ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী ও সমৃদ্ধশীল একটি জেলা
আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক আগমন উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। সভায় প্রধান অতিথি নবাগত জেলা প্রশাসক বলেন, আমি গত ১০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলায় যোগদান করেছি। ইতোপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত ছিলাম। বাংলাদেশের বহু জায়গায় চাকুরী করার সৌভাগ্য হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আসার আগে আমাকে অনেকেই অনেক কথা বলেছে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী ও সমৃদ্ধশীল জেলা। এক সময় এই জেলা মাদক ও সন্ত্রাসী জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাদক ও সন্ত্রাস ৯০ ভাগ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত করতে হলে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। আপনাদের জানা উচিত বাংলাদেশের গড় মাথাপিচু আয় ১ হাজার ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ১ হাজার ৭ শত ডলারে পৌছেছে। বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার কমেছে। মানুষ এখন আর না খেয়ে মরে না। আমার পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক যে উন্নয়নমূলক কাজ করে গিয়েছিলেন, যেটুকু বাকী আছে আমরা সকলে মিলে সেই কাজ সমাপ্ত করবো। উনি চুয়াডাঙ্গা রেল ক্রসিংয়ে একটি ফ্লাইওভার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা সেটা অচিরেই নির্মাণ করবো। আপনারা অনেকেই বলেছেন আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ মদন বাবুর মোড়ে রেল গেট ও রাস্তা সরুর কারণে যে যানজট হয় আমি সড়ক বিভাগের সাথে আলাপ করে এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করবো। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমীন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জিল্লুর রহমান, আবু তাহের আবু, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, আমিরুল হক রোকন, মাসুদ পারভেজ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুর রহমান, বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম নবী, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ফকরুদ্দিন প্রমুখ। সভার পূর্বে নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতি ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস

আপলোড টাইম : ১০:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী ও সমৃদ্ধশীল একটি জেলা
আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক আগমন উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। সভায় প্রধান অতিথি নবাগত জেলা প্রশাসক বলেন, আমি গত ১০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলায় যোগদান করেছি। ইতোপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত ছিলাম। বাংলাদেশের বহু জায়গায় চাকুরী করার সৌভাগ্য হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আসার আগে আমাকে অনেকেই অনেক কথা বলেছে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী ও সমৃদ্ধশীল জেলা। এক সময় এই জেলা মাদক ও সন্ত্রাসী জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাদক ও সন্ত্রাস ৯০ ভাগ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত করতে হলে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। আপনাদের জানা উচিত বাংলাদেশের গড় মাথাপিচু আয় ১ হাজার ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ১ হাজার ৭ শত ডলারে পৌছেছে। বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার কমেছে। মানুষ এখন আর না খেয়ে মরে না। আমার পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক যে উন্নয়নমূলক কাজ করে গিয়েছিলেন, যেটুকু বাকী আছে আমরা সকলে মিলে সেই কাজ সমাপ্ত করবো। উনি চুয়াডাঙ্গা রেল ক্রসিংয়ে একটি ফ্লাইওভার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা সেটা অচিরেই নির্মাণ করবো। আপনারা অনেকেই বলেছেন আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ মদন বাবুর মোড়ে রেল গেট ও রাস্তা সরুর কারণে যে যানজট হয় আমি সড়ক বিভাগের সাথে আলাপ করে এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করবো। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিমা শারমীন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জিল্লুর রহমান, আবু তাহের আবু, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, আমিরুল হক রোকন, মাসুদ পারভেজ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুর রহমান, বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম নবী, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ফকরুদ্দিন প্রমুখ। সভার পূর্বে নবাগত জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতি ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব।