ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন হত্যাকারী রিফাত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২০ বার পড়া হয়েছে

সরোজগঞ্জের মুদি দোকান কর্মাচারী তরিকুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে মালামাল নামানোকে কেন্দ্র করে পেটে বুমা ঢুকিয়ে গৌতম স্টোরের কর্মচারী তরিকুল ইসলামের হত্যাকারী রিফাত আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রিফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় সদর থানার পুলিশ।
জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে গৌতম স্টোরের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম ও শাহা স্টোরের কর্মচারী রিফাতের মধ্যে দোকানের মালামাল নামানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রিফাত দোকানের ভেতর থেকে চাল চেক করা বুমা দিয়ে রিফাতের তল পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আহত তরিকুলকে হাসপাতালে নিলে পথের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত তরিকুল ইসলামের পিতা মঈন উদ্দীন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এদিকে, ঘটনার পর থেকে চার দিন পলাতক থাকার পর গতকাল চুয়াডাঙ্গা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ঘাতক রিফাত।
তরিকুলের হত্যাকারী রিফাত আত্নসমর্পণের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তরিকুল। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক অভিযান চালায়। তবে আজ (গতকাল) তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণ করলেও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, সরোজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মেসার্স গৌতম স্টোরের মামালাল বহনে প্রতিদিন ৪ শ টাকায় চুক্তিভিত্তিক আমলসাধু চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তরিকুল ইসলাম। নিহত তরিকুল ইসলাম (৩২) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরনগাছি গ্রামের মঈন উদ্দীনের ছেলে। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার বিকেলে কাজ শেষ করে গৌতম স্টোরে আসেন তিনি। এ সময় পাশের দোকান মেসার্স সাহা স্টোরের কর্মচারী রিফাতের সঙ্গে মালামাল নামানোকে কেন্দ্র করে তরিকুলের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রিফাত তাঁর হাতে থাকা বুমা (বস্তা থেকে চাল চেক করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি প্রচলিত নাম বুমা) দিয়ে তাঁর পেটের নিচে আঘাত করেন। এতে তরিকুল ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রওনা হন। এ সময় পথের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তরিকুলের মৃত্যু হয়। পর দিন গ্রামের কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন হত্যাকারী রিফাত

আপলোড টাইম : ১১:৫৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

সরোজগঞ্জের মুদি দোকান কর্মাচারী তরিকুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে মালামাল নামানোকে কেন্দ্র করে পেটে বুমা ঢুকিয়ে গৌতম স্টোরের কর্মচারী তরিকুল ইসলামের হত্যাকারী রিফাত আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রিফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় সদর থানার পুলিশ।
জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে গৌতম স্টোরের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম ও শাহা স্টোরের কর্মচারী রিফাতের মধ্যে দোকানের মালামাল নামানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রিফাত দোকানের ভেতর থেকে চাল চেক করা বুমা দিয়ে রিফাতের তল পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আহত তরিকুলকে হাসপাতালে নিলে পথের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত তরিকুল ইসলামের পিতা মঈন উদ্দীন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এদিকে, ঘটনার পর থেকে চার দিন পলাতক থাকার পর গতকাল চুয়াডাঙ্গা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ঘাতক রিফাত।
তরিকুলের হত্যাকারী রিফাত আত্নসমর্পণের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তরিকুল। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক অভিযান চালায়। তবে আজ (গতকাল) তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণ করলেও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, সরোজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মেসার্স গৌতম স্টোরের মামালাল বহনে প্রতিদিন ৪ শ টাকায় চুক্তিভিত্তিক আমলসাধু চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তরিকুল ইসলাম। নিহত তরিকুল ইসলাম (৩২) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরনগাছি গ্রামের মঈন উদ্দীনের ছেলে। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার বিকেলে কাজ শেষ করে গৌতম স্টোরে আসেন তিনি। এ সময় পাশের দোকান মেসার্স সাহা স্টোরের কর্মচারী রিফাতের সঙ্গে মালামাল নামানোকে কেন্দ্র করে তরিকুলের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রিফাত তাঁর হাতে থাকা বুমা (বস্তা থেকে চাল চেক করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি প্রচলিত নাম বুমা) দিয়ে তাঁর পেটের নিচে আঘাত করেন। এতে তরিকুল ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রওনা হন। এ সময় পথের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তরিকুলের মৃত্যু হয়। পর দিন গ্রামের কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।