ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুরে নারী নিয়ে ফুর্তি: ইউপি সদস্য লাঞ্ছিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
  • / ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলিয়াপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক দেহব্যবসায়ী এক নারীকে ভাড়া করে রাতভর ফূর্তি করার ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই নারীর যোনাঙ্গে বিদেশী টর্চ-লাইট ঢুকিয়ে দিলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর চা-দোকান থেকে শুরু করে অত্র এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত সোমবার রাতে বলিয়ারপুর গ্রামের ক্যানালপাড়ার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে অত্র এলাকার ইউপি সদস্য বাহাদুর লাঞ্ছিতও হয়েছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হুমায়ূনের ছেলে হালিম ও শহিদুলের ছেলে নুর নবী চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকা থেকে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে (২৪) টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে নিয়ে যায়। ওই রাতেই হালিম ও নুর নবীসহ একই গ্রামের ইসলামের ছেলে টিপু (৩২), মতিয়ারের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬), জয়নালের ছেলে শাকিব ২৪), কটির ছেলে সালিম (২২), সবুরের ছেলে ছামিরুল (২২) সহ ৮-১০জন গ্রামের একটি হলুদের বাগানে নিয়ে ওই সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ফূর্তি করার একপর্যায়ে তারা ওই নারীর যৌনাঙ্গে একটি টর্চ-লাইট ঢুকিয়ে দিলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সুযোগ-বুঝে ভোরবেলা ওই নারীকে ভ্যানে তুলে দেয় হালিম। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর বলিয়ারপুর গ্রামের ওই যুবকদের নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনার জেরধরে হালিমের মা ও বাবা নিজের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে ইউপি সদস্য বাহাদুরকে প্রকাশ্যে জামার কলার ধরে অপমান করেন। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ইউপি সদস্য বাহাদুর বলেন, ‘হালিমসহ এলাকার কয়েকজন গ্রামে মাঝেমধ্যেই নারী নিয়ে এসে ফূর্তি করে। গত সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে ভাড়া করে নিয়ে এসে হামিলসহ ৮-১০ জন মিলে ফূর্তি করে। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। আমার গ্রামের এ ধরণের ঘটনা ঘটতে দেব না বলে আমি এর প্রতিবাদ করি। এতেই হালিমের লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হালিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী বলেন হালিম বাসায় নেই। এ ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে ফাসাচ্ছে। এ ঘটনায় ঘোলদাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে সাথে কথা বলেছি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুরে নারী নিয়ে ফুর্তি: ইউপি সদস্য লাঞ্ছিত

আপলোড টাইম : ০৯:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলিয়াপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক দেহব্যবসায়ী এক নারীকে ভাড়া করে রাতভর ফূর্তি করার ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই নারীর যোনাঙ্গে বিদেশী টর্চ-লাইট ঢুকিয়ে দিলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর চা-দোকান থেকে শুরু করে অত্র এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত সোমবার রাতে বলিয়ারপুর গ্রামের ক্যানালপাড়ার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে অত্র এলাকার ইউপি সদস্য বাহাদুর লাঞ্ছিতও হয়েছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হুমায়ূনের ছেলে হালিম ও শহিদুলের ছেলে নুর নবী চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকা থেকে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে (২৪) টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে নিয়ে যায়। ওই রাতেই হালিম ও নুর নবীসহ একই গ্রামের ইসলামের ছেলে টিপু (৩২), মতিয়ারের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬), জয়নালের ছেলে শাকিব ২৪), কটির ছেলে সালিম (২২), সবুরের ছেলে ছামিরুল (২২) সহ ৮-১০জন গ্রামের একটি হলুদের বাগানে নিয়ে ওই সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ফূর্তি করার একপর্যায়ে তারা ওই নারীর যৌনাঙ্গে একটি টর্চ-লাইট ঢুকিয়ে দিলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সুযোগ-বুঝে ভোরবেলা ওই নারীকে ভ্যানে তুলে দেয় হালিম। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর বলিয়ারপুর গ্রামের ওই যুবকদের নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনার জেরধরে হালিমের মা ও বাবা নিজের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে ইউপি সদস্য বাহাদুরকে প্রকাশ্যে জামার কলার ধরে অপমান করেন। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ইউপি সদস্য বাহাদুর বলেন, ‘হালিমসহ এলাকার কয়েকজন গ্রামে মাঝেমধ্যেই নারী নিয়ে এসে ফূর্তি করে। গত সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে ভাড়া করে নিয়ে এসে হামিলসহ ৮-১০ জন মিলে ফূর্তি করে। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। আমার গ্রামের এ ধরণের ঘটনা ঘটতে দেব না বলে আমি এর প্রতিবাদ করি। এতেই হালিমের লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হালিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী বলেন হালিম বাসায় নেই। এ ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে ফাসাচ্ছে। এ ঘটনায় ঘোলদাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে সাথে কথা বলেছি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’