ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাড়িঁতে অটো, নছিমন, আলমসাধুর : ডিউটি দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০১৭
  • / ১২৪৮ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির টহলের জন্য গাড়ি ঠিক করে দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে মুন্সিগঞ্জ বাজারের সমির নামের ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রতিরাতে পালা করে আলমসাধু, নছিমন, করিমন, ব্যাটারী চালিত অটো ও পাখিভ্যান ফাঁড়ি পুলিশের উিউটি করে। কিন্তু ডিউটি শেষে চালকদের ট্রিপ খাটা রশিদ বা স্লিপ দেওয়া হয় না মর্মে অবিযোগ উঠেছে। রশিদ বা স্লিপ চালকদের কাছে না থাকায় ফাঁড়ি সীমানার বাইরে গেলে পার্শ্ববর্তী ফাঁড়ি পুলিশ এসমস্ত চালকদের আবারও ডিউটি করায়। যদি চালকরা বলে আমরা নাইট ট্রিপ খেটেছি, এর সত্যতা স্বরুপ পুলিশের দেওয়া রশিদ বা স্লিপ দেখাতে ব্যর্থ হয় চালকরা। তাই আবারো ট্রিপ খাটতে হয়। এসমস্ত চালকরা পুালশকে কোন দোষ দিচ্ছেন না তারা বলছে পুলিশ আইনত তাদের রশিদ বা স্লিপ দিচ্ছে কিন্তু সমির সেটা আমাদের দিচ্ছে টাকা কামানোর জন্য।
এলাকার আলমসাধু, নছিমন, করিমন, ব্যাটারী চালিত অটো ও পাখিভ্যানের চালকেরা অভিযোগ করে জানায়, মুন্সিগঞ্জ বাজারের সমির নামের এক ব্যাক্তি প্রতি মাসে একদিন করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ডিউটি করায়। ডিউটি না করলে তাদের কাছে থেকে ১৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। টাকা নিয়ে কোন প্রকার রশিদ ও টোকেন দেয়া হয় না। এজন্য মুন্সিগঞ্জের বাইরে গেলে অন্য এলাকার পুলিশ তাদের গাড়ি ধরে রাতে ডিউটি করিয়ে নেয়। অনেক চালককে পার্শ¦বর্তী এলাকায় মাসে দু’বার করেও ডিউটি করতে হয়।
এদিকে এ এলাকায় রয়েছে প্রায় দু’শতাধিক আলমসাধু, নছিমন, করিমন, ব্যাটারী চালিত অটো ও পাখিভ্যান। প্রতি মাসের ৩০ দিনে দুইটি টহল পুলিশের ডিউটি করতে ৬০টি গাড়ি লাগে। বাকি ১৪০টি গাড়ির টাকা তুলে একাই হজম করে দালাল সমির।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সমিরের নিকট জানতে চাইলে সে জানাই, টাকা নিই স্লিপ দিতে হবে কেন? আমি নিজেই তো সব চালকদের চিনি, আর কাউকে অযথা হয়রানী করি না, এবং টাকাও আত্মসাত করিনা, স্লিপ, টোকেন ও রশিদ। জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মহাসিন বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানিনা, তবে সমির প্রতিদিন ডিউটির গাড়ি ঠিক করে দেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাড়িঁতে অটো, নছিমন, আলমসাধুর : ডিউটি দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৩:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০১৭

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির টহলের জন্য গাড়ি ঠিক করে দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে মুন্সিগঞ্জ বাজারের সমির নামের ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রতিরাতে পালা করে আলমসাধু, নছিমন, করিমন, ব্যাটারী চালিত অটো ও পাখিভ্যান ফাঁড়ি পুলিশের উিউটি করে। কিন্তু ডিউটি শেষে চালকদের ট্রিপ খাটা রশিদ বা স্লিপ দেওয়া হয় না মর্মে অবিযোগ উঠেছে। রশিদ বা স্লিপ চালকদের কাছে না থাকায় ফাঁড়ি সীমানার বাইরে গেলে পার্শ্ববর্তী ফাঁড়ি পুলিশ এসমস্ত চালকদের আবারও ডিউটি করায়। যদি চালকরা বলে আমরা নাইট ট্রিপ খেটেছি, এর সত্যতা স্বরুপ পুলিশের দেওয়া রশিদ বা স্লিপ দেখাতে ব্যর্থ হয় চালকরা। তাই আবারো ট্রিপ খাটতে হয়। এসমস্ত চালকরা পুালশকে কোন দোষ দিচ্ছেন না তারা বলছে পুলিশ আইনত তাদের রশিদ বা স্লিপ দিচ্ছে কিন্তু সমির সেটা আমাদের দিচ্ছে টাকা কামানোর জন্য।
এলাকার আলমসাধু, নছিমন, করিমন, ব্যাটারী চালিত অটো ও পাখিভ্যানের চালকেরা অভিযোগ করে জানায়, মুন্সিগঞ্জ বাজারের সমির নামের এক ব্যাক্তি প্রতি মাসে একদিন করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ডিউটি করায়। ডিউটি না করলে তাদের কাছে থেকে ১৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। টাকা নিয়ে কোন প্রকার রশিদ ও টোকেন দেয়া হয় না। এজন্য মুন্সিগঞ্জের বাইরে গেলে অন্য এলাকার পুলিশ তাদের গাড়ি ধরে রাতে ডিউটি করিয়ে নেয়। অনেক চালককে পার্শ¦বর্তী এলাকায় মাসে দু’বার করেও ডিউটি করতে হয়।
এদিকে এ এলাকায় রয়েছে প্রায় দু’শতাধিক আলমসাধু, নছিমন, করিমন, ব্যাটারী চালিত অটো ও পাখিভ্যান। প্রতি মাসের ৩০ দিনে দুইটি টহল পুলিশের ডিউটি করতে ৬০টি গাড়ি লাগে। বাকি ১৪০টি গাড়ির টাকা তুলে একাই হজম করে দালাল সমির।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সমিরের নিকট জানতে চাইলে সে জানাই, টাকা নিই স্লিপ দিতে হবে কেন? আমি নিজেই তো সব চালকদের চিনি, আর কাউকে অযথা হয়রানী করি না, এবং টাকাও আত্মসাত করিনা, স্লিপ, টোকেন ও রশিদ। জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মহাসিন বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানিনা, তবে সমির প্রতিদিন ডিউটির গাড়ি ঠিক করে দেয়।