ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার রাধিকাগঞ্জে পারিবারিক কলহে গৃহবধূর আত্মহত্যা জামাইয়ের অত্যাচারে মেয়ের মৃত্যু : পিতার দাবি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: গতকাল সকালের দিকে আলমডাঙ্গা রাধিকাগঞ্জ পাড়ায় সখের বানু নামের একটি মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। তার পিতা ও ভাইয়ের দাবি সখের বানুর স্বামী সিহাব ও তার ২ ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে সখের বানু আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে সখের বানুর ভাই সেলিম রেজা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা হারদী ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে সখের বানু (২৩) হারদী শেখ পাড়া গ্রামের রব্বানী মণ্ডলের ছেলে সিহাব উদ্দিন (৩০) এর সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তারা বিয়ের পর থেকে সুখেই সংসার করছিল। সংসারে অভাব অনটনের কারণে সিহাব তার স্ত্রীর কাছে মাঝে মধ্যেই পিতার কাছ থেকে টাকা আনতে চাপ দিত। সখের বানু তার পিতাকে বুঝিয়ে স্বামীর ব্যবসার জন্য নগদ ২ লাখ টাকা এনে দেয়। এই নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে ভালোই চলছিল। কিন্তু অভাব তাদের পিছু ছাড়েনি। যখনই সংসারে অভাব অনটন সৃষ্টি হয় তখনই সখের বানু কাছে তার স্বামী সিহাব পিতার কাছ থেকে টাকা আনার কথা বলত বলে সখের বানুর পিতা জমির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানায়। একত্রে সংসারে থাকতে গিয়ে সংসারে নানা অশান্তির সৃষ্টি হতো যে কারণে সখের বানুর পিতা জমির উদ্দিন আলমডাঙ্গা রাধিকাগঞ্জে একটি জায়গা কিনে মেয়ে জামাইকে বাড়ি করে দেয়। আজ থেকে প্রায় ২০ দিন আগে তারা ২জনে এই বাড়িতে এসে ওঠে। সখের বানুর ইছা ছিল বাড়িটি তার নামে লিখে দিতে। কিন্তু তার স্বামী সিহাব বাড়িটি তার নামে লিখে নেয়। এই নিয়ে ২ জনের মধ্যে বেশ মতদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানান সখের বানুর পিতা। এরই মধ্যে আলমডাঙ্গায় নতুন করে ব্যবসা করার জন্য সিহাব তার শ্বশুরের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। এই টাকা দিতে না পারায় মাঝে মধ্যেই স্ত্রী সখের বানুর উপর অত্যাচার করত বলে তার পিতা জানান। এ ব্যাপারে সিহাবের ভাইদেরও কিছুটা সাই ছিল। গতকাল সকালের দিকে সখের বানু ঘরের ভিতরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই জাহের ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ ময়না তদন্তের জন্য সখের বানুর লাশ মর্গে পাঠানো হবে। এদিকে সখের বানুর ভাই সেলিম রেজা বাদি হয়ে রব্বানী মন্ডলের ছেলে সিহাব উদ্দিন, খেজবার আলী ও আশরাফ এই ৩ ভাইয়ের নামে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গতকালই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সিহাবকে গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। আজ তাকে চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার রাধিকাগঞ্জে পারিবারিক কলহে গৃহবধূর আত্মহত্যা জামাইয়ের অত্যাচারে মেয়ের মৃত্যু : পিতার দাবি!

আপলোড টাইম : ০১:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

আলমডাঙ্গা অফিস: গতকাল সকালের দিকে আলমডাঙ্গা রাধিকাগঞ্জ পাড়ায় সখের বানু নামের একটি মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। তার পিতা ও ভাইয়ের দাবি সখের বানুর স্বামী সিহাব ও তার ২ ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে সখের বানু আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে সখের বানুর ভাই সেলিম রেজা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা হারদী ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে সখের বানু (২৩) হারদী শেখ পাড়া গ্রামের রব্বানী মণ্ডলের ছেলে সিহাব উদ্দিন (৩০) এর সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তারা বিয়ের পর থেকে সুখেই সংসার করছিল। সংসারে অভাব অনটনের কারণে সিহাব তার স্ত্রীর কাছে মাঝে মধ্যেই পিতার কাছ থেকে টাকা আনতে চাপ দিত। সখের বানু তার পিতাকে বুঝিয়ে স্বামীর ব্যবসার জন্য নগদ ২ লাখ টাকা এনে দেয়। এই নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে ভালোই চলছিল। কিন্তু অভাব তাদের পিছু ছাড়েনি। যখনই সংসারে অভাব অনটন সৃষ্টি হয় তখনই সখের বানু কাছে তার স্বামী সিহাব পিতার কাছ থেকে টাকা আনার কথা বলত বলে সখের বানুর পিতা জমির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানায়। একত্রে সংসারে থাকতে গিয়ে সংসারে নানা অশান্তির সৃষ্টি হতো যে কারণে সখের বানুর পিতা জমির উদ্দিন আলমডাঙ্গা রাধিকাগঞ্জে একটি জায়গা কিনে মেয়ে জামাইকে বাড়ি করে দেয়। আজ থেকে প্রায় ২০ দিন আগে তারা ২জনে এই বাড়িতে এসে ওঠে। সখের বানুর ইছা ছিল বাড়িটি তার নামে লিখে দিতে। কিন্তু তার স্বামী সিহাব বাড়িটি তার নামে লিখে নেয়। এই নিয়ে ২ জনের মধ্যে বেশ মতদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানান সখের বানুর পিতা। এরই মধ্যে আলমডাঙ্গায় নতুন করে ব্যবসা করার জন্য সিহাব তার শ্বশুরের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। এই টাকা দিতে না পারায় মাঝে মধ্যেই স্ত্রী সখের বানুর উপর অত্যাচার করত বলে তার পিতা জানান। এ ব্যাপারে সিহাবের ভাইদেরও কিছুটা সাই ছিল। গতকাল সকালের দিকে সখের বানু ঘরের ভিতরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই জাহের ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ ময়না তদন্তের জন্য সখের বানুর লাশ মর্গে পাঠানো হবে। এদিকে সখের বানুর ভাই সেলিম রেজা বাদি হয়ে রব্বানী মন্ডলের ছেলে সিহাব উদ্দিন, খেজবার আলী ও আশরাফ এই ৩ ভাইয়ের নামে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গতকালই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সিহাবকে গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। আজ তাকে চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।