ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৭ শিক্ষার্থী হাসপাতালে : জোর করে ট্যাবলেট খাওয়ানোই বিক্ষোভ : শিক্ষক অবরুদ্ধ : প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে চারিদিকে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ্য হওয়ার খবরে গতকাল আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই ট্যাবলেট খেতে অস্বিকৃতি জানায়। তারপরও তাদের জোর করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এতে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনা জানাজানির পর গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী ওয়ারেছুর রহমান গতকাল সকাল ১০টার দিকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিয়ে নতিডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ১২ শিক্ষার্থীকে ক্ষুদে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। খাওয়ায় কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী লিমা, মরিয়ম, মায়া, মাহমুদা, মিম্মাত, সানজিদা ও রিনা অসুস্থ  হয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষকরা তাদেরকে অফিস কক্ষে নিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ৫জনের অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি অভিবাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা। উত্তেজিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় মুন্সিগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশের ইনচার্জ এসআই মহাসিন আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করেন। অভিবাবক ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল ১০টার সময় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ১২ ছাত্রছাত্রীকে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ালে ৫ম শ্রেণীর ৭ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকজন সহকারী শিক্ষক এই আবহাওয়াতে ট্যাবলেট খাওয়াতে নিষেধ করলেও প্রধান শিক্ষক জোর করে ট্যাবলেট খাইয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করেছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে বেলা ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) মহিউদ্দিন বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হারদী হাসপাতাল) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, শিশুরা খালি পেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেলে একটু মাথা যন্ত্রনা, পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। এটাতে ভয় পাবার কিছু নেই। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের অপসারণের বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ব্যাপারটা কিছুই না, আমি গ্রাম্য রাজনীতির স্বীকার হয়েছি। একারণে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৭ শিক্ষার্থী হাসপাতালে : জোর করে ট্যাবলেট খাওয়ানোই বিক্ষোভ : শিক্ষক অবরুদ্ধ : প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি

আপলোড টাইম : ০৫:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে চারিদিকে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ্য হওয়ার খবরে গতকাল আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই ট্যাবলেট খেতে অস্বিকৃতি জানায়। তারপরও তাদের জোর করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এতে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনা জানাজানির পর গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী ওয়ারেছুর রহমান গতকাল সকাল ১০টার দিকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিয়ে নতিডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ১২ শিক্ষার্থীকে ক্ষুদে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। খাওয়ায় কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী লিমা, মরিয়ম, মায়া, মাহমুদা, মিম্মাত, সানজিদা ও রিনা অসুস্থ  হয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষকরা তাদেরকে অফিস কক্ষে নিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ৫জনের অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি অভিবাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা। উত্তেজিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় মুন্সিগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশের ইনচার্জ এসআই মহাসিন আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করেন। অভিবাবক ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল ১০টার সময় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ১২ ছাত্রছাত্রীকে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ালে ৫ম শ্রেণীর ৭ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েকজন সহকারী শিক্ষক এই আবহাওয়াতে ট্যাবলেট খাওয়াতে নিষেধ করলেও প্রধান শিক্ষক জোর করে ট্যাবলেট খাইয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করেছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে বেলা ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) মহিউদ্দিন বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হারদী হাসপাতাল) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, শিশুরা খালি পেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেলে একটু মাথা যন্ত্রনা, পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। এটাতে ভয় পাবার কিছু নেই। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের অপসারণের বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ব্যাপারটা কিছুই না, আমি গ্রাম্য রাজনীতির স্বীকার হয়েছি। একারণে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়েছে।