ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবাদি জমি ছাড়তে নারাজ কৃষকরা, গ্রামবাসীর মানববন্ধন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরের কৃষ্ণপুর মাঠের ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ

হুসাইন মালিক:

জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠে তিন ফসলি জমিতে একটি বিদেশি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্রামবাসীর একমাত্র কৃষি জমিতে পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে জোর আপত্তি থাকলেও প্রভাবশালী একটি মহল সেখানে যেকোনো মূল্যে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করতে কোম্পানির পক্ষে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের বিরুদ্ধে গত শনিবার বিকেলে এলাকার কৃষকেরা মানববন্ধন করেছেন। এদিকে, একই দিন বিকেলে কোম্পানির একজন প্রতিনিধিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শনিবার বিকেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করতে গেলে গ্রামবাসীর সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা জীবন দিবে তবুও তাঁদের একমাত্র ফসলি জমিতে পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করতে দিবেন না। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্লান্ট নির্মাণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠের জমি খাদ্য উৎপাদনে একটি কৃষি সমৃদ্ধ মাঠ। যে মাঠের জমিতে ফলে না এমন কোনো ফসল নেই। বর্তমান মাঠটি শষ্য-শ্যামল সবুজে ভরা একটি ফসলি মাঠ।। কিন্তু কয়েক বছর আগে সাইক্লিট এনার্জি লিমিটেড নামের একটি বিদেশি কোম্পানি এলাকার কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষের সহযোগিতায় এলাকার কৃষকদের গোপন করে উপজেলা কৃষি বিভাগকে দিয়ে একটি জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন নেয় যে কৃষ্ণপুর মাঠটি মরুভূমি। সে সময় উপজেলা কৃষি বিভাগের এমন প্রতিবেদনের ফলে কোম্পানির তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে তারা দফায় দফায় মাঠটি পরিদর্শন করতে থাকে। কিন্তু এতে নড়েচড়ে বসে এলাকার কৃষকেরা। তাঁরা তাঁদের ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন। এতে কোম্পানির তৎপরতা থেমে যায়। কিন্তু এলাকার একটি স্বার্থন্বেষী মহল কোম্পানির নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার মানসিকতায় এলাকার কৃষকদের ও পরিবেশের ভবিষ্যত ভারসাম্যের কথা চিন্তা না করে সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে তৎপর হয়ে উঠেছে। কৃষকদের দাবি, সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ হলে শুধু কৃষি জমিই কমবে তা নয়, এলাকার পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে এলাকায় এক দিকে খাদ্য ঘাটতি পড়বে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যও হুঁমকির মুখে পড়বে।

সাবেক ইউপি সদস্য জেহের আলী, কৃষক ঠান্ডু, শওকত আলীসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল তাদের নিজেদের লাভের কথা চিন্তা করে আমাদের একমাত্র ফসলি মাঠ, যেখানে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করা হয়। সেই মাঠের জমিকে মরুভূমি কিংবা পতিত জমি দেখিয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করা হলে এলাকায় কৃষি জমি কমে গিয়ে খাদ্যঘাটতি দেখা দিবে এবং পরিবেশেরও বিপর্যয় ঘটবে। যুক্তি দেখানো হচ্ছে, প্লান্ট নির্মাণ হলে ১০০-১৫০ জন লোকের কর্মসংস্থান হবে। তাহলে আর ৫-৬ হাজার মানুষের কী হবে? তাই গ্রামবাসীর জীবন থাকতে প্লান্ট নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।’

এদিকে, সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের জন্য শনিবার বিকেলে কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করতে আসেন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর জাকির হোসেন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুর রহমান মাস্টার, আব্দুর রাজ্জাক শাহ, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাঁরা কৃষকরে বলেন, ‘জমি আপনাদের, আপনারা জমি দিলে প্লান্ট নির্মাণ হবে, না দিলে হবে না।’ কৃষকেরা বলেন, ‘আমরা জীবন দেব তো জমি দেব না। কিন্তু এখন শুনছি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে।’

একইভাবে কৃষ্ণপুরের মেহেরজান বেগম, আঞ্জুরা খাতুন ও মাহফুজা খাতুনদের দাবি, মাঠের ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ হলে তাঁরা কী খেয়ে বাঁচবেন? তাঁরা জীবন দিয়ে হলেও প্লান্ট নির্মাণ প্রতিহত করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গ্রামবাসীর দাবি, কৃষকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিন ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ বন্ধে তিনি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ‘আমি মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার বক্তব্যে আমি বলেছি, এলাকাবাসী না চাইলে প্লান্ট হবে না। আমি এলাকাবাসীর মতামতের বাইরে যেতে পারি না। তবে বিষষটি উভয়পক্ষকে ভেবে চিন্তে দেখা দরকার।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ‘কৃষ্ণপুর মাঠের জমি আবাদি। সেখানে ভুট্টা, চিনা বাদামসহ সব ধরনের আবাদ হচ্ছে। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটা কৃষি বিভাগের নয়। কৃষকেরা জমি দিলে হবে, না দিলে হবে না। তবে আমরা আবারও এলাকায় জরিপ করব।’ এদিকে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের মতভেদ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। এই আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আবাদি জমি ছাড়তে নারাজ কৃষকরা, গ্রামবাসীর মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

