ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপত্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় ফাতেমা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসা নিতে গিয়ে শ্বাসনালী কেটে রুবেল হোসেন (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিক থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত রুবেল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত রুবেল হোসেন দাঁতের অসুখে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে যান তিনি। এসময় ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. আব্দুল হান্নান তাঁর দাতের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরেই রুবেল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় ডা. আব্দুল হান্নান আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুবেলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের দাঁতের চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গা কলেজ রোডস্থ ফাতেমা ক্লিনিকে নেয়া হয়। এসময় ডা. আব্দুল হান্নান ছেলের দাঁতের অপারেশন করতে গিয়ে শ্বাসনালী কেটে ফেলে। পরে রুবেলকে দ্রুত কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় ওই চিকিৎসক। আমরা রাতেই রুবেলকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।’ এদিকে, নিহতর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তারা লাশ দাফন করেছেন।

এ বিষয়ে ডা. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘রুবেল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের আক্কেল মাড়িতে ইনফেকশনে ভুগছিলেন। এ ধরনের রোগীরা সুস্থ অবস্থায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হতে পারেন। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা রুবেলকে ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। এসময় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রোগীর জীবন বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত অপারেশন করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।’ তবে বিষয়টি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো চোখে দেখেননি। তারা অভিযোগ করেছে, রোগীর সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপত্তি

আপলোড টাইম : ০৪:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় ফাতেমা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসা নিতে গিয়ে শ্বাসনালী কেটে রুবেল হোসেন (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিক থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত রুবেল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত রুবেল হোসেন দাঁতের অসুখে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে যান তিনি। এসময় ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. আব্দুল হান্নান তাঁর দাতের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরেই রুবেল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় ডা. আব্দুল হান্নান আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুবেলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের দাঁতের চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গা কলেজ রোডস্থ ফাতেমা ক্লিনিকে নেয়া হয়। এসময় ডা. আব্দুল হান্নান ছেলের দাঁতের অপারেশন করতে গিয়ে শ্বাসনালী কেটে ফেলে। পরে রুবেলকে দ্রুত কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় ওই চিকিৎসক। আমরা রাতেই রুবেলকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।’ এদিকে, নিহতর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তারা লাশ দাফন করেছেন।

এ বিষয়ে ডা. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘রুবেল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের আক্কেল মাড়িতে ইনফেকশনে ভুগছিলেন। এ ধরনের রোগীরা সুস্থ অবস্থায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হতে পারেন। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা রুবেলকে ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। এসময় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রোগীর জীবন বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত অপারেশন করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।’ তবে বিষয়টি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো চোখে দেখেননি। তারা অভিযোগ করেছে, রোগীর সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।