ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার কাটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজ এলাকার প্রতি স্বজনপ্রীতি : ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৯০০ বার পড়া হয়েছে

sd

আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহি স্কুল কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রায় ৫৫০জন শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যায়নরত। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজ এলাকার ছেলে-মেয়েদের ফ্রি বেতন ও ফিস না নিয়ে অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত বেতন বকেয়া ফিস আদায়ের অভিযোগ নতুন নয়। এছাড়া স্কুল ফান্ড থেকে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে জানাগেছে। প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নান এর বিরুদ্ধে বরাবরই  জেএসসি ও এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিগুন এমনকি তিনগুন হারে ফিস আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। কোন অনুষ্ঠানের রশিদ ছাড়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এই সকল অপকর্মের হোতা তারই নিজ আত্মীয় ও স্কুল কমিটির সভাপতি। গত ১তারিখে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি ফিস নিয়ে স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ত করায় স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক এর উপর চড়াও হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক একজন দূর্নীতিবাজ, সেচ্ছাচারি ও লোভী লোক।’ স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদের নিকট ফোনালাপে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি তেমন কিছু না। তবে, আমরা মফস্বল এলাকার স্কুলে চাকরী করা সূত্রে কিছু কমবেশী লেনদেন করি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার কাটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজ এলাকার প্রতি স্বজনপ্রীতি : ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৭

sd

আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহি স্কুল কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রায় ৫৫০জন শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যায়নরত। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজ এলাকার ছেলে-মেয়েদের ফ্রি বেতন ও ফিস না নিয়ে অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত বেতন বকেয়া ফিস আদায়ের অভিযোগ নতুন নয়। এছাড়া স্কুল ফান্ড থেকে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে জানাগেছে। প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নান এর বিরুদ্ধে বরাবরই  জেএসসি ও এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিগুন এমনকি তিনগুন হারে ফিস আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। কোন অনুষ্ঠানের রশিদ ছাড়ায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এই সকল অপকর্মের হোতা তারই নিজ আত্মীয় ও স্কুল কমিটির সভাপতি। গত ১তারিখে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি ফিস নিয়ে স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ত করায় স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক এর উপর চড়াও হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক একজন দূর্নীতিবাজ, সেচ্ছাচারি ও লোভী লোক।’ স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদের নিকট ফোনালাপে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি তেমন কিছু না। তবে, আমরা মফস্বল এলাকার স্কুলে চাকরী করা সূত্রে কিছু কমবেশী লেনদেন করি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে।