ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার নিমতলার এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে বিয়ে : ছেলের মায়ের অপবাদ : অপমানে আত্মহত্যা : শাশুড়ি ও কাজি আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রামে প্রতিবেশির প্ররোচনায় কিশোরীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে নতিডাঙ্গা আবাসনের বাদাম বিক্রেতা রাসেল। বিয়ের ব্যাপারে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আবাসনের আনজিরা কিশোরীকে গালমন্দ ও চরিত্র নিয়ে নানা কথা শোনায়। মিথ্যা অপবাদ সয়তে না পেরে কিশোরী পিংকি ঘরের আড়ায় ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। গতকাল বিকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আনজিরা ও বিয়ে পাড়ানো কাজি কে আটক করে। ঘটনাটি রহস্যজনক বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে বাদাম বিক্রেতা রাসেল নিমতলা গ্রামের নজরুলের মেয়ে পিংকি (১৬) কে পছন্দ করতো। এই পছন্দের কথা পিংকির প্রতিবেশি তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়াকে জানালে তারা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ফুসলাতে থাকে। গত পরশু পিংকির দাদী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে গোয়ালবাড়ীর গ্রামের হালিমের বাড়িতে স্থানীয় কাজী ফারুকের মাধ্যমে বিয়ে পড়ায়। বেলা ৪ টার দিকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এই ঘটনা জানতে পেরে রাসেলের মা পিংকির বাড়িতে গিয়ে চরিত্রহীনা ও বিভিন্ন গালমন্দ দিয়ে আসে। অপবাদ সইতে না পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে নিজ ঘরের আড়ায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশিরা টের পেয়ে পিংকিকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সে মারা যায়।
গতকাল বেলা ৪টায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্বার করে সূরত হাল রির্পোট তৈরী করে। এ ঘটনায় রাসেলের মা আনজিরাকে ও চুয়াডাঙ্গা থেকে কাজি ফারুককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়, পিংকিকে এলাকার মানুষ ভালো মেয়ে হিসেবে জানে। তার পিতা নজরুল ইসলাম মানসিক রোগগ্রস্ত হওয়ায় মা অন্যত্র বিয়ে করেছে। কিছুদিন আগে সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম দাদা মারা গেছে। দাদী সুরাতন নেছা পরের বাড়িতে কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালান। গতকাল সে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রতিবেশি তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়াসহ রাসেল ও তার মা আনজিরা মিলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে কিনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার নিমতলার এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে বিয়ে : ছেলের মায়ের অপবাদ : অপমানে আত্মহত্যা : শাশুড়ি ও কাজি আটক

আপলোড টাইম : ০৫:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রামে প্রতিবেশির প্ররোচনায় কিশোরীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে নতিডাঙ্গা আবাসনের বাদাম বিক্রেতা রাসেল। বিয়ের ব্যাপারে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আবাসনের আনজিরা কিশোরীকে গালমন্দ ও চরিত্র নিয়ে নানা কথা শোনায়। মিথ্যা অপবাদ সয়তে না পেরে কিশোরী পিংকি ঘরের আড়ায় ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। গতকাল বিকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আনজিরা ও বিয়ে পাড়ানো কাজি কে আটক করে। ঘটনাটি রহস্যজনক বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে বাদাম বিক্রেতা রাসেল নিমতলা গ্রামের নজরুলের মেয়ে পিংকি (১৬) কে পছন্দ করতো। এই পছন্দের কথা পিংকির প্রতিবেশি তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়াকে জানালে তারা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ফুসলাতে থাকে। গত পরশু পিংকির দাদী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে গোয়ালবাড়ীর গ্রামের হালিমের বাড়িতে স্থানীয় কাজী ফারুকের মাধ্যমে বিয়ে পড়ায়। বেলা ৪ টার দিকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এই ঘটনা জানতে পেরে রাসেলের মা পিংকির বাড়িতে গিয়ে চরিত্রহীনা ও বিভিন্ন গালমন্দ দিয়ে আসে। অপবাদ সইতে না পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে নিজ ঘরের আড়ায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশিরা টের পেয়ে পিংকিকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সে মারা যায়।
গতকাল বেলা ৪টায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্বার করে সূরত হাল রির্পোট তৈরী করে। এ ঘটনায় রাসেলের মা আনজিরাকে ও চুয়াডাঙ্গা থেকে কাজি ফারুককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়, পিংকিকে এলাকার মানুষ ভালো মেয়ে হিসেবে জানে। তার পিতা নজরুল ইসলাম মানসিক রোগগ্রস্ত হওয়ায় মা অন্যত্র বিয়ে করেছে। কিছুদিন আগে সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম দাদা মারা গেছে। দাদী সুরাতন নেছা পরের বাড়িতে কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালান। গতকাল সে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রতিবেশি তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়াসহ রাসেল ও তার মা আনজিরা মিলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে কিনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।