ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আত্মশুদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:জাগতিক সব কাজে প্রশিক্ষণ লাগে, তেমনি মুসলমানদের পরকালীন জীবনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণের। রমজানে মুসলমানরা আত্মশুদ্ধির প্রশিক্ষণ লাভ করেন। বান্দারা গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে দোজখের কঠিন শাস্তিতে নিপতিত হোক সেটা আল্লাহ তায়ালা চান না। এ জন্য কোরানে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ রমজান মাসে উপস্থিত (জীবিত) থাকে, তারই রোজা পালন করা কর্তব্য।’ সিয়াম সাধনা মুমিনের প্রশিক্ষণ কোর্স। দিনভর উপোস থাকা এ কোর্সের অতি ক্ষুদ্র অংশ। সারাদিন উপোস থাকা প্রশিক্ষণ কোর্সে নাম নিবন্ধন করার মতো। নাম নিবন্ধিত হওয়ার পর কোর্সের সব কার্যক্রমে অংশ না নিলে ভালো ফলাফলের আশা করা যায় না। তেমনি রমজানের কোর্সে শুধু উপোস থেকে নাম লেখালে আশানুরূপ ফল আসে না। আল্লাহ তায়ালা বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভের জন্য মাহে রমজানকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করেছেন। প্রথম পর্ব রহমত; বান্দা যখন আল্লাহর যাবতীয় বিধান যথাযথভাবে পালন করে তখন তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে করুণার ঝরনাধারা বর্ষিত হতে থাকে। দ্বিতীয় পর্ব মাগফিরাত; যারা পবিত্র রমজানের মর্যাদা রক্ষা করে, নিজেদের পাপ মোচনের জন্য তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি ক্ষমা-পরবশ হয়ে মাহে রমজানের দ্বিতীয়াংশে তার মাগফিরাত ঘোষণা করেন। তৃতীয় পর্ব মুক্তির; যারা রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যথাযথ হক আদায় করে সিয়াম পালন করে তাদের আল্লাহ দোজখের শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেন শেষ দশকে। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা, প্রবৃত্তির তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে ত্যাগ-তিতিক্ষা, সংযম, সহানুভূতি, সাম্য ও যাবতীয় মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে পারে। সত্যিকারের আদর্শ মানুষ হতে হলে সিয়াম সাধনার কোনো বিকল্প নেই। রমজান মাসের প্রশিক্ষণ মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণের সময় যেমন প্রতিটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়, কোনো বিচ্যুতি হয়ে গেলে প্রশিক্ষণের ফলাফলে যেমন এর প্রভাব পড়ে, তেমনি রমজানে সিয়াম সাধনার প্রশিক্ষণেও মুমিনকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অসংলগ্নতা যেন সিয়াম সাধনার ফলাফলে চিড় না ধরায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। ব্যক্তিগত খেয়ালখুশি মতো রোজা পালন করলে চলবে না। রমজানের রোজা বাকি এগারো মাসের প্রশিক্ষণ। সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বান্দাকে শিক্ষা দেয়া হয় বছরের বাকি দিনগুলো কিভাবে পালন করবে। এ জন্য রোজার মাসের প্রশিক্ষণ লাভে সবার আন্তরিক চেষ্টা থাকা দরকার

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আত্মশুদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাস

আপলোড টাইম : ০৪:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক:জাগতিক সব কাজে প্রশিক্ষণ লাগে, তেমনি মুসলমানদের পরকালীন জীবনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণের। রমজানে মুসলমানরা আত্মশুদ্ধির প্রশিক্ষণ লাভ করেন। বান্দারা গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে দোজখের কঠিন শাস্তিতে নিপতিত হোক সেটা আল্লাহ তায়ালা চান না। এ জন্য কোরানে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ রমজান মাসে উপস্থিত (জীবিত) থাকে, তারই রোজা পালন করা কর্তব্য।’ সিয়াম সাধনা মুমিনের প্রশিক্ষণ কোর্স। দিনভর উপোস থাকা এ কোর্সের অতি ক্ষুদ্র অংশ। সারাদিন উপোস থাকা প্রশিক্ষণ কোর্সে নাম নিবন্ধন করার মতো। নাম নিবন্ধিত হওয়ার পর কোর্সের সব কার্যক্রমে অংশ না নিলে ভালো ফলাফলের আশা করা যায় না। তেমনি রমজানের কোর্সে শুধু উপোস থেকে নাম লেখালে আশানুরূপ ফল আসে না। আল্লাহ তায়ালা বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভের জন্য মাহে রমজানকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করেছেন। প্রথম পর্ব রহমত; বান্দা যখন আল্লাহর যাবতীয় বিধান যথাযথভাবে পালন করে তখন তাদের ওপর আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে করুণার ঝরনাধারা বর্ষিত হতে থাকে। দ্বিতীয় পর্ব মাগফিরাত; যারা পবিত্র রমজানের মর্যাদা রক্ষা করে, নিজেদের পাপ মোচনের জন্য তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি ক্ষমা-পরবশ হয়ে মাহে রমজানের দ্বিতীয়াংশে তার মাগফিরাত ঘোষণা করেন। তৃতীয় পর্ব মুক্তির; যারা রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যথাযথ হক আদায় করে সিয়াম পালন করে তাদের আল্লাহ দোজখের শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেন শেষ দশকে। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা, প্রবৃত্তির তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে ত্যাগ-তিতিক্ষা, সংযম, সহানুভূতি, সাম্য ও যাবতীয় মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে পারে। সত্যিকারের আদর্শ মানুষ হতে হলে সিয়াম সাধনার কোনো বিকল্প নেই। রমজান মাসের প্রশিক্ষণ মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণের সময় যেমন প্রতিটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়, কোনো বিচ্যুতি হয়ে গেলে প্রশিক্ষণের ফলাফলে যেমন এর প্রভাব পড়ে, তেমনি রমজানে সিয়াম সাধনার প্রশিক্ষণেও মুমিনকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অসংলগ্নতা যেন সিয়াম সাধনার ফলাফলে চিড় না ধরায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। ব্যক্তিগত খেয়ালখুশি মতো রোজা পালন করলে চলবে না। রমজানের রোজা বাকি এগারো মাসের প্রশিক্ষণ। সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বান্দাকে শিক্ষা দেয়া হয় বছরের বাকি দিনগুলো কিভাবে পালন করবে। এ জন্য রোজার মাসের প্রশিক্ষণ লাভে সবার আন্তরিক চেষ্টা থাকা দরকার