ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আমরা আল্লাহরই জন্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২২১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
মৃত্যুসংবাদ শুনলে বা কোনো বিপদাপদের সম্মুখীন হলে আমরা পড়ে থাকি ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’, অর্থাৎ আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো।’ এটা আল্লাহরই শেখানো দোয়া বা জিকির। আল্লাহ পাকের বাণীÑ ‘আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে ভয়, বিপদ, অনশন, জানমালের ক্ষতি ও আমদানি হ্রাসের দ্বারা পরীক্ষা করব। এসব বিপদাপদ উপস্থিত হলে যার ধৈর্যধারণ করে ও বলে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো; তাদের জন্য সুসংবাদ।’ এখানে আল্লাহ পাকের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্টÑ তিনি তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা নেবেন। কুরআন মজিদের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভঙ্গিতে এ পরীক্ষা গ্রহণের কথা তিনি বলেছেন। কখনো বলেছেন, ‘তোমরা কি মনে করেছ যে ঈমান এনেছিÑ এতটুকু বললেই ছেড়ে দেয়া হবে; অথচ তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না।’ আবার বলা হয়েছেÑ ইতঃপূর্বে অতিক্রান্ত সবারই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ‘তদীয় রাসূল ও তাঁঁর সঙ্গীসাথীরা চিৎকার করে বলে উঠেছেÑ আল্লাহর সাহায্য কবে আসবে? সান্ত¡Íনা দিয়ে বলা হয়েছেÑ আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।’ বোঝা যায়, আল্লাহর জান্নাত অত্যন্ত দামি এবং মূল্য দিয়েই তা লাভ করতে হবে। আল্লাহর এ পরীক্ষা সুদূর অতীত থেকে সব নবী-রাসূল ও তাঁঁদের সঙ্গীসাথীদের জীবনে ঘটেছে। হজরত নুহ আ:, লুত আ:, ইউনুস আ:, আইউব আ:, জাকারিয়া আ:, ইবরাহিম আ:, মূসা আ:, ইসা আ: ও মুহাম্মদ সা:সহ সবার জীবনে পরীক্ষা সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে। এ পরীক্ষা কাউকে রোগশোক দিয়ে, কাউকে বা স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির মাধ্যমে, আবার কাউকে ইসলামের দুশমনদের দ্বারা এবং বাতিলের মোকাবেলায় হকের প্রতিষ্ঠায় জুলুম-নির্যাতন সবার জীবনে কমবেশি ঘটেছে। নাম না-জানা অসংখ্য নবী-রাসূলের শাহাদতের কথা আমরা কুরআন মজিদে পাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আমরা আল্লাহরই জন্য

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯

ধর্ম প্রতিবেদন:
মৃত্যুসংবাদ শুনলে বা কোনো বিপদাপদের সম্মুখীন হলে আমরা পড়ে থাকি ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’, অর্থাৎ আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো।’ এটা আল্লাহরই শেখানো দোয়া বা জিকির। আল্লাহ পাকের বাণীÑ ‘আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে ভয়, বিপদ, অনশন, জানমালের ক্ষতি ও আমদানি হ্রাসের দ্বারা পরীক্ষা করব। এসব বিপদাপদ উপস্থিত হলে যার ধৈর্যধারণ করে ও বলে, আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো; তাদের জন্য সুসংবাদ।’ এখানে আল্লাহ পাকের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্টÑ তিনি তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা নেবেন। কুরআন মজিদের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভঙ্গিতে এ পরীক্ষা গ্রহণের কথা তিনি বলেছেন। কখনো বলেছেন, ‘তোমরা কি মনে করেছ যে ঈমান এনেছিÑ এতটুকু বললেই ছেড়ে দেয়া হবে; অথচ তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না।’ আবার বলা হয়েছেÑ ইতঃপূর্বে অতিক্রান্ত সবারই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ‘তদীয় রাসূল ও তাঁঁর সঙ্গীসাথীরা চিৎকার করে বলে উঠেছেÑ আল্লাহর সাহায্য কবে আসবে? সান্ত¡Íনা দিয়ে বলা হয়েছেÑ আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।’ বোঝা যায়, আল্লাহর জান্নাত অত্যন্ত দামি এবং মূল্য দিয়েই তা লাভ করতে হবে। আল্লাহর এ পরীক্ষা সুদূর অতীত থেকে সব নবী-রাসূল ও তাঁঁদের সঙ্গীসাথীদের জীবনে ঘটেছে। হজরত নুহ আ:, লুত আ:, ইউনুস আ:, আইউব আ:, জাকারিয়া আ:, ইবরাহিম আ:, মূসা আ:, ইসা আ: ও মুহাম্মদ সা:সহ সবার জীবনে পরীক্ষা সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে। এ পরীক্ষা কাউকে রোগশোক দিয়ে, কাউকে বা স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির মাধ্যমে, আবার কাউকে ইসলামের দুশমনদের দ্বারা এবং বাতিলের মোকাবেলায় হকের প্রতিষ্ঠায় জুলুম-নির্যাতন সবার জীবনে কমবেশি ঘটেছে। নাম না-জানা অসংখ্য নবী-রাসূলের শাহাদতের কথা আমরা কুরআন মজিদে পাই।