ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আন্দুলবাড়ীয়ায় সালিশের নামে ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে মারধর!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / ১২৩ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে বিচার-সালিশে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গোডাউনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফার্নিচার ব্যবসায়ী আশাদুল হক (৩৫) আন্দুলবাড়ীয়া গোডাউনপাড়ার আফসার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে সৎ মায়ের অভিযোগে গ্রাম আদালতে বিচারের নামে জনসম্মুখে আশাদুল নামের একজন ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার বরকত আলী লাঠি দিয়ে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন আশাদুল।
আহত আশাদুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সৎ মায়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। যার কারণে আমার সৎ মা আমার নামে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ করেন। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে নোটিশ দিলে আমি বিচার-সালিশে উপস্থিত হই। বিচার-সালিশে আমার ওপর মিথ্যা দোষ দেওয়া হলে আমি তার প্রতিবাদ করি। এই প্রতিবাদ করার কারণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের নির্দেশে দফাদার বরকত আমাকে পরিষদের মধ্যেই মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত দফাদার বরকত আলী বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করি। ওই বিচার-সালিশে আশাদুল বিচার না মেনে বেয়াদবি করে। তাই তাকে সামান্য মারধর করা হয়।’
এবিষয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আশাদুলকে দফাদার মেরেছে এটা ঠিক কথা, তবে এর আগে আশাদুল তার বাবাকে মারধর করেছে। যার কারণে আশাদুলের বাবা আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেন ও আশাদুলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মারধরও করতে বলেন। সেই জন্যই দফাদার তাকে সামান্য মেরেছে।’
এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মুনিম লিংকন বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। যদি কেউ বিচারের নামে মারধর করে থাকে তাহলে সেটা অন্যায় করেছে। আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আন্দুলবাড়ীয়ায় সালিশের নামে ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে মারধর!

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে বিচার-সালিশে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গোডাউনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফার্নিচার ব্যবসায়ী আশাদুল হক (৩৫) আন্দুলবাড়ীয়া গোডাউনপাড়ার আফসার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে সৎ মায়ের অভিযোগে গ্রাম আদালতে বিচারের নামে জনসম্মুখে আশাদুল নামের একজন ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার বরকত আলী লাঠি দিয়ে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন আশাদুল।
আহত আশাদুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সৎ মায়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। যার কারণে আমার সৎ মা আমার নামে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ করেন। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে নোটিশ দিলে আমি বিচার-সালিশে উপস্থিত হই। বিচার-সালিশে আমার ওপর মিথ্যা দোষ দেওয়া হলে আমি তার প্রতিবাদ করি। এই প্রতিবাদ করার কারণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের নির্দেশে দফাদার বরকত আমাকে পরিষদের মধ্যেই মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত দফাদার বরকত আলী বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করি। ওই বিচার-সালিশে আশাদুল বিচার না মেনে বেয়াদবি করে। তাই তাকে সামান্য মারধর করা হয়।’
এবিষয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আশাদুলকে দফাদার মেরেছে এটা ঠিক কথা, তবে এর আগে আশাদুল তার বাবাকে মারধর করেছে। যার কারণে আশাদুলের বাবা আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেন ও আশাদুলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মারধরও করতে বলেন। সেই জন্যই দফাদার তাকে সামান্য মেরেছে।’
এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মুনিম লিংকন বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। যদি কেউ বিচারের নামে মারধর করে থাকে তাহলে সেটা অন্যায় করেছে। আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’