ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আত্মীয়দের দান করার ফজিলত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:

আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম বহুমুখী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জাকাত, সদকাতুল ফিতর, আকিকা, নফল সদকাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা কোরআন-হাদিসে এসেছে। অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত মানবিক গুণ। তবে এর মাহাত্ম্য বহুগুণে বেড়ে যায় যখন তা অসহায় আত্মীয়দের জন্য করা হয়। প্রায় সময় অসহায় মানুষেরা আত্মীয়দের কাছে হাত পাততে লজ্জা পায় এবং আত্মমর্যাদার কারণে নীরবতা অবলম্বন করে। ফলে তারা কাছের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ধনী আত্মীয়দের পাশে পায় না, যা কাম্য নয়। তাই ধনীদের কর্তব্য হলো, অসহায় আত্মীয়দের বিশেষভাবে খোঁজখবর রাখা এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(বরং কল্যাণ আছে) আল্লাহকে ভালোবেসে আত্মীয়-স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির ও সাহায্যপ্রার্থীদের এবং দাস মুক্তির জন্য ধন-সম্পদ ব্যয় করার মধ্যে।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭) হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো গরিব মানুষকে সদকা দিলে শুধু সদকার সওয়াবই পাওয়া যাবে। আর গরিব আত্মীয়কে সদকা দিলে পাওয়া যাবে দুই বিষয়ের সওয়াব। সদকার সওয়াব এবং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সওয়াব।’ (আহমদ) সাহাবি সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস মৃত্যুশয্যায় মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার তো প্রচুর সম্পদ অথচ আমার একমাত্র কন্যাই আমার উত্তরাধিকারী। আমি কি আমার সকল সম্পদ গরিবদের জন্য লিখে দিয়ে যাব?’ তিনি পরামর্শ দিলেন, ‘এক-তৃতীয়াংশ লিখে দিতে পার। এক-তৃতীয়াংশ মানেও বিপুল সম্পদ। তবে শোনো, তোমার স্বজনদের ভিখারি রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদের সচ্ছল রেখে যাওয়া অধিক উত্তম।’ (মুসলিম)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আত্মীয়দের দান করার ফজিলত

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

ধর্ম প্রতিবেদন:

আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম বহুমুখী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জাকাত, সদকাতুল ফিতর, আকিকা, নফল সদকাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা কোরআন-হাদিসে এসেছে। অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত মানবিক গুণ। তবে এর মাহাত্ম্য বহুগুণে বেড়ে যায় যখন তা অসহায় আত্মীয়দের জন্য করা হয়। প্রায় সময় অসহায় মানুষেরা আত্মীয়দের কাছে হাত পাততে লজ্জা পায় এবং আত্মমর্যাদার কারণে নীরবতা অবলম্বন করে। ফলে তারা কাছের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ধনী আত্মীয়দের পাশে পায় না, যা কাম্য নয়। তাই ধনীদের কর্তব্য হলো, অসহায় আত্মীয়দের বিশেষভাবে খোঁজখবর রাখা এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(বরং কল্যাণ আছে) আল্লাহকে ভালোবেসে আত্মীয়-স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির ও সাহায্যপ্রার্থীদের এবং দাস মুক্তির জন্য ধন-সম্পদ ব্যয় করার মধ্যে।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭) হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো গরিব মানুষকে সদকা দিলে শুধু সদকার সওয়াবই পাওয়া যাবে। আর গরিব আত্মীয়কে সদকা দিলে পাওয়া যাবে দুই বিষয়ের সওয়াব। সদকার সওয়াব এবং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সওয়াব।’ (আহমদ) সাহাবি সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস মৃত্যুশয্যায় মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার তো প্রচুর সম্পদ অথচ আমার একমাত্র কন্যাই আমার উত্তরাধিকারী। আমি কি আমার সকল সম্পদ গরিবদের জন্য লিখে দিয়ে যাব?’ তিনি পরামর্শ দিলেন, ‘এক-তৃতীয়াংশ লিখে দিতে পার। এক-তৃতীয়াংশ মানেও বিপুল সম্পদ। তবে শোনো, তোমার স্বজনদের ভিখারি রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদের সচ্ছল রেখে যাওয়া অধিক উত্তম।’ (মুসলিম)