জীবননগরের কৃষ্ণপুর মাঠের ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ

হুসাইন মালিক:

জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠে তিন ফসলি জমিতে একটি বিদেশি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্রামবাসীর একমাত্র কৃষি জমিতে পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে জোর আপত্তি থাকলেও প্রভাবশালী একটি মহল সেখানে যেকোনো মূল্যে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করতে কোম্পানির পক্ষে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের বিরুদ্ধে গত শনিবার বিকেলে এলাকার কৃষকেরা মানববন্ধন করেছেন। এদিকে, একই দিন বিকেলে কোম্পানির একজন প্রতিনিধিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শনিবার বিকেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করতে গেলে গ্রামবাসীর সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা জীবন দিবে তবুও তাঁদের একমাত্র ফসলি জমিতে পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করতে দিবেন না। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্লান্ট নির্মাণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠের জমি খাদ্য উৎপাদনে একটি কৃষি সমৃদ্ধ মাঠ। যে মাঠের জমিতে ফলে না এমন কোনো ফসল নেই। বর্তমান মাঠটি শষ্য-শ্যামল সবুজে ভরা একটি ফসলি মাঠ।। কিন্তু কয়েক বছর আগে সাইক্লিট এনার্জি লিমিটেড নামের একটি বিদেশি কোম্পানি এলাকার কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষের সহযোগিতায় এলাকার কৃষকদের গোপন করে উপজেলা কৃষি বিভাগকে দিয়ে একটি জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন নেয় যে কৃষ্ণপুর মাঠটি মরুভূমি। সে সময় উপজেলা কৃষি বিভাগের এমন প্রতিবেদনের ফলে কোম্পানির তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে তারা দফায় দফায় মাঠটি পরিদর্শন করতে থাকে। কিন্তু এতে নড়েচড়ে বসে এলাকার কৃষকেরা। তাঁরা তাঁদের ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন। এতে কোম্পানির তৎপরতা থেমে যায়। কিন্তু এলাকার একটি স্বার্থন্বেষী মহল কোম্পানির নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার মানসিকতায় এলাকার কৃষকদের ও পরিবেশের ভবিষ্যত ভারসাম্যের কথা চিন্তা না করে সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে তৎপর হয়ে উঠেছে। কৃষকদের দাবি, সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ হলে শুধু কৃষি জমিই কমবে তা নয়, এলাকার পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে এলাকায় এক দিকে খাদ্য ঘাটতি পড়বে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যও হুঁমকির মুখে পড়বে।

সাবেক ইউপি সদস্য জেহের আলী, কৃষক ঠান্ডু, শওকত আলীসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল তাদের নিজেদের লাভের কথা চিন্তা করে আমাদের একমাত্র ফসলি মাঠ, যেখানে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করা হয়। সেই মাঠের জমিকে মরুভূমি কিংবা পতিত জমি দেখিয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করা হলে এলাকায় কৃষি জমি কমে গিয়ে খাদ্যঘাটতি দেখা দিবে এবং পরিবেশেরও বিপর্যয় ঘটবে। যুক্তি দেখানো হচ্ছে, প্লান্ট নির্মাণ হলে ১০০-১৫০ জন লোকের কর্মসংস্থান হবে। তাহলে আর ৫-৬ হাজার মানুষের কী হবে? তাই গ্রামবাসীর জীবন থাকতে প্লান্ট নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।’

এদিকে, সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের জন্য শনিবার বিকেলে কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করতে আসেন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর জাকির হোসেন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুর রহমান মাস্টার, আব্দুর রাজ্জাক শাহ, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাঁরা কৃষকরে বলেন, ‘জমি আপনাদের, আপনারা জমি দিলে প্লান্ট নির্মাণ হবে, না দিলে হবে না।’ কৃষকেরা বলেন, ‘আমরা জীবন দেব তো জমি দেব না। কিন্তু এখন শুনছি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে।’

একইভাবে কৃষ্ণপুরের মেহেরজান বেগম, আঞ্জুরা খাতুন ও মাহফুজা খাতুনদের দাবি, মাঠের ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ হলে তাঁরা কী খেয়ে বাঁচবেন? তাঁরা জীবন দিয়ে হলেও প্লান্ট নির্মাণ প্রতিহত করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গ্রামবাসীর দাবি, কৃষকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিন ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ বন্ধে তিনি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ‘আমি মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার বক্তব্যে আমি বলেছি, এলাকাবাসী না চাইলে প্লান্ট হবে না। আমি এলাকাবাসীর মতামতের বাইরে যেতে পারি না। তবে বিষষটি উভয়পক্ষকে ভেবে চিন্তে দেখা দরকার।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ‘কৃষ্ণপুর মাঠের জমি আবাদি। সেখানে ভুট্টা, চিনা বাদামসহ সব ধরনের আবাদ হচ্ছে। সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটা কৃষি বিভাগের নয়। কৃষকেরা জমি দিলে হবে, না দিলে হবে না। তবে আমরা আবারও এলাকায় জরিপ করব।’ এদিকে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের মতভেদ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। এই আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।