবার রাতে প্রচ- বৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত রাতে ঘুমাতে যান তিনিসহ পরিবারের লোকজন। এ সুযোগে নুরুল ইসলাম গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গোয়ালে প্রবেশ করেন। এ সময় বাছুরেরে লাফালাফিতে বাবলুর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। বাবলুর স্ত্রী এ সময় গোয়ালে লাইট মারলে গরুর দড়ি খোলা অবস্থায় নুরুল ইসলামকে দেখতে পান। এ সময় তাঁর চিৎকারে পাশের বাড়ি ও দোকানের লোকজন ছুটে এসে নুরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে গণধোলাই দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশের নিকট প্রেরণ করে। গতকাল শনিবার সকালে চুরির মামলায় নুরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, নুরুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় নুরুল ইসলামকে ভর্তি করা হয়।